April 27, 2024, 7:31 am
সরকার এবং দল আলাদা করার নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এবারের কাউন্সিলে তাই যারা মন্ত্রীত্বে থাকবেন তাদের দলের কোন পদে রাখা হবে না। এটাই হবে এবারের কাউন্সিলে আওয়ামী লীগের মূল চমক।আওয়ামী লীগের দায়িত্বশীল একাধিক সূত্র বলছে, এবার কাউন্সিলে দল এবং সরকারকে আলাদা করবেন আওয়ামী লীগ সভাপতি এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। দলের পদে যারা থাকবেন তারা মন্ত্রীত্ব নেবেন না এরকম একটি নীতি অনুসরণ করে তিনি এগিয়ে যাচ্ছেন। এভাবেই তিনি আগামী কাউন্সিলে নতুন কমিটি গঠনের প্রস্তুতি নিচ্ছেন বলেও আওয়ামী লীগের একাধিক নীতি নির্ধারক নিশ্চিত করেছেন। এটাই যদি হয় সেক্ষেত্রে আওয়ামী লীগের অন্তত ১১ মন্ত্রীকে হয় মন্ত্রীত্ব না হয় দলের নেতৃত্ব ছাড়তে হবে।সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো বলছে, দল পরিচালনার ক্ষেত্রে আওয়ামী লীগ সভাপতি যে মাপকাঠি নির্ধারণ করেছেন তা হলো প্রেসিডিয়াম এবং যারা সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য থাকবেন (কার্যনির্বাহী সংসদের সদস্যরা নন) তাদের পূর্ণকালীণ দলের দায়িত্ব গ্রহণ করার নীতি হচ্ছে বলেও আওয়ামী লীগের দায়িত্বশীল সূত্রগুলো নিশ্চিত করেছে। আর সেটা যদি করা হয় তাদেরকে দলের নেতৃত্ব অথবা মন্ত্রীত্ব যে কোন একটাই ছাড়তে হবে।তাদের মধ্যে রয়েছে প্রেসিডিয়াম সদস্য ড. আব্দুর রাজ্জাক, তিনি কৃষিমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, বর্তমানে তিনি সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। আওয়ামী লীগের ৪ যুগ্ন সাধারণ সম্পাদকের একজন ড. দীপু মনি বর্তমানে শিক্ষামন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করছেন। আওয়ামী লীগের অর্থবিষয়ক সম্পাদক টিপু মুনশি বর্তমানে বাণিজ্যমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। আইন সম্পাদক শ.ম. রেজাউল করিম গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। আওয়ামী লীগের ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক শেখ আব্দুল্লাহ বর্তমানে টেকনোক্র্যাট কোটায় ধর্মমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করছেন। আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ তথ্যমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করছেন। মহিলা বিষয়ক সম্পাদিকা ফজিলাতুন্নেসা ইন্দিরা মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করছেন।সাংগঠনিক সম্পাদকদের মধ্যে ৩ জন মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। এদের মধ্যে খালিদ মাহমুদ চৌধুরী নৌ পরিবহন প্রতিমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। আর জাকসুর সাবেক ভিপি এনামুল হক শামীম পানি সম্পদ মন্ত্রণালয় এবং ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।আওয়ামী লীগের দায়িত্বশীল সূত্রগুলো বলছে, বঙ্গবন্ধুর যে আকাঙ্ক্ষা, সেই আকাঙ্ক্ষা ধারণ করে যারা দলে থাকবেন তারা যদি মন্ত্রীত্ব না পান তাহলে এই ১১ জনকে এই ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিতে হবে।অবশ্য এদের একাধিক নেতার সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, এর মধ্যে প্রায় সকলেই সিদ্ধান্ত গ্রহণের দায়িত্ব আওয়ামী লীগ সভাপতি এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতে ছেড়ে দিতে চেয়েছেন। এদের একজন বলেছেন, দলের জন্য এবং সরকার পরিচালনার জন্য শেখ হাসিনা যে সিদ্ধান্ত নেবেন সেটাই হলো সবচেয়ে মঙ্গল। সেই অনুযায়ীই তারা সিদ্ধান্ত নেবেন।তাদের অধিকাংশই মনে করছেন যে দল এবং দেশের জন্য আওয়ামী লীগ সভাপতি সবসময় সঠিক সিদ্ধান্ত নেন। এবারও তার ব্যতিক্রম হবে না বলেই তারা মনে করেন।
Comments are closed.