April 27, 2024, 5:25 am
বারান্দার গ্রিলের তালা ভেঙ্গে হজ্ব পালনের জন্য বাড়িতে রাখা নগদ সাড়ে ৫ লাখ টাকাসহ প্রায় ৭ লাখ টাকার মালামাল নিয়ে গেছে একদল দুর্বত্ত। শনিবার দিবাগত রাত ১২টার দিকে সদর উপজেলার ঝাউডাঙ্গা ইউনিয়নের ছয়ঘরিয়া গ্রামে আব্দুল লতিফের (৬২) বাড়িতে এঘটনা ঘটে। এরআগে দুর্বত্তদরা খাবারের সাথে চেতনা নাশক ঔষধ মিশিয়ে দেয়। ঘটনার পর স্থানীয়রা উক্ত পরিবারের তিন জন্য সদস্যকে গুরুতর অসুস্থ্য অবস্থায় উদ্ধার করে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে ভর্তি করেছে। অসুস্থ্যরা হলেন, আব্দুল লতিফ, তার স্ত্রী রওশন আরা (৫৫) ও মেয়ে মোহাসিন আরা (২৪)। সদর হাসপাতালের জরুরী বিভাগে কর্তব্যরত চিকিৎসক জানান, বর্তমানে তারা আশংকামুক্ত। তবে তাদের পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে।স্থানীয় গ্রামবাসীরা জানান, ভোরে আব্দুল লতিফ ফযরের নামাজ পড়তে না যাওয়ায় এবং সকালে তার পরিবারের সদস্যরা ঘুম থেকে না উঠায় পার্শ্ববর্তী বাড়ির বাসিন্দারা খোজ নিয়ে বারান্দার তালা ভাঙ্গা ও ঘর খোলা দেখে ভিতরে যায়। এসময় তাদের তিনজনকে অচেতন অবস্থায় দেখতে পেয়ে অন্য গ্রামবাসীর সহায়তায় তাদেরকে উদ্ধার করে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এদিকে অভিযোগ পেয়ে সদর থানার এএসআই সুভাষ শিকদার ও এএসআই পারভেজ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন এবং হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আব্দুল লতিফ ও পরিবারের সদস্যদের সাথে কথা বলেন। এসময় এএসআই সুভাষ শিকদার ভুক্তভোগী আব্দুল লতিফ ও তার মেয়ে মোহাসিন আরার বরাত দিয়ে বলেন, শানিবার রাত ৯টার দিকে রাতের খাওয়া শেষে তারা গল্প করছিলেন। কিছুসময় পর পরিবারের তিন সদস্যই অসুস্থ্য বোধ করেন এবং একপর্যায়ে তারা অচেতন হয়ে পড়েন। ঘটনার পরে রাত প্রায় ১২টার দিকে দুর্বত্তরা বারান্দার গ্রীলের তালা ভেঙ্গে ঘরে প্রবেশ করে নগদ সাড়ে ৫লাখ টাকা ও সোনার গহনাসহ প্রায় সাত লাখ টাকার মালামাল লুট করে দুর্বত্তরা পালিয়ে যায় বলে তাদেরকে জানিয়েছেন। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকায় এ বিষয়ে ভুক্তভোগী পরিবারের সদস্যদের সাথে কথা বলা সম্ভব হয়নি।এবিষয়ে সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোস্তাফিজুর রহমান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, খবরপেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। তবে, এখনো কেউ অভিযোগ করেননি। অভিযোগ পেলে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
Comments are closed.