April 27, 2024, 10:19 am

সাংবাদিক আবশ্যক
সাতক্ষীরা প্রবাহে সংবাদ পাঠানোর ইমেইল: arahmansat@gmail.com
শিরোনাম:
জুম্মার নামাজে মুসল্লিদের দোয়া চাইলেন মশিউর রহমান বাবু সাতক্ষীরায় অপহৃত ৮ম শ্রেণীর ছাত্রীকে উদ্ধার করলো পুলিশ সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজে পৃথক বার্ন ইউনিট না থাকায় জরুরী সেবা ঝুঁকিতে এসিড দগ্ধ ও পোড়া রুগীরা দাবদাহ উপেক্ষা করে ধান কেটে ঘরে তুলতে ব্যস্ত কৃষকরা সাতক্ষীরায় সড়ক দুর্ঘটনায় বাবা-ছেলে নিহত জনপ্রিয়তার শীর্ষে নতুন মুখ প্রভাষক সুশান্ত কুমার মন্ডল আশাশুনীতে বাপ্পী সীড হাউজ দোকান উদ্বোধন দক্ষিণ খুলনার অস্ত্র ও মাদকের গডফাদার ওজিয়ার গ্রেফতার সাতক্ষীরায় টিটিসিতে ৭৫ দিন মেয়াদী দক্ষতা উন্নয়ন বিষয়ক প্রশিক্ষণের মতবিনিময় তীব্র তাপদাহে জনজীবন বিপর্যস্ত, বিপাকে নিম্ন আয়ের মানুষ
পুষ্টিহীনতায় মা ও শিশু: কারণ ও প্রতিকার

পুষ্টিহীনতায় মা ও শিশু: কারণ ও প্রতিকার

সাতক্ষীরা মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্রে গত ২৪ জানুয়ারি ২০১৯ তারিখে রহিমা খাতুনের গর্ভে জন্ম নেওয়া ছেলে শিশুটির ওজন ২ কেজি ১০০ গ্রাম। রহিমা খাতুনের বাড়ি সদর উপজেলার রইচপুর গ্রামে। তার স্বামীর নাম আকছেদ মোল্যা। মায়ের গর্ভ থেকে শিশুটি অপুষ্টি নিয়েই পৃথিবীতে এসেছে। অপুষ্টির শিকার শুধু শিশুটি নয়, শিকার হয়েছেন মা রহিমা খাতুনও। গত এক বছরে এ রকম অনেক রহিমার গর্ভ থেকে জন্ম নিয়েছে অনেক শিশু। সাতক্ষীরা মা ও শিশু কল্যান কেন্দ্র থেকে আরও জানা যায়, দেবহাটা উপজেলার কুলিয়া গ্রামের হাফিজুল ইসলামের স্ত্রী জাহানারা খাতুনের গর্ভ থেকে জন্ম হয় ১ কেজি ৯০০ গ্রাম ওজনের একটি কন্যা শিশু। এরপর সদর উপজেলার লাবসা এলাকার শামীম রেজার স্ত্রী রীনা পারভীনের গর্ভে জন্ম হয় ২ কেজি ১০০ গ্রাম ওজনের একটি ছেলে শিশু। একই উপজেলার দেবনগর এলাকার অশোক সরকারের স্ত্রী কাকলী সরকারের গর্ভ থেকে ভূমিষ্ঠ হয় একটি ছেলে শিশু। শিশুটির ওজন ২ কেজি ৩০০ গ্রাম। সদর উপজেলার ভবানীপুর গ্রামের কামাল হোসেনের স্ত্রী রোকেয়া খাতুনের গর্ভে জন্ম হয় জমজ কন্যা সন্তান। সন্তান দুটির ওজন যথাক্রমে ১ কেজি ২০০ গ্রাম ও ২ কেজি ৪০০ গ্রাম। পৌরসভার মিয়াসাহেবের ডাঙ্গী গ্রামের ইউসুফ আলীর স্ত্রী উম্মে সামিহার গর্ভে জন্ম হয় ২ কেজি ৩০০ গ্রাম ওজনের একটি ছেলে শিশু। অথচ এসব শিশুদের ওজন হওয়ার কথা ছিলো ২ কেজি ৫০০ গ্রাম বা তার বেশি। কিন্তু কম ওজন নিয়েই তারা পৃথিবীতে এসেছে। এসব শিশুর কম ওজনের কারণ কী সে প্রশ্নের উত্তরে সাতক্ষীরা মা ও শিশু কল্যান কেন্দ্রের চিকিৎসক লিপিকা বিশ্বাস বলেন, জন্মগ্রহণের সময় নবজাতকের ওজন আড়াই কেজি থেকে চার কেজি হলে স্বাভাবিক হিসেবে ধরা হয়। মায়ের অপুষ্টিজনিত কারণে এসব শিশুরা কম ওজন নিয়ে ভূমিষ্ট হচ্ছে। মায়ের অপুষ্টির কারণ জানতে চাইলে তিনি বলেন, বাল্যবিবাহ, ডায়াবেটিস, গর্ভাবস্থায় সঠিক পরিচর্যার অভাব, স্বাস্থ্যবিধি না মানা, মায়ের জরায়ু টিউমার, মায়ের উচ্চ রক্তচাপসহ পুষ্টিকর খাবার গ্রহণ না করার কারণেও শিশু অপুষ্টিজনিত রোগে ভুগে থাকে। এর পেছনে নারীর প্রতি অবহেলা, কুসংস্কার, অশিক্ষা, নারীর প্রতি বৈষম্য, পারিবারিক সমস্যা, দারিদ্র্য ইত্যাদি কারণ বিদ্যমান বলে মনে করেন বরেণ্য এ চিকিৎসক। সুস্থ, স্বাভাবিক শিশু জন্মদানে গর্ভাবস্থায় মায়ের স্বাভাবিকের তুলনায় ২০-৩০ শতাংশ অতিরিক্ত পুষ্টিসমৃদ্ধ খাবার গ্রহণের প্রয়োজন হয়। এর ব্যত্যয় ঘটলে স্বল্প ওজনের শিশু জন্মের ঝুঁকি বাড়ে। ন্যাশনাল লো বার্থ ওয়েট সার্ভের গবেষকদের উদ্ধৃতি তিনি বলেন, দেশে স্বল্প ওজনের শিশু জন্মের হার ২২ দশমিক ৬ শতাংশ।

সুস্থ, স্বাভাবিক শিশু জন্মদানে গর্ভাবস্থায় মায়ের স্বাভাবিকের তুলনায় ২০-৩০ শতাংশ অতিরিক্ত পুষ্টিসমৃদ্ধ খাবার গ্রহণের প্রয়োজন হয়। এর ব্যত্যয় ঘটলে স্বল্প ওজনের শিশু জন্মের ঝুঁকি বাড়ে।

তিনি আরও বলেন, এ সমস্যা শুধু সাতক্ষীরা মা ও শিশু কল্যান কেন্দ্রের নয়, গোটা জেলায় এমনটি গোটা দেশের সমস্যা। এ সমস্যা থেকে উত্তরণে আমাদের এখনই সময়। মায়ের পুষ্টি, শিশুর পুষ্টি নিশ্চিত করতে না পারলে আমাদের আগামী প্রজন্ম অপুষ্টই থেকে যাবে। ২০৩০ সালের এসডিজি উন্নয়নের লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হবে না, যদি এ অবস্থা চলতে থাকে।

দেশের মোট জনসংখ্যার অর্ধেক নারী। তার ওপর অসহায়, নির্বিত্ত এবং সুবিধাবঞ্চিত এই গোষ্ঠী বিভিন্ন সামাজিক আবর্জনার জালে আটকা পড়ে আছে। সংবিধান কর্তৃক প্রদত্ত মৌলিক অধিকার অর্জনে নারীরা আজও নিজেদের সঠিক স্থানে নিয়ে আসতে ব্যর্থ হয়। সংখ্যায় অপ্রতুল কিছু নারী তাদের সম্মান এবং স্বাধীনতাকে আয়ত্তে আনলেও সিংহভাগ গোষ্ঠীই এখনও যে তিমিরে সেই তিমিরেই। খাদ্য, বস্ত্র, বাসস্থান, শিক্ষা এবং চিকিৎসার মতো ৫টি নৈতিক দাবি মেটানো আজও অনেক নারীর পক্ষে সম্ভব হয়নি। অন্ন, বস্ত্র কিংবা বাসস্থান যদিও বা জোটে শিক্ষাকার্যক্রমে পড়ে পিছিয়ে। এক সময় অনেক টানাপেড়েনে শিক্ষা ব্যবস্থায় নিজেদের সম্পৃক্ত করতে পারলেও চিকিৎসাসেবা হয়ে যায় সুদূরপরাহত। সুতরাং সব অধিকার একই সঙ্গে জীবনের অনুষঙ্গ করা সত্যিই এক অকল্পনীয় ব্যাপার। শিক্ষা এবং স্বাস্থ্যসেবার মতো জরুরী বিষয়গুলো অবহেলিত হলে বিপাকে শুধু নারীরাই পড়বে না দেশ ও জাতির ভবিষ্যত প্রজন্মও সঙ্কটময় অবস্থায় গিয়ে দাঁড়াবে। একটি সুস্থ এবং শিক্ষিত জাতি উপহার দিতে পারেন একজন যোগ্য এবং সচেতন মা। সুতরাং মায়ের স্বাস্থ্য পরিচর্যার সঙ্গে নিবিড়ভাবে যুক্ত হয়ে আছে একজন শিশুর আগামী দিনের ভবিষ্যত। মা যদি শারীরিকভাবে সুস্থ এবং সবল না থাকেন তাহলে গর্ভকালীন অবস্থা থেকে শুরু করে, সন্তান প্রসবপরবর্তী শিশু প্রতিপালন সবই বিপন্ন হতে সময় নেবে না। তবে উন্নয়নের অগ্রযাত্রা বাংলাদেশ এখন নারী ও শিশুর স্বাস্থ্য সুরক্ষা প্রকল্পকেও সর্বাধিক গুরুত্ব দিয়ে যাচ্ছে। যেমন মাতৃত্বকালীন ছুটি বাড়ানো থেকে শুরু করে গর্ভকালীন সময়ে ভাতা প্রদান এবং শিশুর বিশেষ সেবা প্রদানে নানা রকম আর্থিক অনুদান সরকার থেকে ইতোমধ্যে ব্যবস্থা করা হয়েছে।

নারীদের স্বাস্থ্যঝুঁকির আর একটি বিশেষ বিপজ্জনক পর্যায় স্তন ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়া। একদম প্রথম অবস্থায় এ রোগ চিহ্নিত করা গেলে নিরাময় হতেও সময় লাগে না। হতদরিদ্র, অসচেতন, অশিক্ষিত এবং মূর্খ নারী ও শিশুদের পর্যাপ্ত পুষ্টির ওপর বিশেষভাবে নজর দিয়ে এই নতুন কার্যক্রমকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার এখনই সময়। এখানে গর্ভবতী মা এবং সদ্য ভূমিষ্ঠ হওয়া শিশুদের সব ধরনের চিকিৎসাসেবা দেয়ার সুযোগ থাকতে হবে। সন্তান সুস্থভাবে পৃথিবীর আলো দেখলেও পরবর্তীতে মায়ের স্বাস্থ্য পরিচর্যাও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হয়ে পড়ে। নারী ও শিশুর পুষ্টিকর খাবার এমনকি দুগ্ধ পানের মতো প্রয়োজনীয় আহারও সরবরাহ করতে হবে। নিয়মমাফিক গর্ভকালীন মায়ের স্বাস্থ্যঝুঁকি কমানোর সব ধরনের পরীক্ষা-নিরীক্ষা এবং চিকিৎসাসেবার সুযোগ দিতে হবে।

সমুদ্র উপকূলবর্তী দেশের দক্ষিণাঞ্চলের মানুষের পেশা মূলত কৃষি। মাছ ধরেও অনেকে জীবিকা নির্বাহ করেন। জলাবদ্ধতায় ফসলহানির পর বড় ধরনের প্রভাব পড়ে তাদের জীবনযাত্রায়। দুর্যোগের কারণে কয়েক হাজার হেক্টর জমির বোরো ধান তলিয়ে যায়। মৎস্য সম্পদের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়।

পুষ্টি পরিস্থিতি তাই এখানে সবচেয়ে নাজুক। ফসলহানির পর সাতক্ষীরায় গর্ভবতী নারীদের পুষ্টিকর খাবার প্রাপ্তি ব্যাহত হয়। সাতক্ষীরা অঞ্চলে নারীদের মধ্যে অপুষ্টির হার এমনিতেই বেশি। বন্যা ও জলাবদ্ধতা এ অঞ্চলের চির সমস্যা। একটি গবেষণায় দেখা যায়, ৪৫ শতাংশ অপুষ্টিতে ভুগে থাকে।

পাঁচ বছরের কম বয়সী শিশুদের ৪৬ শতাংশ শিশুর বয়সের তুলনায় উচ্চতা কম। দেশে ২৩ শতাংশ শিশু জন্ম নিচ্ছে প্রয়োজনের চেয়ে কম ওজন নিয়ে। ১৮ শতাংশ গর্ভবতী নারী অপুষ্টির শিকার। স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় কর্তৃক দ্বিতীয় জাতীয় পুষ্টি কর্মপরিকল্পনার (২০১৬-২০২৫) চূড়ান্ত খসড়ায় দেশের পুষ্টি পরিস্থিতি সম্পর্কে এ তথ্য পাওয়া গেছে। এই দলিলে আরো বলা হয়েছে, পাঁচ বছরের কম বয়সী শিশুদের মধ্যে স্থান ভেদে অপুষ্টির মাত্রার ভিন্নতা রয়েছে। তবে তিন দশকে পরিস্থিতির অনেক অগ্রগতি হয়েছে। সরকার অপুষ্টি দূর করার ব্যাপারে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ। পাঁচ বছরের কম বয়সী প্রায় পাঁচ লাখ শিশু অপুষ্টিতে ভুগছে। অপুষ্টির শিকার শিশুদের শনাক্ত করা, অপুষ্টির বিষয়ে কমিউনিটিকে সচেতন করার কর্মসূচি এখন চলছে। এছাড়া উপজেলা, জেলা ও মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে অপুষ্টির শিকার শিশুদের চিকিৎসার জন্য দুটি করে শয্যা বরাদ্দ আছে। বয়স্ক ও কিশোরীদের পুষ্টি বাড়াতে দুটি প্রকল্প কাজ করছে। কর্মপরিকল্পনা দলিলে বলা হয়েছে, অপুষ্টির প্রকোপে অঞ্চল ভেদে ব্যাপক পার্থক্য আছে। শহরের তুলনায় গ্রাম ও বস্তিবাসী বেশি সুবিধাবঞ্চিত। কম উপার্জনকারী পরিবারে খর্বকায় শিশুর হার বেশি। আবার জাতীয় গড়ের চেয়ে যেসব জেলায় খাদ্য নিরাপত্তাহীনতা বেশি, সেসব জেলায় খর্বকায় শিশুর হার বেশি। বাংলাদেশ এমনিতেই প্রাকৃতিক দুর্যোগপ্রবণ দেশ। খাদ্যের দাম হঠাৎ বাড়লে বা প্রাকৃতিক দুর্যোগে পরিস্থিতি আরো খারাপ হয়। শহরের বস্তির পুষ্টি পরিস্থিতি সবচেয়ে খারাপ। বস্তির ৫০ শতাংশ শিশু খর্বকায়। ৬ থেকে ২৩ মাস বয়সী ৭৫ শতাংশ শিশু সঠিক পরিমাণ পুষ্টিকর খাদ্য পায় না। বস্তিতে কিশোরী গর্ভধারণ তুলনামূলক অনেক বেশি। কম ওজন, অতি ওজন, স্থূলতা ও অসংক্রামক ব্যাধির প্রকোপ বাড়ছে। প্রজনন বয়সী ৩৯ শতাংশ নারীর ওজন বেশি বা তারা স্থূলকায়। প্রায় ৩২ শতাংশ পুরুষ ও ১৯ শতাংশ নারী উচ্চ রক্তচাপে ভুগছেন। প্রায় ১১ শতাংশ নারী ও পুরুষ ডায়াবেটিসে আক্রান্ত।

পুষ্টিবিজ্ঞানীদের মতে, মানুষের শরীরে অনুপুষ্টি কণা মাইক্রোনিউট্রিয়েন্ট: যেমন ভিটামিন এ, আয়রন, আয়োডিন, জিঙ্ক ইত্যাদি খুব সামান্য পরিমাণে দরকার হয়। কিন্তু বয়স অনুযায়ী শরীরে যেটুকু দরকার, তা না পেল শরীরে অপুষ্টি দেখা দেয়।

শিশু ও প্রজনন বয়সী নারীদের মধ্যে অনুপুষ্টি কণার ঘাটতি মোকাবেলা একটা বড় চ্যালেঞ্জ। প্রাক-প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিশুদের ২০ শতাংশ ভিটামিন-এ ও ৪৬ শতাংশ জিঙ্ক স্বল্পতায় ভুগছে। ৩৩ শতাংশ প্রাক-প্রাথমিক বিদ্যালয় শিশু ও ৫০ শতাংশ গর্ভবতী নারীর কমবেশি রক্তস্বল্পতা রয়েছে। ক্যালসিয়াম ঘাটতিও আছে শিশু ও নারীদের মধ্যে। একজন প্রাপ্তবয়স্ক মানুষের প্রতিদিন ২২০০ কিলোক্যালরি পুষ্টির প্রয়োজন।

মায়ের বুকের দুধ শিশুর অপুষ্টি দূরীকরণে সবচেয়ে বেশি ভূমিকা রাখে। অপুষ্টি দূর করতে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়সহ ১৪টি মন্ত্রণালয় যুক্ত রয়েছে। শূন্য থেকে ৫৯ মাস বয়সী সব শিশুর নিয়মিত টিকা ও কৃমিনাশক ক্যাপসুল খাওয়ানো হচ্ছে। সরকারি কর্মকা-ের পাশাপাশি মায়েরা সচেতন হলে পুষ্টি পরিস্থিতির আরো উন্নয়ন হবে। লেখক: শিক্ষানবীশ সাংবাদিক, নিউজ নেটওয়ার্ক বাংলাদেশ


Comments are closed.

ইমেইল: arahmansat@gmail.com
Design & Developed BY CodesHost Limited
Raytahost Facebook Sharing Powered By : Raytahost.com