April 27, 2024, 7:02 am
শস্যভান্ডার খ্যাত মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলায় গরম ঝোড়ো হাওয়ায় কয়েকশ’ বিঘা জমিতে বোরো ধান শুকিয়ে চিটা হয়ে যাচ্ছে। আবহাওয়ার তারতম্যজনিত কারণে গরম ঝোড়ো হাওয়ায় ব্যাকটেরিয়াল পেনিক্যাল ব্লাইড নামে ব্যাকটেরিয়ার কারণে ধানের থোড় বের হওয়ার পর এ সমস্যা দেখা দিয়েছে। এতে কৃষকেরা উৎকণ্ঠিত হয়ে পড়েছেন। গতকাল শুক্রবার বিকেলে মৌলভীবাজার জেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা সরেজমিনে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন করেছেন।
স্থানীয় কৃষকেরা জানান, কমলগঞ্জ উপজেলার আলীনগর ইউনিয়নের চিতলীয়া, জাঙ্গালিয়া, ইসলামপুর ইউনিয়নের শ্রীপুর, গুলেরহাওর, আদমপুর ইউনিয়ন, শমসেরনগর, মুন্সীবাজার ও পতনঊষার ইউনিয়নের কয়েকটি এলাকাসহ অধিকাংশ এলাকায় বোরো ধানে এ সমস্যা দেখা দিয়েছে।
সম্প্রতি বৃষ্টিপাত ছাড়া গরম ঝোড়ো বাতাস দেয়ার পর থেকে বোরো ধানের শীষ বের হওয়ার পর ধান শুকিয়ে চিটা হয়ে যাচ্ছে। এভাবে জমির ধানক্ষেত ধীরে ধীরে সাদা হয়ে যাচ্ছে। এতে কৃষকেরা চিন্তিত হয়ে পড়ছেন।
ক্ষতিগ্রস্ত কৃষক নজরুল ইসলাম, পারভেজ মিয়া, আব্দুল বারী, সাজু মিয়া দেশ রূপান্তরকে জানান, ‘ধানের শিষ থেকে থোড় বের হওয়ার পর প্রথমে ধান কালো হয়ে লালচে রং ধারণ করে পরে সাদা হয়ে যাচ্ছে। ধানের শীষ শুকিয়ে চিটা ধারণ করছে। এভাবে পর্যায়ক্রমে আবাদি জমির বিস্তীর্ণ এলাকা ছড়িয়ে পড়ছে। এতে আমরা কৃষকেরা ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্তের আশঙ্কা করছি।’
উপজেলা কৃষি বিভাগ সূত্রে জানা যায়, কমলগঞ্জে এ বছর ৪ হাজার ৪ শত ৯০ হেক্টর জমিতে বোরো আবাদ হয়েছে। তবে আবহাওয়ার তারতম্যজনিত কারণে সাধারণত দিনে গরম ও রাতে ঠান্ডা এবং ঝোড়ো বাতাসের সাথে বৃষ্টিপাত না হওয়ায় ব্যাকটেরিয়াল পেনিক্যাল ব্লাইড নামে ধানে আংশিক ক্ষতি হচ্ছে।
বোরো ধানে চিটার খবর পেয়ে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর মৌলভীবাজারের উপপরিচালক কাজী লুৎফুল বারী গত শুক্রবার বিকেলে উপজেলা কৃষি বিভাগের কর্মকর্তাদের নিয়ে সরেজমিন উপজেলার চিতলীয়া, জাঙ্গালিয়াসহ কয়েকটি এলাকা পরিদর্শন করেন।
এ বিষয়ে কমলগঞ্জ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. আলাউদ্দীন বলেন, ‘কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর মৌলভীবাজার এর উপপরিচালককে নিয়ে সরেজমিন মাঠ পরিদর্শন করেছি। আবহাওয়ার তারতম্যজনিত কারণে আংশিক ক্ষতি হয়েছে। আমরা কৃষকদের জমিতে পানি রাখতে পরামর্শ দিয়েছি। তবে কৃষকেরা ধান পাবে, চিন্তার কোন কারণ নেই। বৃষ্টিপাত হলে এ সমস্যা থাকবে না।’
Comments are closed.