April 27, 2024, 3:56 am

সাংবাদিক আবশ্যক
সাতক্ষীরা প্রবাহে সংবাদ পাঠানোর ইমেইল: arahmansat@gmail.com
শিরোনাম:
জুম্মার নামাজে মুসল্লিদের দোয়া চাইলেন মশিউর রহমান বাবু সাতক্ষীরায় অপহৃত ৮ম শ্রেণীর ছাত্রীকে উদ্ধার করলো পুলিশ সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজে পৃথক বার্ন ইউনিট না থাকায় জরুরী সেবা ঝুঁকিতে এসিড দগ্ধ ও পোড়া রুগীরা দাবদাহ উপেক্ষা করে ধান কেটে ঘরে তুলতে ব্যস্ত কৃষকরা সাতক্ষীরায় সড়ক দুর্ঘটনায় বাবা-ছেলে নিহত জনপ্রিয়তার শীর্ষে নতুন মুখ প্রভাষক সুশান্ত কুমার মন্ডল আশাশুনীতে বাপ্পী সীড হাউজ দোকান উদ্বোধন দক্ষিণ খুলনার অস্ত্র ও মাদকের গডফাদার ওজিয়ার গ্রেফতার সাতক্ষীরায় টিটিসিতে ৭৫ দিন মেয়াদী দক্ষতা উন্নয়ন বিষয়ক প্রশিক্ষণের মতবিনিময় তীব্র তাপদাহে জনজীবন বিপর্যস্ত, বিপাকে নিম্ন আয়ের মানুষ
কেশবপুরে হোসেন ক্লিনিকে প্রসূতি মায়ের মৃত্যু

কেশবপুরে হোসেন ক্লিনিকে প্রসূতি মায়ের মৃত্যু

কেশবপুরে হোসেন ক্লিনিক এন্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারে সিজারিয়ান অপারেশনে মুন্নি খাতুন (২৩) নামে এক প্রসূতি মায়ের মৃত্যু হয়েছে। তবে নব জাতক কন্যা সন্তান সুস্থ্য আছে বলে তাদের পারিবারিক সূত্র জানায়।ক্লিনিক ও বিভিন্ন সূত্রে জানা যায়, বুধবার (২২ মার্চ) বেলা ১২টার দিকে কেশবপুর উপজেলার বসুন্তিয়া গ্রামের আবু জাফর বিশ^াসের স্ত্রী মুন্নি খাতুনের প্রসব বেদনা শুরু হলে তাকে কেশবপুর হোসেন ক্লিনিক এন্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারে ভর্তি করা হয়। এরপর ওই ক্লিনিকের ডাক্তারদের পরামর্শ অনুযায়ী তার বিভিন্ন পরীক্ষা নিরীক্ষা শেষে দুপুর ১টা ৫০ মিনিটের দিকে গৃহবধূ মুন্নি খাতুনকে অপারেশন থিয়েটারে নিয়ে যাওয়া হয়। এরপর কেশবপুর হাসপাতালের ডাক্তার রোকাইয়া সুলতানা লাকী ও অজ্ঞান করা ডাক্তার জহির উদ্দীন দুপুর ২টার দিকে তার সিজারিয়ান অপারেশন করেন। এসময় মুন্নি খাতুন একটি কন্যা সন্তান প্রসব করে। এরপর বেলা আড়াইটার দিকে অপারেশন শেষে নবজাতককে কেবিনে নিয়ে তার পিতা আবু জাফরের কাছে দেয়া হয়।

এসময় আবু জাফর ডাক্তার জহির উদ্দীনের কাছে জানতে চান তার স্ত্রী মুন্নি কেমন আছেন। ডাক্তারদ্বয় তাকে জানান, রোগী সম্পূর্ণ সুস্থ্য আছে। পরবর্তীতে বিকাল ৪টা ৭ মিনিটের দিকে ডাক্তার জহির উদ্দীন ও আবু জাফরকে মোবাইলের মাধ্যমে ফোন করে জানান রোগীর অবস্থা ভালো নেই। তার খিচুিন শুরু হয়েছে। তাকে এখনই যশোর সদর হাসপাতালে নিতে হবে। এরই মধ্যে ক্লিনিক কর্তৃপক্ষ এ্যাম্বুলেন্স প্রস্তুত করে রাখেন। পরবর্তিতে মুন্নিকে যশোর সদর হাসপাতালে রেফাট করার পর রাত ৮টা ৩০ মিনিটের দিকে তিনি মারা যান।মুন্নি খাতুনের স্বামী আবু জাফর বলেন, হোসেন ক্লিনিকের কর্তৃপক্ষে এবং ডাক্তাদের গাফিলোতির কারণে আমার স্ত্রীর মৃত্যু হয়েছে। সদ্য ভুমিষ্ঠসহ আমার ২টা মেয়ে এতিম হয়েছে। এরকম যেন আর কোন সন্তান মা হারা না হয়।ডাক্তার অজ্ঞান করা ডাক্তার জহির উদ্দীন বলেন, আমি এবং আমার স্ত্রী রোকাইয়া হোসেন পলি, কেশবপুর হাসপাতালে কর্মরত আছি। আমিসহ আমার স্ত্রী দু’জনে মিলে দুপুর আড়াইটার দিকে গৃহবধু মুন্নি খাতুনের সিজারিয়ান অপারেশন করি। এরপর ২০ মিনিট পর তার পেসার বেড়ে গিয়ে খিচুনি শুরু হলে তাকে বিকেলে যশোর সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এসময় আমিও রোগীর সাথে যশোরে যাই। এখানে চিকিৎসাধীন থাকা অবস্থায় ওই রাতেই সে মারা যায়।


Comments are closed.

ইমেইল: arahmansat@gmail.com
Design & Developed BY CodesHost Limited
Raytahost Facebook Sharing Powered By : Raytahost.com