April 27, 2024, 11:58 am
সমুদ্রে ৬৫ দিন মাছ ধরা নিষিদ্ধের পর জেলেদের জন্য বরাদ্দ চালের মাত্র ২৫-৩০ শতাংশ পাচ্ছেন প্রকৃত জেলে। ভিজিএফ কার্ড বানিয়ে একটি চক্র হাতিয়ে নিচ্ছে তাদের নামে দেওয়া বরাদ্দের চাল। এতে করোনার এ সময়ে পরিবার নিয়ে কষ্ট ও দুর্বিষহ জীবন কাটাচ্ছেন চট্টগ্রামের সমুদ্র উপকূলের জেলে পরিবারগুলো। তবে জেলা প্রশাসনের দাবি, সরকারের সহায়তা যথাযথভাবে উপজেলাগুলোতে পাঠানো হচ্ছে।
একে তো লকাডাউনে নেই কাজকর্ম তার ওপর ৬৫ দিন বন্ধ সমুদ্রে মাছ ধরা। উপার্জনের পথই বন্ধ। তাতে থমকে গেছে জেলে অনিল জলদাশের জীবনটাও। এমন অনেক জেলে দুর্বিষসহ জীবন পার করছেন।
গত ২০ মে থেকে ২৩ জুলাই পর্যন্ত সমুদ্রে মাছ ধরা বন্ধ রেখেছে সরকার। তাই বেঁচে থাকার একমাত্র অবলম্বন জাল বুনে সময় পার করছেন চট্টগ্রামের বাঁশখালী উপকূলের খানখানাবাদ ইউনিয়নের জেলেরা। তাদের অভিযোগ, ১২০টি পরিবারের এক হাজার সদস্য আছেন। কিন্ত সরকারের সহায়তায় চাল পেয়েছেন মাত্র ২০ থেকে ৩০ জন জেলে। বাকি সহায়তা পাচ্ছেন অন্য পেশার মানুষ।
বাঁশখালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাইদুজ্জামান চৌধুরী জানান, অভিযোগের বিষয়টি প্রমাণিত হলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
তিনি আরো বলেন, মুখে বললে তো হবে না, সুনির্দিষ্ট অভিযোগ নিয়ে আসতে হবে। মৎস্য বিভাগ যদি তদন্ত করে প্রমাণিত হয়, সেক্ষেত্রে তো তার কার্ড দখল হবে।
জেলা প্রশাসক মমিনুর রহমান বলেন, প্রতি জেলের জন্য মাসে ৬৫ কেজি চালের পাশাপাশি দেয়া হচ্ছে নানা সহায়তাও। সরকারিভাবে প্রতিটি ইউনিয়নে আড়াই লাখ টাকা করে দেওয়া হয়েছে। সেখান থেকে জেলেদেরও দেওয়া হবে।
চট্টগ্রামের উপকূলীয় উপজেলা বাঁশখালী, আনোয়ারা, সন্দ্বীপ, মীরসরাই, কর্ণফুলী ও মহানগরে ৪০ হাজার মতো জেলে রয়েছেন।
Comments are closed.