April 27, 2024, 9:37 am

সাংবাদিক আবশ্যক
সাতক্ষীরা প্রবাহে সংবাদ পাঠানোর ইমেইল: arahmansat@gmail.com
শিরোনাম:
জুম্মার নামাজে মুসল্লিদের দোয়া চাইলেন মশিউর রহমান বাবু সাতক্ষীরায় অপহৃত ৮ম শ্রেণীর ছাত্রীকে উদ্ধার করলো পুলিশ সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজে পৃথক বার্ন ইউনিট না থাকায় জরুরী সেবা ঝুঁকিতে এসিড দগ্ধ ও পোড়া রুগীরা দাবদাহ উপেক্ষা করে ধান কেটে ঘরে তুলতে ব্যস্ত কৃষকরা সাতক্ষীরায় সড়ক দুর্ঘটনায় বাবা-ছেলে নিহত জনপ্রিয়তার শীর্ষে নতুন মুখ প্রভাষক সুশান্ত কুমার মন্ডল আশাশুনীতে বাপ্পী সীড হাউজ দোকান উদ্বোধন দক্ষিণ খুলনার অস্ত্র ও মাদকের গডফাদার ওজিয়ার গ্রেফতার সাতক্ষীরায় টিটিসিতে ৭৫ দিন মেয়াদী দক্ষতা উন্নয়ন বিষয়ক প্রশিক্ষণের মতবিনিময় তীব্র তাপদাহে জনজীবন বিপর্যস্ত, বিপাকে নিম্ন আয়ের মানুষ
গ্রাম বাংলার ঐতিহ্যবাহী ঢেঁকি শিল্প আজ হারিয়ে যেতে বসেছে

গ্রাম বাংলার ঐতিহ্যবাহী ঢেঁকি শিল্প আজ হারিয়ে যেতে বসেছে

গ্রাম বাংলার ঐতিহ্যবাহী ঢেঁকি শিল্প আজ ক্রমান্বয়ে হারিয়ে যেতে বসেছে। গ্রামে এখন আর এগুলো আগের মতো চোখে পড়েনা। আগের মতো ভোরে আজানের সাথে সাথে ঢেঁকির শদ্ব আর শোনা যায় না। চোখে পড়ে না বিয়ে বাড়ি উৎসাবে ঢেঁকি ছাটা চালের পায়েস ও খির রানা। অথচ একদিন গ্রাম ছাড়া ঢেঁকি আর ঢেঁকি নিয়ে গ্রাম কল্পনা ও করা যেত না। যেখানে বাড়ী সেখানেই ঢেঁকি। কিন্তু আজতা আমদের সংস্কৃতি এবং এতিহ্য থেকে মুছে যাচ্ছে। এই গ্রাম বাংলার ঢেকি নিয়ে কবি সাহিত্যিক রচনা করেছেন কবিতা গল্প। গায়করা গেয়েছেন গান। আগের গ্রাম বাংলার বধূরা প্রায় বাড়ীতে ভানতো ধান। সে সময় অনেকে এ পেশায় ছিল। র্বতমানে তারা এ পেশায় নিযোজিত শ্রমিকদের বলা হতো ভাড়ানি। এখন এই পেশা কেউ দজির কাজ কেউ কাঁথা সেলাই কেউ আবার ঝিয়ের কাজ কেউ কেউ হাঁস মুরগী পালন করে জীবিকা নির্বাহ করে। গ্রামের লোকেরা এখন আর আগের মত ঢেঁকিতে ছাটায় করে না। র্বতমানে প্রায়ই গ্রামে রাইস মিল গড়ে উঠেছে। সেজন্য গ্রামে এখন আর তেমন একটা ঢেঁকি দেখা যায় না। মানুষ শিক্ষিত হয়েছে। দেশে অনেক আধুনিক শিল্প প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠেছে। সাথে সাথে মানুষার রচি ও বদলে গেছে। ফলে ঢেঁকির আজ বিলুপ্তির দ্বার প্রান্তে। হাজার হাজার বিধবা ও স্বামী পরিত্যাতক্তা এবং গরীব মহিলাদের জীবিকা অর্জনের একমাত্র সম্বল ছিল এই ঢেঁকি। গ্রামে গেলে এখন আর ঢেঁকি দেখা যায় না। মাঝে মধ্যে দুই একটি দেখা গেলে ও তাতে আগের মত আর ধান ছাটাই করা হয় না। শুধু সবেবরাত এবং পৌষ মাসে পিঠা তৈরি জন্য চালের আঠা বানানো হয়ে থাকে। অনেকেই আবার ঢেঁকি গোয়াল ঘরে অথবা রান্ন ঘরে ফেলে রেখেছে।

হয়তো এমন ও একদিন আসবে সেদিন ঢেঁকি দেকতে মানুষ যাদু ঘরে যাবে। সভ্যতার প্রয়োজনে এঢেঁকির আবির্ভব হয়েছিল। আবার গতিময় সভ্যতার যাত্রাপথে প্রযুক্তি উৎকর্ষই একে বিলুপ্ত করে দিয়েছে মহিলারা সংসারে শত অভাব অনটনের ভিতরে ঢেঁকির তালে তালে গান গেয়ে ধান ছাটায়ের কাজ করতো। এক দশক আগেও গ্রামের অধিংকংশ ঢেঁকি দেখে যেথে। বসতি ঘরের পাসে বাড়তি চাল দিয়ে তেরি করা হতো ঢেঁকির ঘর। গ্রামের মহিলাদের মধ্যে প্রতিযোগিতা চলতো কে কত ভোরে উঠে ঢেঁকিতে পাড় দিতে পারে এবং কে কত বেশি ধান ছাটাই করতে পারে। কৃষক বধূর ঢেঁকর শদ্ব ঘম ভেঙে যেতো কৃষকদের। তথ্য প্রযুক্তির যগে অনেকের কাছে ঢেঁকি এখন অপরিচিত বলে মনে হয়। ঢেঁকি শিল্পকে বাচাতে হবে। সকলকে এগিয়ে অসতে হবে।


Comments are closed.

ইমেইল: arahmansat@gmail.com
Design & Developed BY CodesHost Limited
Raytahost Facebook Sharing Powered By : Raytahost.com