April 27, 2024, 6:27 am
সাতক্ষীরা সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফাতেমা—তুজ—জোহরার হস্তক্ষেপে বন্ধ হলো ৮ম শ্রেণির ছাত্রীর বাল্য বিয়ে। শনিবার দুপুরে ৬ শতাধিক আমন্ত্রিত আত্মীয় স্বজন খাওয়া—দাওয়া করেন এই বাল্য বিবাহের অনুষ্ঠানে। এসময় সেখানে উপস্থিত ছিলেন ফিংড়ী ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান শামসুর রহমান ও বর্তমান চেয়ারম্যান শেখ লুৎফর রহমান। ফিংড়ী এল্লারচর আবাসন এলাকার রমজান আলী মিস্ত্রির ৮ম শ্রেণিতে পড়–য়া মেয়ের বিয়ের আয়োজনে ছিল এলাহী কর্মকান্ড। বিয়ের অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত অতিথিদের খাওয়া—দাওয়ার শেষ পর্যায়ে সেখানে হাজির হন সাতক্ষীরা সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা। এসময় বিয়ের আসর থেকে সটকে পড়লেন বর ঝাউডাঙ্গা মাদ্রাসা পাড়ার মো. শহিদুল ইসলামের ছেলে আব্দুল্লাহ আল মামুন (২৪)। বাড়িতে আমন্ত্রিত লোকজন রেখে পালিয়ে গেলেন মেয়ের পিতাও।
বরকে না পেয়ে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফাতেমা—তুজ—জোহরা। এসময় মেয়ের বাল্য বিবাহ দেওয়ার অপরাধে মোবাইল কোর্টে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয় এবং ১৮ বছর বয়স না হওয়া পর্যন্ত বিয়ের আয়োজন করবে না বলে মোচলেকা দেন মেয়ের চাচা ও মেয়ের মা। সুপারিশ করা হয় ছেলের বিরুদ্ধে নিয়মিত মামলার। বাল্য বিয়ের হাত ধেতে রক্ষা পাওয়া কিশোরী এল্লারচর আদর্শ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ৮ম শ্রেণির ছাত্রী। জেলা বাল্য বিবাহ প্রতিরোধ কমিটির সভাপতি মো. সাকিবুর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
Comments are closed.