April 27, 2024, 7:24 am

সাংবাদিক আবশ্যক
সাতক্ষীরা প্রবাহে সংবাদ পাঠানোর ইমেইল: arahmansat@gmail.com
শিরোনাম:
জুম্মার নামাজে মুসল্লিদের দোয়া চাইলেন মশিউর রহমান বাবু সাতক্ষীরায় অপহৃত ৮ম শ্রেণীর ছাত্রীকে উদ্ধার করলো পুলিশ সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজে পৃথক বার্ন ইউনিট না থাকায় জরুরী সেবা ঝুঁকিতে এসিড দগ্ধ ও পোড়া রুগীরা দাবদাহ উপেক্ষা করে ধান কেটে ঘরে তুলতে ব্যস্ত কৃষকরা সাতক্ষীরায় সড়ক দুর্ঘটনায় বাবা-ছেলে নিহত জনপ্রিয়তার শীর্ষে নতুন মুখ প্রভাষক সুশান্ত কুমার মন্ডল আশাশুনীতে বাপ্পী সীড হাউজ দোকান উদ্বোধন দক্ষিণ খুলনার অস্ত্র ও মাদকের গডফাদার ওজিয়ার গ্রেফতার সাতক্ষীরায় টিটিসিতে ৭৫ দিন মেয়াদী দক্ষতা উন্নয়ন বিষয়ক প্রশিক্ষণের মতবিনিময় তীব্র তাপদাহে জনজীবন বিপর্যস্ত, বিপাকে নিম্ন আয়ের মানুষ
দ্বিতীয় ডোজের ১৪ লাখ টিকার ঘাটতি

দ্বিতীয় ডোজের ১৪ লাখ টিকার ঘাটতি

দেশে চাহিদার বিপরীতে এই মুহূর্তে ১৪ লাখ ৩৯ হাজার ৫১৪ ডোজ টিকার ঘাটতি রয়েছে। অর্থাৎ সময় মতো টিকা না আসলে প্রথম ডোজ নেওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে ১৪ লাখ ৩৯ হাজার ৫১৪ জন দ্বিতীয় ডোজের টিকা পাবেন না। বুধবার (৫ মে) দুপুরে কোভিড-১৯ পরিস্থিতি নিয়ে স্বাস্থ্য অধিদফতর আয়োজিত ভার্চুয়াল স্বাস্থ্য বুলেটিনে অধিদফতরের মুখপাত্র অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ রোবেদ আমিন এ তথ্য জানান। তিনি বলেন, গত ২৭ ফেব্রুয়ারি দেশে করোনাভাইরাসের টিকাদান কর্মসূচি শুরু হয়েছিল। তখন থেকে গতকাল (৪ মে) পর্যন্ত টিকার প্রথম ডোজ নিয়েছেন ৫৮ লাখ ১৯ হাজার ৭৫৭ জন। আর দ্বিতীয় ডোজ নিয়েছেন ৩১ লাখ ৬ হাজার ৭০৯ জন। অর্থাৎ, দুই ডোজ মিলিয়ে মোট ৮৯ লাখ ২৬ হাজার ৪৬৬ ডোজ ভ্যাকসিন দেওয়া হয়েছে। টিকার বর্তমান মজুতের সঙ্গে হিসাব মিলিয়ে দেখা গেছে, ১৪ লাখ ৩৯ হাজার ৫১৪ ডোজের সংকট রয়েছে।

রোবেদ আমিন বলেন, টিকা সংকটের কারণে গত ২৬ এপ্রিল থেকে প্রথম ডোজ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এখনো দ্বিতীয় ডোজ নেওয়া বাকি ২৭ লাখ ১৩ হাজার ৪৮ জনের। দেশে এখন মজুত টিকা আছে ১২ লাখ ৭৩ হাজার ৫৩৪ ডোজ। এ কারণে টিকার দ্বিতীয় ডোজের অনিশ্চয়তায় পড়েছেন ১৪ লাখ ৩৯ হাজার ৫১৪ জন।

তবে আশাবাদ ব্যক্ত করে তিনি বলেন, ঈদুল ফিতরের আগেই চীন থেকে টিকা আসার সুযোগ আছে। আমরা আশা করছি সেটি দ্রুতগতিতেই আমাদের কাছে পৌঁছাবে। এ টিকা ছাড়াও রাশিয়ার যে স্পুটনিক টিকা বাংলাদেশে আসার ব্যাপারে আলোচনা চলছে, সেটি দেশে আনতে ছাড়পত্র প্রয়োজন, যা বর্তমানে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ে আছে। আমরা আশা করছি দ্রুত গতিতে ছাড়পত্র পেলে রাশিয়ার টিকা আনতে সক্ষম হব। তিনি আরও বলেন, আমাদের বাংলাদেশের রেনেটা ফার্মাসিউটিক্যালস মডার্নার টিকা আনার জন্য সরকারের কাছে আবেদন করেছে। এটি নিয়েও তাদের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা বিদ্যমান আছে। এছাড়াও দেশের তিনটি ফার্মাসিটিক্যালস কোম্পানি ইতোমধ্যে সরকারের সঙ্গে যোগাযোগ করেছে তারা বাংলাদেশি টিকা উৎপাদন করতে চায়। তারা এটি নিয়ে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে এবং তাদের সক্ষমতাও স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে ইতোমধ্যে দেখা হয়েছে। এই তিনটি কোম্পানি এক বছরে দেড় কোটি ভ্যাকসিন উৎপাদন করতে পারবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছে।

দেশের বর্তমান করোনা পরিস্থিতি নিয়ে তিনি বলেন, আমরা সংক্রমণের পরিস্থিতি নিয়মিত পর্যবেক্ষণ করছি। বিগত সাত দিনে পরিস্থিতি এখন আগের চেয়ে ভালো। একটা সময় ছিল যখন প্রতিদিন ছয় থেকে সাত হাজারের বেশি করোনা শনাক্ত হতো। কিন্তু গত সাত দিনে এখন শনাক্তের হার প্রায় ৮.৭১ এ চলে এসেছে। এভাবেই সংক্রমণ যেন নিচের দিকে চলে আসে এবং এটা যেন অব্যাহত থাকে, এজন্য আমাদের অবশ্যই স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিত করতে হবে। জনসাধারণকে চলাচল সীমিত করতে হবে। অবস্থা যদি সঠিকভাবে নিয়ন্ত্রণ না করতে পারি, তাহলে সংক্রমণের হার আবারও যেকোনো সময় বেড়ে যেতে পারে। এ জন্য সবাইকে কঠোরভাবে স্বাস্থ্যবিধি মানতে হবে।


Comments are closed.

ইমেইল: arahmansat@gmail.com
Design & Developed BY CodesHost Limited
Raytahost Facebook Sharing Powered By : Raytahost.com