April 27, 2024, 5:54 am
বাগেরহাটের মোল্লাহাটের কোদালিয়া গ্রামে বাবাকে হত্যার ঘটনায় ছেলের মৃত্যুদ- থেকে খালাস চেয়ে করা আপিল আবেদন মঞ্জুর করেছেন হাইকোর্ট। সেই সঙ্গে ওই মামলায় মৃত্যুদ- অনুমোদনের জন্য আসা ডেথ রেফারেন্স খারিজ করেছেন আদালত। ফলে, বাবা হত্যার একমাত্র আসামি ছেলে তুহিন কাজী খালাস পেলেন। মামলার ডেথ রেফারেন্স, ফৌজদারি আপিল ও জেল আপিলের ওপর শুনানি শেষে গতকাল রোববার হাইকোর্টের বিচারপতি এ এস এম আবদুল মোবিন এবং বিচারপতি এস এম মনিরুজ্জামানের অবকাশকালীন বেঞ্চ এই রায় ঘোষণা করেন। আদালতে আসামিপক্ষে ছিলেন আইনজীবী ফরহাদ আহমেদ ও শেখ ওয়াহিদুজ্জামান দিপু। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সুজিত চ্যাটার্জী। রায়ের পর আইনজীবী ফরহাদ আহমেদ বলেন, ডেথ রেফারেন্স খারিজ ও আসামির আপিল মঞ্জুর করেছেন হাইকোর্ট। ফলে একমাত্র আসামি তুহিন কাজী খালাস পেয়েছেন। তিনি আরও বলেন, উচ্চ আদালত মামলাটি পুনরায় বিচারের (রিট্রায়াল) জন্য পাঠিয়েছেন। মামলাটির ট্রায়ালে ভুল ছিল। এ মামলায় অন্য কোনো সাক্ষী নেই। আসামিকে ধরে নিয়ে এসে দোষ স্বীকার করিয়েছেন। মারা গেছেন তার বাবা। তার চাচারা তাকে ধরে পুলিশে দিয়ে বলেছেন তিনি তার বাবাকে মেরেছেন। কিন্তু কে মেরেছেন এটা তো কেউ দেখেনি। আর তুহিন মাঝেমধ্যে মেন্টালি আপসেট থাকতেন। সময় সময় তাকে শিকল দিয়েও বেঁধে রাখা হতো। এসব বিষয়ে নিম্ন আদালত তাকে কোনো ধরনের পরীক্ষার জন্য সিভিল সার্জনের কাছে পাঠাননি। যদি মস্তিষ্ক বিকৃত হয় তাহলে খালাস পাবেন। আর ঠিক থাকলে রায় হবে। কিন্তু সেটা করা হয়নি। এর আগে গত বুধবার মামলার ডেথ রেফারেন্স, ফৌজদারি আপিল ও জেল আপিলের ওপর শুনানি শেষে রায়ের জন্যে রোববারের দিন ঠিক করেন হাইকোর্টের একই বেঞ্চ। পারিবারিক কলহের জেরে ২০১৪ সালের ৫ আগস্ট ভোর ৪টায় তুহিন কাজী তার বাবা আবু সাঈদ কাজীকে ঘুমন্ত অবস্থায় ছুরিকাঘাত করে হত্যা করেন। এ ঘটনায় আবু সাঈদের মেয়ে সুমি আক্তার ভাই তুহিন কাজীকে আসামি করে মোল্লাহাট থানায় হত্যা মামলা করেন। তদন্ত শেষে ২০১৫ সালের ৭ ফেব্রুয়ারি তুহিনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন তদন্তকারী কর্মকর্তা। পরে মামলার বিচার শেষে ২০১৬ সালের ৩০ আগস্ট বাগেরহাটের বিচারিক আদালত তুহিনকে মৃত্যুদ- দিয়ে রায় ঘোষণা করেন। এরপর নিয়ম অনুযায়ী বিচারিক (নিম্ন) আদালতের মৃত্যুদ- অনুমোদনের জন্য ডেথ রেফারেন্স উচ্চ আদালত হাইকোর্টে পাঠানো হয়। পাশাপাশি আসামি জেল আপিল ও ফৌজদারি আপিল করেন। ওই আপিলের ওপর শুনানি শেষ হয়েছে।
Comments are closed.