April 27, 2024, 5:42 am
ঝালকাঠির সুগন্ধা নদীতে লঞ্চে আগুনে মৃতের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৩৭। বরিশাল ফায়ার সার্ভিসের উপপরিচালক কামাল হোসেন ভূঁইয়া নিউজবাংলাকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, মরদেহ উদ্ধারের কাজ চলছে। এখন পর্যন্ত ৩৭ জনের মরদেহ পাওয়া গেছে। ঝালকাঠির পোনাবালীয়া ইউনিয়নের দেউরী এলাকায় বৃহস্পতিবার রাত ৩টার দিকে ঢাকা থেকে বরগুনাগামী এমভি অভিযান-১০ নামের লঞ্চে আগুন লাগে।
ফায়ার সার্ভিসের মিডিয়া কর্মকর্তা মো. রায়হান নিউজবাংলাকে জানান, রাত ৩টা ২৮ মিনিটে ফায়ার সার্ভিস খবর পায়। ৩টা ৫০ মিনিটে ১৫টি ইউনিট আগুন নেভানো শুরু করে। সাড়ে ৫টার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। লঞ্চের যাত্রী সোলাইমান আকন বলেন, ‘হঠাৎ বিকট শব্দে লঞ্চে আগুন ধরে যায়। লঞ্চের পেছনের অংশ থেকে তৃতীয় তলার সামনে পর্যন্ত আগুন ছড়িয়ে পড়ে।’
সাইদুল ইসলাম নামের আরেক যাত্রী জানান, প্রাণ বাঁচাতে অনেকেই লঞ্চ থেকে নদীতে লাফ দেন। এই লঞ্চে পাঁচ শতাধিক যাত্রী ছিল বলে জানান কেবিন বয় ইয়াসিন। তিনি বলেন, ‘ওপরে থাকা বেশির ভাগ যাত্রী নদীতে লাফ দিয়েছে। যারা ঘুমিয়ে ছিল তারা সবাই মারা গেছে।’
ঝালকাঠির অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মইনুল হক জানান, ৭০ জনের বেশি দগ্ধ যাত্রীকে ঝালকাঠি সদর হাসপাতাল ও বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
বরিশাল মেডিক্যালের সিনিয়র স্টাফ নার্স মিজানুর রহমান জানান, শুক্রবার ভোর ৫টা থেকে সকাল ৮টা পর্যন্ত দগ্ধ আট শিশুসহ ৬৫ জনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তাদের মধ্যে বেশির ভাগই ঝালকাঠি সদর হাসপাতাল থেকে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে এসেছেন।
Comments are closed.