April 27, 2024, 8:12 am
শীতের চলতি মৌসুমে সূর্যগ্রহণের মধ্যে সাতক্ষীরায় গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি শুরু হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২৬ ডিসেম্বর) দুপুর ১২টার দিকে ছিটেফোঁটা বৃষ্টি শুরু হয়। সময়ের সাথে সাথে বৃষ্টিও একটু একটু বাড়ে-কমে।এদিন সকাল থেকে আকাশ ছিলো মেঘাচ্ছন্ন, দেখা মেলেনি সূর্য মামার। দুপুরেই নেমেছে সন্ধ্যা। স্বাভাবিকভাবেই শীতে জবুথবু জনজীবন।বৃষ্টির সঙ্গী হয়ে হালকা শীতল বাতাস শীতকে জানান দিচ্ছে শৈত্যপ্রবাহে। এতে কলারোয়ার সকল বয়সীরা বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছেন।এদিকে, কনকনে শীতে যখন সবাই কাবু সেই অবস্থায় আবহাওয়া অফিস বলেছে, দেশের কয়েকটি জেলার ওপর দিয়ে বয়ে যাচ্ছে শৈত্যপ্রবাহ। এ অবস্থায় দেশের বেশ কিছু অঞ্চলে বৃষ্টিপাত হতে পারে। তাপমাত্রা আরো কমতে পারে। লঘুচাপের প্রভাবে বৃহস্পতিবার অথবা শুক্রবার দেশের কোথাও কোথাও হালকা বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।পূর্বাভাসের সত্যতায় বৃহস্পতিবার দুপুর থেকেই জেলার বিভিন্ন এলাকায় শুরু হয় অবিরত হালকা বৃষ্টিপাত। আর এই বৃষ্টির প্রভাবে কনকনে শীতল শীতে কলারোয়া উপজেলা সদরসহ বিভিন্ন এলাকায় মানুষের জীবনযাত্রায় ছন্দপতন ঘটেছে। দুপুরে এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত এমন দৃশ্যই চোখে পড়েছে।সরেজমিনে দেখা গেছে, পৌরসদরের বাজারে মানুষের উপস্থিতি হ্রাস পেয়েছে। দোকানপাটে লোকজন কম। অনেক দোকানদার তাদের দোকান বন্ধ করে দিয়েছেন। বৃষ্টির সঙ্গী শীতল বাতাসের শীতে উপজেলা সদরসহ বিভিন্ন এলাকায় মানুষজনকে জড়সড় হয়ে থাকতে। জরুরী প্রয়োজনে ছাতা মাথায় দিয়ে চলেছেন কেউ কেউ। মাথা থেকে পা পর্যন্ত শীতের পোশাকে আবৃত থাকলেও শীতে নাজেহাল অনেকে। অন্যদের পাশাপাশি কায়িক শ্রমজীবীদের দৈনন্দিন কাজকর্মে ব্যাঘাত ঘটেছে।কলারোয়ার জামান হার্ডওয়্যার এন্ড মটর পার্টসের মঞ্জুরুজ্জামান, আজা মোটরসাইকেল গ্যারেজের মিস্ত্রি রাসেল, চায়ের দোকানদার রহিম জানান, বৃষ্টির কারণে শীতের মাত্রা বেশি, অনেকটা অলস সময় কাটাতে হচ্ছে। তাদের ভাষায়- ‘উরি শীততি।’
Comments are closed.