April 27, 2024, 9:27 am
সাতক্ষীরা শহর উপকণ্ঠের বিনেরপোতা এলাকায় দুই একর জমির উপর প্রতিষ্ঠিত সাতক্ষীরা কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র (টিটিসি) ২০১৭ সালে একাডেমিক কার্যক্রম শুরু হয়। প্রতিষ্ঠার পর ৩বছরে করোনাভাইরাস শুরু পূর্ব পর্যন্ত ৭ হাজার ৮৪৭ জন বিভিন্ন শ্রেণি পেষার প্রশিক্ষার্থীরা প্রশিক্ষণ নিয়েছেন। এদের অনেকেই গেছেন দেশের বাইরে। কর্তৃপক্ষ বলছেন, বর্তমানে বেকারত্ব দুরিকরণ ও আত্মনির্ভরশীল করতে গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা রাখছে এ প্রতিষ্ঠানটি।
স্বল্প সময়ের মধ্যে বিদেশ গমনেচ্ছুক ও বেকার যুবক যুবতিদের আত্মনির্ভরশীন করতে সাতক্ষীরা কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র (টিটিসি)। ১৪৪ আসন সম্বলিত চারতলা ডরমেটরী ভবন দুর দুরন্তের প্রশিক্ষণার্থীদের আসাসিক সুযোগ সুবিধা নিশ্চিত করছে। অত্যাধুনিক কম্পিউটার ও মাল্টিমিডিয়া প্রজেক্টর সমৃদ্ধ ল্যাব এবং ইন্ডস্ট্রিয়াল সেলাই মেশিনের গার্মেন্টস ওয়ার্কসপে সকাল বিকাল চলছে প্রশিক্ষণ। অত্যাধুনিক আর্ক ওয়েল্ডিং মেশিনসহ বুথ সমৃদ্ধ ওয়ার্কশপেও রয়েছে প্রশিক্ষণার্থীদের ভীড়। ড্রাইভিং ও গাড়ির ইঞ্জিনের কাজ শিখতে সবাই মাঠে বসে অপেক্ষা করছে সিরিয়ালের জন্য।
প্রশিক্ষণার্থীরা জানায়, ইতোপূর্বে অনেক খরচ করে ট্রেনিং এর জন্য ঢাকায় যেতে হলেও এখন ঘরে বসেই সেসব সুবিধা। বিভিন্ন ট্রেডে এখান থেকেই এখন ট্রেনিং নেওয়া যাচ্ছে বলে জানান প্রশিক্ষণার্থীরা।
ছয় ও তিন মাসের বিভিন্ন বিষয়ে কোর্সসহ চলছে জাপানি কোরিয়ান ও ইংরেজি ভাষা শিক্ষা। নারিদের মাসব্যাপি হাউস কিপিং চলায় দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের মানুষ গড়ার কারিগরি প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়েছে এই টিটিসি।
টিটিসি সাতক্ষীরার সিনিয়র ইন্সট্রক্টর মো. আনারুল ইসলাম বলেন, শিক্ষার্থীরা হাতে কলমে শিক্ষা নিয়ে সরকারিভাবে বিদেশ যেতে পারলে যেমন আত্মনির্ভরশীন হবে, তেমনি দেশের জন্য রেমিট্যান্স আসবে।
জাপানি ভাষা প্রশিক্ষক মো. শাহাদ উল্যাহ বলেন, সকালে ও বিকালে একাধিক কোর্স চালুর পাশাপাশি বিকালের ৫টি কোর্সে ভর্তি ফ্রি ও শিক্ষার্থীদের আসা যাওয়ার জন্য ব্যাংক একাউন্টের মাধ্যমে ১০০ টাকা হারে হাজিরার ভিত্তিতে ভাতা দেওয়া হয়।
জব প্লেসমেন্ট কর্মকর্তা আরিফুল ইসলাম বলেন, সাতক্ষীরার প্রেক্ষাপটে কৃষি নির্ভর ও সিভিল কনন্সট্রাকশান ট্রেড দুটির চাহিদা রয়েছে। এটা চালু হলে একজন দক্ষ কর্মীকে বিদেশ পাঠানোর পথ আরো সুগম হবে।
প্রতিষ্ঠানের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ, কে এম মিজানুর রহমান বলেন, খুলনা সাতক্ষীরা মহাসড়কের বিনেরপোতায় একাধিক বিশাল ভবনে মনোরম পরিবেশে করোনার পর আবারো শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের পদচারণায় প্রাণচাঞ্চল্য ফিরেছে সাতক্ষীরা কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র টিটিসি’র। ৭৮টি পদের বিপরিতে ডেপুটেশনে ৩ জন এবং বিভিন্ন প্রকল্পের ১৭ জন প্রতিষ্ঠানটিতে কর্মরত রয়েছেন।
তাঁরা সাড়ে চার শতাধিক প্রশিক্ষার্থীকে নিয়মিত প্রশিক্ষণ দিয়ে দক্ষ জনশক্তিতে পরিণত করার কাজ করে চলেছেন। দেশের ভিতরে ও বাইরে কর্মসংস্থান সৃষ্টি করে আত্মপ্রত্যয়ে বলিয়ান হতে চায় এখানকার প্রশিক্ষণার্থী বেকার তরুণ তরুণীরা। তাদের ভরসার আশ্রয়স্থলে পরিণত হতে চলেছে প্রতিষ্ঠানটি।
Comments are closed.