April 26, 2024, 6:10 pm

সাংবাদিক আবশ্যক
সাতক্ষীরা প্রবাহে সংবাদ পাঠানোর ইমেইল: arahmansat@gmail.com
শিরোনাম:
জুম্মার নামাজে মুসল্লিদের দোয়া চাইলেন মশিউর রহমান বাবু সাতক্ষীরায় অপহৃত ৮ম শ্রেণীর ছাত্রীকে উদ্ধার করলো পুলিশ সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজে পৃথক বার্ন ইউনিট না থাকায় জরুরী সেবা ঝুঁকিতে এসিড দগ্ধ ও পোড়া রুগীরা দাবদাহ উপেক্ষা করে ধান কেটে ঘরে তুলতে ব্যস্ত কৃষকরা সাতক্ষীরায় সড়ক দুর্ঘটনায় বাবা-ছেলে নিহত জনপ্রিয়তার শীর্ষে নতুন মুখ প্রভাষক সুশান্ত কুমার মন্ডল আশাশুনীতে বাপ্পী সীড হাউজ দোকান উদ্বোধন দক্ষিণ খুলনার অস্ত্র ও মাদকের গডফাদার ওজিয়ার গ্রেফতার সাতক্ষীরায় টিটিসিতে ৭৫ দিন মেয়াদী দক্ষতা উন্নয়ন বিষয়ক প্রশিক্ষণের মতবিনিময় তীব্র তাপদাহে জনজীবন বিপর্যস্ত, বিপাকে নিম্ন আয়ের মানুষ
বাংলা বিকৃতি পরিহার করতেই হবে

বাংলা বিকৃতি পরিহার করতেই হবে

ভাষার জন্য আন্দোলন, সংগ্রামের ফসল হলো বাংলাদেশে সর্বস্তরে বাংলা ভাষা চালু হয়নি। শিক্ষার ক্ষেত্রে, গবেষণার ক্ষেত্রে, বিলবোর্ড, সাইনবোর্ড, গুটিকয়েক গণমাধ্যমে প্রচার করা হয় বাংলিশ (বাংলা মিশ্রিত ইংলিশ)। নাটক, টেলিভিশন, এফএম রেডিও যেন পাল্লা দিয়ে ভাষার বিকৃতি ঘটাচ্ছে। ‘প্যারা’ শব্দটি নাটক- সিনেমায় প্রচলিত হলেও বাংলা শব্দভান্ডারে কোথায় আছে তা কেউ বলতে পারছে না। ফলে আমাদের আগামী প্রজন্ম বিকৃতি শব্দের উচ্চারণ ও ভাষা শিখছে। প্রতিদিনই টেলিভিশন, এফএম রেডিওতে শব্দগুলো বিকৃতিভাবে উপস্থাপন করছে। কোন শব্দের বানান ঠিক আছে কিনা দেখতে পত্রিকা দেখা হয়, বর্তমান উচ্চারণ ঠিক আছে কিনা টেলিভিশন-রেডিওতে শোনা হয়। কিন্তু যে ভাবে শব্দ বিকৃত ভাবে উপস্থাপন করা হচ্ছে অদূর ভবিষ্যতে হয়তো সম্প্রচার মাধ্যমের বিরুদ্ধে মানুষকে রাজপথে নামতে হবে। ভাষা প্রচলন ও বাংলা ভাষার দূষণ রোধে উচ্চ আদালতের নির্দেশ থাকলেও তা মানা হচ্ছে না। ফলে দিন দিন বাংলা ভাষার প্রচলন ছোট হয়ে আসছে ও দূষণের মাত্রা বাড়ছে। ২০১২ সালের ১৬ ফেব্রুয়ারি ও ২০১৪ সালের ১৭ ফেব্রুয়ারি সর্বস্তরে বাংলা ভাষার প্রচলন বিষয়ে এবং বেতার ও টেলিভিশনে বাংলা ভাষার বিকৃত উচ্চারণ ও দূষণ রোধে উচ্চ আদালতের রুলসহ নির্দেশনা রয়েছে। বেতার ও টেলিভিশনে বিকৃত উচ্চারণ, ভাষা ব্যঙ্গ ও দূষণ করে অনুষ্ঠান প্রচার না করার নির্দেশ দেওয়া হয় এবং একটি রুল জারি করা হয়। ভাষা মানুষের নিজস্ব সত্তা, অমূল্য সম্পদ।

মানুষ জীবনের প্রতি মুহুর্তে স্পন্দন ও প্রবাহের মধ্যদিয়ে তার জীবিত ও জাগ্রত সত্তাকে অস্তিত্বময় ও প্রাণবন্ত করতে ভাষার কোনো বিকল্প খুঁজে না। মানুষ বৈচিত্র্যতার সমাহারে নান্দনিকতার উন্মেষ ঘটাতে অস্তিত্ব, অবস্থান, গতি-প্রকৃতি, শক্তির সমন্বয় ও রচনাকে সমৃদ্ধ করে ভাষা প্রয়োগের মাধ্যমে। ভাষার কারণে দেহে শক্তির সঞ্চার হয়, অঙ্গ-প্রতঙ্গ সঞ্চালিত হয়, মস্তিস্ক কোটর, চেতনা-চৈতন্য, স্মৃতিকোষ, অনুভূতির ক্রিয়া সম্পন্নতায় বোধগম্যের সৃষ্টি হয়। বাংলাদেশের সংবিধানে আছে ‘প্রজাতন্ত্রের রাষ্ট্রভাষা বাংলা’। সর্বস্তরে বাংলা ভাষা প্রচলনে ১৯৮৭ সালে পাশ হয় আইন। বাঙালির মা, মাটি ও মানুষের সাথে মিশে আছে বাংলা। ১৯৫২ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি পিচ ঢালা কালো রাজপথ লাল বর্ণ ধারণ করে বাংলা ভাষা প্রতিষ্ঠার জন্য। বিশ্বের ১৯৫টি রাষ্ট্র বাংলাকে ঘিরে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালন করছে। ২১ ফ্রেব্রুয়ারিতে ভাষাপ্রীতি আর পহেলা বৈশাখে একদিনের বাঙালি থেকেই যাচ্ছি আমরা বছরের পর বছর। ভাষার বিকৃতি রোধে দেশের অভ্যন্তরে অফিসের ভাষা, ইংরেজি ব্যতীত শিক্ষার ভাষা, সাইন বোর্ড, বিল বোর্ডের ভাষা, পত্র যোগাযোগ, গণমাধ্যমের ভাষা অবশ্যই শুদ্ধ বাংলায় হতে হবে। শ্রেণিকক্ষে শিক্ষকদের আরো দায়িত্বশীল ও যতœবান হতে হবে। তবে মাতৃভাষা গবেষণা ইনস্টিটিউট ও তথ্য মন্ত্রণালয়কেই আরো বেশি উদ্যোগী হতে হবে। সমাজের দায়িত্বশীলদের আরো যতœবান ও ভাষার প্রতি গভীর ভালোবাসা থাকতে হবে। শুধুমাত্র ২১ ফেব্রুয়ারির ভাষাপ্রীতি ভূলে ৩৬৫ দিনই ভাষাপ্রীতি থাকতে হবে।
লেখক: সাধারণ সম্পাদক, স্বপ্নসিঁড়ি।


Comments are closed.

ইমেইল: arahmansat@gmail.com
Design & Developed BY CodesHost Limited
Raytahost Facebook Sharing Powered By : Raytahost.com