April 27, 2024, 9:41 am

সাংবাদিক আবশ্যক
সাতক্ষীরা প্রবাহে সংবাদ পাঠানোর ইমেইল: arahmansat@gmail.com
শিরোনাম:
জুম্মার নামাজে মুসল্লিদের দোয়া চাইলেন মশিউর রহমান বাবু সাতক্ষীরায় অপহৃত ৮ম শ্রেণীর ছাত্রীকে উদ্ধার করলো পুলিশ সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজে পৃথক বার্ন ইউনিট না থাকায় জরুরী সেবা ঝুঁকিতে এসিড দগ্ধ ও পোড়া রুগীরা দাবদাহ উপেক্ষা করে ধান কেটে ঘরে তুলতে ব্যস্ত কৃষকরা সাতক্ষীরায় সড়ক দুর্ঘটনায় বাবা-ছেলে নিহত জনপ্রিয়তার শীর্ষে নতুন মুখ প্রভাষক সুশান্ত কুমার মন্ডল আশাশুনীতে বাপ্পী সীড হাউজ দোকান উদ্বোধন দক্ষিণ খুলনার অস্ত্র ও মাদকের গডফাদার ওজিয়ার গ্রেফতার সাতক্ষীরায় টিটিসিতে ৭৫ দিন মেয়াদী দক্ষতা উন্নয়ন বিষয়ক প্রশিক্ষণের মতবিনিময় তীব্র তাপদাহে জনজীবন বিপর্যস্ত, বিপাকে নিম্ন আয়ের মানুষ
পাইকগাছায় ভুল চিকিৎসায় শিশুর মৃত্যু: মামলা

পাইকগাছায় ভুল চিকিৎসায় শিশুর মৃত্যু: মামলা

খুলনার পাইকগাছায় ক্লিনিকে ভুল চিকিৎসায় শিশু মৃত্যুর ঘটনায় আদালতে মামলা হয়েছে। আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) বদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন। মামলাটি দায়ের করেছেন, উপজেলার চাঁদখালী ইউনিয়নের কাাঁটাবুনিয়া গ্রামের বাসিন্দা ইয়াকুব আলী। তিনি ঘটনায় সোমবার ক্লিনিক মালিক তাপস মিস্ত্রী ও অনিমা তরফদারের বিরুদ্ধে স্থানীয় সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলাটি দায়ের করেন। মামলায় তার অভিযোগ, গত ১৯ এপ্রিল তার অন্তসত্ত্বা স্ত্রী ফতেমা খাতুনের প্রসব ব্যথা শুরু হলে স্থানীয় প্রাইভেট প্রাকটিশনার আব্দুল সালামের পরামর্শে স্ত্রীকে নিয়ে পাইকগাছা পৌর সদরের অনিমা ক্লিনিকে ভর্তি করেন। এরপর ক্লিনিকে কোন ডাক্তার না থাকায় পরিচালক তাপস মিস্ত্রী ও অনিমা তরফদার নিজেদের ডাক্তার পরিচয় দিয়ে তার স্ত্রীকে অপারেশন থিয়েটারে নিয়ে যান। প্রথমত তাদের নরমাল ডেলিভারীর প্রচেষ্টা ব্যার্থ হওয়ায় রোগীর অবস্থা দূর্বল হয়ে পড়ে।

এ সময় রোগীর অবস্থা খারাপ হওয়ায় একপর্যায়ে তারা পাইকগাছা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ডাক্তার সুজন সরকার ও ডাক্তার নিতীষকে ডেকে অপারেশন (সিজার) করে অর্ধমৃত অবস্থায় বাচ্চা প্রসব করান। কিছুক্ষণ পর বাচ্চাটি মারা যায়। এসময় তার স্ত্রীর অবস্থা বেগতিক হয়ে পড়লে ডাক্তার সুজন সরকার তাকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করেন। পরে তার স্ত্রী ফতেমা খাতুন সুস্থ হলে তিনি এ ঘটনায় গত সোমবার পাইকগাছা সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলাটি করেন। এ বিষয়ে অনিমা ক্লিনিকের পরিচালক তাপস মিস্ত্রির কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, রোগীর অনুমতি সাপেক্ষে ‘হাসপাতালের ডাক্তার সুজন সরকার ও ডাক্তার নিতীশ গোলদার এ অপারেশনটি করেন। এ বিষয় ডাক্তার সুজন সরকার বলেন, ‘এলাকার সালাম নামে একজন গ্রাম্য ডাক্তার রোগীর জরায়ুর মুখ খোলার জন্য ইনজেকশন দেয়। রোগীর অবস্থা বেগতিক হলে তাকে ক্লিনিকে নেয়া হয়।

এরপর তিনি ও ডা. নীতিশ রোগীর অবস্থা খারাপ দেখে তাৎক্ষণিক তাকে খুলনায় নেওয়ার পরামর্শ দেন। তবে রোগীর সাথে থাকা অভিভাবকদের অনুরোধে তারা অপারেশন হলেও নবজাতককে বেশিক্ষণ বাঁচিয়ে রাখা সম্ভব হয়নি। এরপর জরুরী অবস্থায় তারা রোগীকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করেন। এ মামলার আইনজীবী প্রশান্ত কুমার ম-ল বলেন, ‘ঘটনার প্রাথমিক সত্যতা পাওয়ায় বিচারক মামলাটি আমলে নিয়ে অধিকতর তদন্তের জন্য পিবিআইকে নির্দেশ দিয়েছেন।


Comments are closed.

ইমেইল: arahmansat@gmail.com
Design & Developed BY CodesHost Limited
Raytahost Facebook Sharing Powered By : Raytahost.com