April 27, 2024, 7:43 am
বান্দরবানে দুই পক্ষের গোলাগুলিতে চারজন নিহতের কথা জানিয়েছে পুলিশ। রুমা উপজেলার পাইন্দু ইউনিয়নের কালাপাড়া এলাকায় শনিবার সন্ধ্যায় এ ঘটনা ঘটে। রুমা-রোয়াংছড়ি সীমানায় মরদেহগুলো পাওয়া গেছে। জেলা পুলিশ সুপার জেরিন আখতার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, ‘চারজন নিহতের খবর পেয়েছি। এটা দুর্গম এলাকা। পুলিশের টিম পাঠানো হয়েছে। কাদের মধ্যে গোলাগুলি হয়েছে তা এখনও সঠিকভাবে বলা যাচ্ছে না। পুলিশ সেখানে পৌঁছালে বিস্তারিত জানা যাবে।’
তবে পাইন্দু ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান উহ্লামং মারমা কাছে দাবি করেন, ‘পাইন্দু ইউনিয়নে গোলাগুলির ঘটনা ঘটেনি। এ ঘটনা রোয়াংছড়িতে ঘটেছে।’ এ নিয়ে গত ১০ দিনে বান্দরবানের বিভিন্ন উপজেলায় ১২ জন খুন হলো। এর আগে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার অশোক কুমার পাল জানান, শনিবার দুপুরে সদর উপজেলার তালুকদার পাড়ায় সশস্ত্র দুই দলের মধ্যে গোলাগুলি হয়। এ সময় গুলিবিদ্ধ হয়ে পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির (জেএসএস) সাবেক সদস্য অংনু মং মারমা নিহত হন।
তার আগে গত বৃহস্পতিবার রাতে বান্দরবানের রোয়াংছড়ি উপজেলার নোয়াপতং ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ড আলেচুপাড়ার পাহাড়ি ঝিরি থেকে এক নারীর গলা কাটা মরদেহ উদ্ধার করা হয়। পরিবারের ধারণা, তাকে ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছে। এ ঘটনার পাঁচ দিন আগে ২৬ ফেব্রুয়ারি একই উপজেলার সদর ইউনিয়নের নতুনপাড়া এলাকায় এক যুবককে গুলি করে হত্যা করা হয়। স্থানীয়দের বরাতে ওসি জানান, মংসিং শৈ মারমা গোসল করার জন্য বাড়ির পাশের টিউবওয়েলে গেলে ৭ থেকে ৮ জন অস্ত্রধারী তাকে ব্রাশ ফায়ার করে। মংসিং জেএসএসের সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিলেন বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা।
এর দুই দিন আগে রুমার গালেঙ্গ্যা ইউনিয়নের আবুপাড়ায় পাড়াপ্রধান লক্কুই ম্রো এবং তার চার ছেলে নুক্কুই ম্রো, লেং নি ম্রো, মেনু ওয়াই ম্রো ও রিং রাও ম্রোকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। গালেঙ্গ্যা ইউনিয়নের সচিব উবানু মারমা জানান, জুম চাষের জমি নিয়ে স্থানীয়দের সঙ্গে পাড়াপ্রধান লক্কুই ম্রোর বিরোধ ছিল। ওই জমির বিষয়ে ২৪ ফেব্রুয়ারি রাতে বৈঠক বসে। বৈঠকে কথা-কাটাকাটির একপর্যায়ে স্থানীয়রা লক্কুই ও তার চার ছেলেকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে পালিয়ে যায়। ঘটনাস্থলেই পাড়াপ্রধান ও তার বড় ছেলে নুক্কুইয়ের মৃত্যু হয়। আহত তিনজনকে রুমা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়ার পথে তারাও মারা যান।
Comments are closed.