April 27, 2024, 5:35 am
খুলনায় আলু-পেঁয়াজের সরবরাহে কোনো ঘাটতি না থাকলেও প্রতিনিয়তই বেড়ে চলছে দাম। প্রশাসনের অভিযান চলমান থাকার পরও বিক্রি হচ্ছে না সরকার নির্ধারিত দামে। এদিকে নতুন আলু-পেঁয়াজ বাজারে আসার আগ পর্যন্ত দাম কমবে না বলেও ক্রেতাদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়াচ্ছেন ব্যবসায়ীরা। অন্যদিকে বাজার ভেদে ব্যপক ব্যবধানে বিক্রি হচ্ছে সবজি। ভ্যানের থেকে দোকানে ১০-২০ টাকা বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে সবজি। এ নিয়ে ক্রেতাদের মধ্যেও দেখা দিচ্ছে ক্ষোভ। সবজি বিক্রেতারা বলছেন, শীতের সবজির আমদানি বাড়ায় আগের চেয়ে কম দামে মিলছে ফুলকপি, বাঁধাকপি, বিটকপি আর মুলা। প্রাকৃতিক কোনো দুর্যোগ না হলে ক্রমাগতভাবে কমবে এই সবজিগুলোর দাম। শনিবার (০৩ নভেম্বর) খুলনার বিভিন্ন বাজারঘুরে আলু-পেঁয়াজ আর অন্যান্য সবজির দামের এসব তথ্য পাওয়া গেছে। দৌলতপুর বাজারের সবজি বিক্রেতা লিয়াকাত আলী বলেন, পেঁয়াজ আর আলুর দাম শুধু বেড়েই চলেছে। খদ্দেরের কাছে বাড়তি দাম বললেই তারা ক্ষোভ প্রকাশ করছেন। অনেকের সঙ্গে ঝগড়াও লেগে যাচ্ছে বিক্রেতাদের। বর্তমানে আলু ৬০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। কিন্তু কেন যে দাম বাড়ছে তা জানি না। আলু আর পেঁয়াজের দাম বাড়ার বিষয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে দৌলতপুর বাজারের ক্রেতা গৃহিণী রুমানা আক্তার রানু বলেন, গত সপ্তাহে দেশি পেঁয়াজ কিনেছি ৮০ টাকা দরে। আজ বাজারে এসে দেখি ১২০ টাকা। দোকানি বলছে আগামীকাল আরও বাড়তে পারে। গত মাসে প্রশাসনের কিছু অভিযান হয়েছিল। কিন্তু এখন আর তাদের দেখা মিলছে না। ব্যবসায়ীরা নিজেদের ইচ্ছা মতো দাম বাড়িয়ে দিচ্ছে। আলু আর পেঁয়াজের দাম বৃদ্ধির বিষয়ে ভোক্তা অধিকার অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মো. সেলিম বলেন, আমাদের অভিযান অব্যাহত রয়েছে। দাম বৃদ্ধির খবর পেলেই অভিযান চালানো হয়। অভিযানের সময় আমাদের ব্যবসায়ীরা জানান, তারা সরকার নির্ধারিত দামেই আলু আর পেঁয়াজ বিক্রি করেন। কিন্তু পরবর্তীতে ক্রেতারা অভিযোগ করেন, তারা সরকার নির্ধারিত দামের চেয়ে অনেক বেশি দামে আলু আর পেঁয়াজ কিনছেন। ব্যবসায়ীরা চাতুরতার আশ্রয় নেন।
Comments are closed.