April 27, 2024, 7:26 am
হত্যাচেষ্টা মামলার পলাতক আসামিদের সঙ্গে নিজের জন্মদিনের কেক কেটে পুলিশের ভাবমূর্তি ক্ষুন্নের অপরাধে জেলার চকরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ ওসমান গণিকে প্রত্যাহার করে নেয়া হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৭ মার্চ) কক্সবাজারের পুলিশ সুপার (এসপি) মো. হাসানুজ্জামান স্বাক্ষরিত এ সংক্রান্ত একটি অফিস আদেশে তাকে প্রত্যাহার করা হয়।
অফিস আদেশের সত্যতা নিশ্চিত করে কক্সবাজারের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. রফিকুল ইসলাম জানান, থানার মধ্যে পলাতক আসামিদের সঙ্গে ওসির জন্মদিন পালন, আসামিদের কেক খাইয়ে দেয়া ও আসামিদের সঙ্গে অন্তরঙ্গ মুহূর্তের ছবি কয়েকটি গণমাধ্যমসহ বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ায় বিতর্ক তৈরি হয়েছে। সে কারণে তাকে প্রত্যাহার করে কক্সবাজার পুলিশ লাইনে সংযুক্ত করা হয়েছে।
এর আগে ২ মার্চ বিকেলে হত্যাচেষ্টা মামলার পলাতক আসামি আরহান মাহমুদ ওরফে রুবেল কক্সবাজারের চকরিয়া থানায় ওসি মুহাম্মদ ওসমান গণিকে জন্মদিনের কেক খাইয়ে দেয়ার ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল হয়।
সেখানে দেখা যায়, ওসি ওসমান গণি মাঝখানে দাঁড়িয়ে আছেন। তার বাঁয়ে কালো কোট পরা আরহান, আলিফসহ কয়েকজন ওসির মুখে জন্মদিনের কেক তুলে দিচ্ছেন। ওসিও আরহানকে কেক খাইয়ে দেন। এরপর আরহানের সঙ্গে যাওয়া তরুণদের নিয়ে ওসি ফটোসেশন করেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ২০১৯ সালের ২৯ এপ্রিল রাতে চকরিয়া উপজেলা ছাত্রলীগের বহিষ্কৃত সাবেক সাধারণ সম্পাদক আরহান মাহমুদ রুবেলের (২৪) নেতৃত্বে ২০-২২ জনের একটি দল কক্সবাজার জেলা ছাত্রলীগের সদস্য তারেকুল ইসলাম রাহিতকে কুপিয়ে জখম করে। সে সময় তারেকুলের মোটরসাইকেলটিও ভাঙচুর করে তারা।
এ ঘটনায় তারেকুলের ছোট ভাই তানজীমুল ইসলাম বাদী হয়ে রুবেলকে প্রধান আসামি করে চকরিয়া থানায় ১০ জনের নাম উল্লেখ করে একটি মামলা দায়ের করেন। মামলার ৬ নম্বর আসামি করা হয় মোহাম্মদ আলিফকে।
পরে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এজাহারে উল্লেখ করা ১০ আসামির বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। এরপর আসামিদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে আদালত। এরপর থেকে আসামি আরহান মাহমুদ রুবেল ও মোহাম্মদ আলিফকে খুঁজে না পাওয়া যাচ্ছে না বলে দাবি করছিলেন চকরিয়া থানার ওসি ওসমান গনি।
অথচ ২ মার্চ তাকে নিয়ে থানায় বসে জন্মদিনের কেক কাটেন ওই আসামিরা। এতে আরও কিছু তরুণ কেক কাটার উৎসবে অংশ নেয়। ওই যুবকরা ওসির সঙ্গে ফটোসেশনে অংশ নেয়।
এ ব্যাপারে চকরিয়া থানার ওসি ওসমান গণির মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলেও ফোন রিসিভ না করায় তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
Comments are closed.