April 27, 2024, 10:54 am

সাংবাদিক আবশ্যক
সাতক্ষীরা প্রবাহে সংবাদ পাঠানোর ইমেইল: arahmansat@gmail.com
শিরোনাম:
জুম্মার নামাজে মুসল্লিদের দোয়া চাইলেন মশিউর রহমান বাবু সাতক্ষীরায় অপহৃত ৮ম শ্রেণীর ছাত্রীকে উদ্ধার করলো পুলিশ সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজে পৃথক বার্ন ইউনিট না থাকায় জরুরী সেবা ঝুঁকিতে এসিড দগ্ধ ও পোড়া রুগীরা দাবদাহ উপেক্ষা করে ধান কেটে ঘরে তুলতে ব্যস্ত কৃষকরা সাতক্ষীরায় সড়ক দুর্ঘটনায় বাবা-ছেলে নিহত জনপ্রিয়তার শীর্ষে নতুন মুখ প্রভাষক সুশান্ত কুমার মন্ডল আশাশুনীতে বাপ্পী সীড হাউজ দোকান উদ্বোধন দক্ষিণ খুলনার অস্ত্র ও মাদকের গডফাদার ওজিয়ার গ্রেফতার সাতক্ষীরায় টিটিসিতে ৭৫ দিন মেয়াদী দক্ষতা উন্নয়ন বিষয়ক প্রশিক্ষণের মতবিনিময় তীব্র তাপদাহে জনজীবন বিপর্যস্ত, বিপাকে নিম্ন আয়ের মানুষ
দায় নিচ্ছে না কেউ

দায় নিচ্ছে না কেউ

নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জের সজীব গ্রুপের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান হাসেম ফুড অ্যান্ড বেভারেজ কারখানায় ভয়ংকর অগ্নিকাণ্ডের প্রায় ৪৮ ঘণ্টা পর উদ্ধার অভিযান সমাপ্ত ঘোষণা করেছে ফায়ার সার্ভিস। এদিন নতুন করে কোনো লাশ না পাওয়ায় মৃত্যুর সংখ্যার কোনো পরিবর্তনও হয়নি। তবে নতুন করে আরও ৫ জনের নিখোঁজ হওয়ার তথ্য জানা গেছে। এ নিয়ে শনাক্ত না হওয়া ৪৯টি লাশসহ নিখোঁজের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫৪ জনে। গতকাল শনিবারও কারখানা এলাকা ও ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতাল মর্গের সামনে ভিড় ছিল স্বজনহারাদের।

এদিকে এই ঘটনায় আগুনে পুড়িয়ে হত্যার অভিযোগ এনে সজীব গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আবুল হাসেমসহ আটজনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা করার পর সকলকেই গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। বিকেলে জেলা পুলিশ জানায়, হাসেম ও তার ছেলেসহ ৮ আসামিকেই চার দিনের রিমান্ডে পাওয়া গেছে। আবুল হাসেম ছাড়া রিমান্ডে নেওয়া অন্য আসামিদের মধ্যে রয়েছেন, তার ৪ ছেলে হাসীব বিন হাসেম ওরফে সজীব, তারেক ইব্রাহীম, তাওসীব ইব্রাহীম এবং তানজীম ইব্রাহীম। এছাড়া আছেন সজীব গ্রুপের প্রধান ও মো. সালাউদ্দিন। গতকাল দুপরের দিকে ঘটনাস্থল পরিদর্শনকালে এদের বিষয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন, তদন্তে দোষ পাওয়া গেলে তাদের বিষয়ে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী মাহবুবুর রহমান ইসমাইল জানান, শনিবার বিকেলে তাদের আদালতে তুলে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ১০ দিনের রিমান্ড চাইলে বিচারক চার দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। তিনি জানান, শুনানি শেষে জ্যেষ্ঠ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ফাহমিদা খাতুন চার দিনের রিমান্ডের আদেশ দেন।

এই আটজনকে গ্রেপ্তারের কথা জানিয়ে রূপগঞ্জ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) হুমায়ুন কবির মোল্লা বলেন, তাদের ১০ দিনের জন্য রিমান্ডে চেয়ে আদালতে পাঠানো হয়। পুলিশের পক্ষ থেকে শনিবার আটজনকে আসামি করে হত্যা মামলা হয়। তিনি বলেন, আগুনে পুড়িয়ে হত্যার অভিযোগ এনে ৩০২সহ কয়েকটি ধারায় এই মামলা হয়। মামলাটি করেছেন রূপগঞ্জের ভূলতা পুলিশ ফাঁড়ির পরিদর্শক নাজিম উদ্দিন মজুমদার।

নতুন কোনো মরদেহ মেলেনি : গতকাল বিকেলে কর্ণগোপ এলাকায় সরেজমিনে দেখা যায় ছয়তলা ভবনটি ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। ভবনের বেশকিছু অংশে ফাটল ধরেছে, আরও কিছু অংশ দেবে গেছে। ফলে ভবনটি ধসে পড়ার আশংকা করছে ফায়ার সার্ভিস। ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের উপসহকারী পরিচালক মোঃ তানহার বলেন, নতুন করে কোনো মৃতদেহ পাওয়া যায়নি। তবে তারা খুঁজে দেখছেন আর কারও মরদেহ পাওয়া যায় কি না। একই সঙ্গে পানি ছেটাচ্ছেন ভবনের প্রতিটি তলায়। যাতে নতুন করে কোথাও আগুনের সৃষ্টি না হয়। ফায়ার সার্ভিসের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে ভবনটির কয়েকটি ফ্লোরের সিলিং ধসে পড়েছে। পুরো ভবনটিই ধসে পড়তে পারে বলে সংশয় তাদের।

ছিল না অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা : ফায়ার সার্ভিস ও বেঁচে ফেরা শ্রমিকদের দেওয়া তথ্যমতে, ভবনের নিচতলায় প্রথমে আগুন লাগে। নিচতলায় ছিল ফয়েল প্যাকেটসহ বিভিন্ন কার্টন। এসব সহজেই দাহ্য হওয়ার কারণে মুহূর্তেই আগুন ছড়িয়ে পড়ে ভবনের অন্যান্য তলায়। শ্রমিকদের অভিযোগ, আগুন লাগার কিছুক্ষণ পরই ভবনের দুটি দরজা বন্ধ করে দেওয়া হয়। আগুন পুরো ভবনে ছড়িয়ে পড়লে ভীত-সন্ত্রস্ত শ্রমিকরা ভবন থেকে লাফিয়ে পড়েন। আর বাকিরা ভবনটিতে আটকা পড়ে পুড়ে মারা যান। ফায়ার সার্ভিসের পরিচালক (অপারেশন) জিল্লুর রহমান সাংবাদিকদের বলেন, হাসেম ফুডের কারখানাটিতে বিল্ডিং কোড মানা হয়নি, ছিল না পর্যাপ্ত এক্সিটের ব্যবস্থা, ছিল না কোনো অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা। একটি কারখানা নির্মাণ করতে রাজউক, স্থানীয় পৌরসভা অথবা ইউনিয়ন, ফায়ার সার্ভিসের অনুমতি, কারখানা অধিদপ্তরের অনুমতি নিতে হয়। অতিরিক্ত কেমিক্যাল ব্যবহার করলে বিস্ফোরক অধিদপ্তরের অনুমতি নিতে হয়। কারখানাটিতে অতিরিক্ত পরিমাণ দাহ্য পদার্থ থাকায় ফায়ার সার্ভিসকর্মীদের আগুন নেভাতে সময় বেশি লেগেছে। এ ভবনটিতে কমপক্ষে চারটি এক্সিট পয়েন্ট (সিঁড়ি) থাকা প্রয়োজন ছিল। কিন্তু আমরা পশ্চিম পাশে ও উত্তরপাশে মাত্র দুটি এক্সিট পয়েন্ট পেয়েছি। তার মধ্যে উত্তরপাশের এক্সিট পয়েন্টটি মালামাল ও মেশিনারিজ দিয়ে বন্ধ করা ছিল। এ ক্ষেত্রে শ্রমিকরা মাত্র একটি এক্সিট পয়েন্ট ব্যবহার করতে পেরেছে। এ কারণেই অনেক প্রাণহানি ঘটে।

৩০ জুন মামলা হয় কারখানার বিরুদ্ধে : কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরের নারায়ণগঞ্জ জেলা উপ-মহাপরিদর্শক সৌমেন বড়ুয়ার সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, হাসেম ফুড কারখানাতে আমাদের অফিসাররা পরিদর্শনে গিয়ে বিভিন্ন অনিয়ম পাওয়ায় কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে গত ৩০ জুন একটি মামলা দেওয়া হয়। এমনকি এসব অনিয়মের কারখানা কর্র্তৃপক্ষকে নোটিসও করা হয়েছিল। এসময় তিনি আরও বলেন, হাসেম ফুডে অগ্নিকা-ের ঘটনায় কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে ৬ সদস্যবিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।

এ ব্যাপারে তারাব পৌরসভার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা নজরুল ইসলাম দেশ রূপান্তরকে বলেন, এই ভবনটি আমাদের তারাব পৌরসভার বাইরে পড়েছে। তাই ভবনটির আমরা কোনো অনুমোদন দিইনি। তিনি মিটিংয়ে আছেন বলে ব্যস্ততা দেখিয়ে ফোন কেটে দেন।

সাত ক্লু ধরে তদন্ত শুরু : অগ্নিকান্ডের ঘটনায় তিনটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। এর মধ্যে নারায়ণগঞ্জ অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) শামিম বেপারীকে প্রধান করে ৫ সদস্যের একটি, ঢাকা ফায়ার সার্ভিসের পরিচালক জুলফিকার রহমানকে প্রধান করে সাত সদস্য ও কারখানার পরিদর্শককে প্রধান করে তিন সদস্যবিশিষ্ট তদন্ত কমিটি করা হয়েছে। জেলা প্রশাসন কর্তৃক গঠিত তদন্ত কমিটির প্রধান মোঃ শামীম বেপারী দেশ রূপান্তরকে বলেন, আমরা বেশ কয়েকটি বিষয়কে গুরুত্ব দিয়ে তদন্ত কার্যক্রম শুরু করেছি। তবে তদন্তাধীন বিষয়ে এই মুহূর্তে কিছু বলা যাচ্ছে না। তদন্ত রিপোর্ট তৈরি করে আপনাদের যথাসময়ে জানানো হবে। প্রাথমিকভাবে সাতটি ‘ক্লু’ ধরে অনুসন্ধান চলছে আরও অনেক সম্পূরক বিষয় আসছে তদন্তে। নারায়ণগঞ্জের পুলিশ সুপার মো. জায়েদুল আলম জানান, সেজান জুস কারখানায় আগুন লাগার কারণ অনুসন্ধানে পুলিশের একাধিক টিম কাজ করছে। অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত কোথা থেকে, কী কারণে আগুন এমন ভয়াবহ রূপ নিল, এত শ্রমিকের প্রাণহানি কেন ঘটল, আগুন লাগার পর শ্রমিকরা কারখানা থেকে কেন বের হতে পারেননি, এটা শুধু দুর্ঘটনা নাকি অন্য কিছু, কারখানা নির্মাণে ত্রুটি ছিল কি-না ও মালিকপক্ষের গাফিলতি কতটুকু সব বিষয় মাথায় রেখেই তদন্ত করা হচ্ছে। দোষীদের আইনের আওতায় এনে শাস্তির ব্যবস্থা করা হবে। ইতিমধ্যে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) ও র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র‌্যাব) টিম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে বিভিন্ন আলামত জব্দ করেছে। কারখানায় কর্মরত শ্রমিক থেকে শুরু করে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করছেন তারা। আগুন লাগার পেছনে অন্য কোনো কারণ আছে কি-না তা অনুসন্ধানের চেষ্টা চলছে।

বেতন ভাতার আন্দোলনের মধ্যে হঠাৎ আগুন : করোনা সংক্রমণরোধে কঠোর লকডাউন শুরুর প্রথম দিন বকেয়া বেতন ও ভাতার দাবিতে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ মিছিল করেন সেজান জুস কারখানার শ্রমিকরা। তার এক সপ্তাহের মাথায় অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটল। এতে অনেকে প্রশ্ন তুলছেন, শ্রমিকদের বেতন ও ভাতার দাবিতে বিক্ষোভের সঙ্গে কি অগ্নিকাণ্ডের কোনো সম্পর্ক আছে? শ্রমিক বিক্ষোভের এক সপ্তাহের মাথায় কেন আগুন লাগল? কারখানার একাধিক শ্রমিকের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, সেজান জুস কারখানায় শ্রমিকদের এক মাসের বেতন বকেয়া রেখে চলতি মাসের বেতন পরিশোধ করা হয়। অর্থাৎ সব সময়ই এক মাসের বেতন বকেয়া থাকে। যে কারণে বেতন পরিশোধের দাবি জানিয়ে আসছিলেন তারা। গত ১ জুলাই শ্রমিকরা ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন। এই অবস্থায় মালিক-শ্রমিকদের মধ্যে কোনো দ্বন্দ্বের কারণে কারখানায় অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে কি-না, সে বিষয়টিও খতিয়ে দেখছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা।

বৃহস্পতিবার বিকেল ৫টার দিকে কারখানার ছয়তলা ভবনটির নিচতলায় অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত হয়। মুহূর্তেই আগুন ভবনের অন্যান্য তলায় ছড়িয়ে পড়ে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে যায় ফায়ার সার্ভিস। আগুন নিয়ন্ত্রণে একে একে ১৮টি ইউনিট কাজ শুরু করে। তবে এর মধ্যেই আতঙ্কে বিভিন্ন তলা থেকে লাফিয়ে পড়েন শ্রমিকরা। রাত ৮টার দিকে ওই অগ্নিকাণ্ডে দুজনের মৃত্যু ও অর্ধশত শ্রমিকের আহত হওয়ার খবর পাওয়া যায়। আহতদের মধ্যে কয়েকজনকে স্থানীয় একটি বেসরকারি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে দুই নারী শ্রমিকের মৃত্যু হয়। পরে রাত ১০টার দিকে ঢামেকে নেওয়া ৯ জনের মধ্যে একজনের মৃত্যু হয়। এদের সবাই লাফিয়ে পড়ে আহত হন। এরপর চলতে থাকে ফায়ার সার্ভিসের চেষ্টা। পরদিন গতকাল শুক্রবার ভোরের দিকে আগুন প্রায় নিয়ন্ত্রণে এসেছিল। কিন্তু সকালে চতুর্থ তলা থেকে আগুন বেড়ে যায়। এদিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে না আসায় এবং কারখানায় বহু শ্রমিকের মরদেহ পড়ে থাকার খবর শুনে ক্ষুব্ধ হয়ে বেলা ১১টায় ওই এলাকায় বিক্ষোভ শুরু করেন শ্রমিকরা। এতে যোগ দেন এলাকাবাসীও। তাদের সঙ্গে আনসার-পুলিশের সংঘর্ষ হয়। এর মধ্যে দুপুরের দিকে চতুর্থ তলার আগুন নিয়ন্ত্রণে আসায় সেখানে শুরু হয় উদ্ধার অভিযান। একে একে বের করে আনা হয় ৪৯টি সাদা ব্যাগ।

স্থানীয় প্রশাসন জানায় লাশগুলো দেখে চেনার উপায় না থাকায় ঢামেকে ডিএনএ পরীক্ষা করে শানাক্ত করা হবে। তাই স্বজনদের ঢামেকে যেতে বলা হয়। মরদেহগুলো ঢামেকে আনার পর থেকেই এখানে ভিড় করতে শুরু করেন নিহতদের স্বজনরা।

প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয়দের ভাষ্য, কর্ণগোপ এলাকায় অবস্থিত সজীব গ্রুপের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান হাসেম ফুড লিমিটেড কারখানায় প্রায় সাত হাজার শ্রমিক-কর্মচারী কাজ করেন। কারখানার ছয়তলা ভবনটিতে নুডলস, মেকারনি ললিপপ, চকলেটসহ বিভিন্ন খাবার পণ্য তৈরি করা হয়। ওই ভবনে আট শতাধিক শ্রমিক কাজ করেন। ছয়তলা ভবনে থাকা কারখানাটির নিচতলার একটি ফ্লোরের কার্টন এবং পলিথিন তৈরির কাজ চলে। সেখানকার প্রায় অর্ধেকই শিশুশ্রমিক। শিশুশ্রমসংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের ম্যানেজ করে বছরের পর বছর কারখানায় শিশুশ্রমিকদের দিয়ে কাজ করানো হতো। দীর্ঘদিন ধরে শ্রমিকরা বলার পরও কারখানা কর্র্তৃপক্ষ অগ্নিনির্বাপণের জন্য কোনো ব্যবস্থা করেনি। এছাড়া এ কারখানায় প্রায় সময়ই আগুন লাগে। সর্বশেষ গত এক মাস আগে কারখানাটির ওই ভবনের তৃতীয় তলায়ও আগুন লাগে। এ ঘটনায় অন্তত আটজন আহত হন।

শ্রমিকরা জানান, করোনাকালে পরিবার-পরিজন নিয়ে একটু ভালো থাকার আশায় সব বয়সের শ্রমিকরাই কাজ করতেন প্রতিষ্ঠানটিতে। অন্য দিনের মতো বৃহস্পতিবারও তারা কাজে এসেছিলেন। কিন্তু তারা কেউ জানতেন না কারাখানা কর্র্তৃপক্ষের অবহেলায় অনেকেরই আর ফেরা হবে না পরিবারের কাছে, অনেকেই আর কখনো প্রিয়জনের দেখা পাবেন না।


Comments are closed.

ইমেইল: arahmansat@gmail.com
Design & Developed BY CodesHost Limited
Raytahost Facebook Sharing Powered By : Raytahost.com