April 27, 2024, 6:50 am

সাংবাদিক আবশ্যক
সাতক্ষীরা প্রবাহে সংবাদ পাঠানোর ইমেইল: arahmansat@gmail.com
শিরোনাম:
জুম্মার নামাজে মুসল্লিদের দোয়া চাইলেন মশিউর রহমান বাবু সাতক্ষীরায় অপহৃত ৮ম শ্রেণীর ছাত্রীকে উদ্ধার করলো পুলিশ সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজে পৃথক বার্ন ইউনিট না থাকায় জরুরী সেবা ঝুঁকিতে এসিড দগ্ধ ও পোড়া রুগীরা দাবদাহ উপেক্ষা করে ধান কেটে ঘরে তুলতে ব্যস্ত কৃষকরা সাতক্ষীরায় সড়ক দুর্ঘটনায় বাবা-ছেলে নিহত জনপ্রিয়তার শীর্ষে নতুন মুখ প্রভাষক সুশান্ত কুমার মন্ডল আশাশুনীতে বাপ্পী সীড হাউজ দোকান উদ্বোধন দক্ষিণ খুলনার অস্ত্র ও মাদকের গডফাদার ওজিয়ার গ্রেফতার সাতক্ষীরায় টিটিসিতে ৭৫ দিন মেয়াদী দক্ষতা উন্নয়ন বিষয়ক প্রশিক্ষণের মতবিনিময় তীব্র তাপদাহে জনজীবন বিপর্যস্ত, বিপাকে নিম্ন আয়ের মানুষ
তেলের চাহিদা মেটাতে সূর্যমুখী চাষ, বাম্পার ফলন

তেলের চাহিদা মেটাতে সূর্যমুখী চাষ, বাম্পার ফলন

তেলের চাহিদা মেটাতে সূর্যমুখী চাষ করছেন জেলার আমতলীর চাষিরা। সূর্যমুখী চাষে বাম্পার ফলনে পরিবারের তেলের চাহিদা মিটিয়ে লাভবান হওয়ারও সম্ভাবনা দেখছেন তারা।

উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, এ বছর আমতলী উপজেলায় সূর্যমুখীর লক্ষমাত্রা ধরা হয়েছিল ৫ শ ১০ হেক্টর। ওই লক্ষমাত্রা অর্জিত হয়েছে। জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় খরাপ্রবণ ও লবণাক্ত এলাকায় টেকসই ফসল ব্যবস্থা উদ্ভাবনে আধুনিক জাতের তৈলবীজ উৎপাদনের ওপর কৃষি, জলবায়ু ট্রাস্ট ও পরিবেশে মন্ত্রণালয় বৈপ্লবিক সফলতা পেতে কাজ করেছে। এবার সূর্যমুখী হাইসান-৩৩ চাষে সেই সফলতা পেয়েছেন কৃষকরা।

সূর্যমুখী ফুল দেখতে অনেকটা সূর্যের মতো এবং সূর্যের দিকে মুখ করে থাকে বলে এর নামকরণ করা হয়েছে সূর্যমুখী। এ উদ্ভিদের আয়ুকাল ৯০ থেকে ১০০ দিন। অল্প দিনের মধ্যে ফলন আসে। সূর্যমুখী ফুল থেকে বীজ হয়। ওই বীজ থেকে পুষ্টিকর তৈল এবং ভূসি হাঁস-মুরগি ও মাছের খাবার হিসেবে ব্যবহৃত হয়। নির্ভেজাল পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ এ তেল স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী। সূর্যমুখি তেল ঘি’র বিকল্প হিসেবে ব্যবহৃত হয়। এই তেল বনস্পতি তেল নামে পরিচিত।

চাষিরা পরিবারের তেলের চাহিদা মিটিয়ে তেল ও বীজ বিক্রি করছে। ১ মণ বীজ যন্ত্রে মাড়াই করে ১৮ থেকে ২০ লিটার তেল পাচ্ছেন চাষিরা। তেলের উৎস হিসেবে আমতলীতে সূর্যমুখীর চাষ হয়েছে। আমতলী উপজেলার গ্রাম থেকে গ্রামান্তরে চোখ যত দূরে যাচ্ছে ততই ক্ষেতের পর ক্ষেত ফুলের সমাহারে ভরপুর। পৌষ মাসের মাঝামাঝি সময়ে সূর্যমূখী চাষ হয় এবং চৈত্র মাসের শেষের দিকে ফলন কাটা শুরু করে।

বর্তমানে চাষিরা ফুল কাটতে প্রস্তুতি নিচ্ছেন। অনাবৃষ্টির কারণে এ বছর সূর্যমুখী চাষে কৃষকদের খরচ বেশি হয়েছে। উপজেলা কৃষি অফিস সূর্যমুখী চাষে কৃষকদের উৎসাহী করতে সূর্যমুখী হাইসান-৩৩ বীজের ১ শ ২৫টি প্রদর্শনী করেছে। ওই প্রদর্শনী করা চাষিদের কৃষি অফিস নগদ ১ হাজার টাকা ভর্তুকি, ভালো মানের বীজ ও সার সরবরাহ করেছে বলে জানান কৃষি অফিসার সিএম রেজাউল করিম।

উপজেলার হলদিয়া, চাওড়া, আঠারোগাছিয়া, আমতলী সদর ও আড়পাঙ্গাশিয়া ইউনিয়নে ব্যপক সূর্যমুখীর চাষ করেছে কৃষকরা। শুক্রবার (৮ এপ্রিল) আমতলী উপজেলার আমতলী সদর, চাওড়া, হলদিয়া, আঠারোগাছিয়া, গুলিশাখালী ও আড়পাঙ্গাশিয়া ঘুরে দেখা গেছে, একটু সমতল ও উচু জমিতে সূর্যমুখী ফুলের বাহারি সমাহার। কৃষকরা ফল কাটতে প্রস্তুতি নিয়েছেন।

আমতলী সদর ইউনিয়নের দক্ষিণ পশ্চিম আমতলী গ্রামের নুরুল ইসলাম হাওলাদার বলেন, ২০ হাজার টাকা ব্যয়ে ১ শ ২৬ শতাংশ জমিতে সূর্যমুখী চাষ করেছি। বৃষ্টি না হওয়ায় এ বছর খরচ বেশি হয়েছে। তিনি আরও বলেন, ফলন ভালো হয়েছে আশা করছি, ৫০ হাজার টাকা বিক্রি করতে পারব।

একই গ্রামের আবু কালাম বলেন, ১ শ ৫০ শতাংশ জমিতে সূর্যমুখী চাষ করেছি। ফলন ভালোই হয়েছে। পরিবারের তেলের চাহিদা মেটাতে সূর্যমুখী চাষ করেছি। আমতলী গ্রামের কৃষক দুলাল প্যাদা, শাহ আলম, ইব্রাহিম ও মোশাররফ বলেন, সুর্যমুখীর ভালোই ফলন হয়েছে। আশা করি, পরিবারের তেলের চাহিদা পুরণ করে তেল বিক্রি করতে পারব।

উপজেলার কৃষি কর্মকর্তা সিএম রেজাউল করিম বলেন, জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় সূর্যমুখী চাষে চাষিদের উৎসাহী করে ১ শ ২৫টি প্রদর্শনী করা হয়েছে। সকল প্রদর্শনীর কৃষকদের নগদ অর্থ, হাইসান-৩৩ বীজ ও সার বিতরণ করা হয়। এ বছর বৃষ্টি না হওয়ায় পরেও ফলন ভালো হয়েছে। চাষিরা পরিবারের তেলে চাহিদা পুরণ করে বেশ লাভবান হবে।


Comments are closed.

ইমেইল: arahmansat@gmail.com
Design & Developed BY CodesHost Limited
Raytahost Facebook Sharing Powered By : Raytahost.com