April 27, 2024, 5:34 am
এমনিতেই কনকনে শীতে জবুথবু অবস্থা চারদিক। এর মধ্যে গুড়ি গুড়ি বৃষ্টিতে আরো বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে জনজীবন। সঙ্গে চলছে শৈত্যপ্রবাহ। এতে সারাদেশের তাপমাত্রা আরো ১ থেকে ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস হ্রাস পাবে। এমন অবস্থা তিনদিন চলতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।আগামীকাল শনিবার সকাল ৯টা পর্যন্ত দেয়া পূর্বাভাসে আবহাওয়া অফিস বলছে, উপ-মহাদেশীয় উচ্চচাপ বলয়ের বর্ধিতাংশ পশ্চিমবঙ্গ এবং তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে। মৌসুমের স্বাভাবিক লঘুচাপ রয়েছে দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে।পূর্বাভাস রয়েছে কয়েক জায়গায় বৃষ্টি হওয়ার। চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের কিছু কিছু এলাকা এবং খুলনা, বরিশাল, ঢাকা, ময়মনসিংহ ও রাজশাহী বিভাগের দু’এক জায়গায় হালকা গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি হতে পারে।এছাড়া দেশের অন্যত্র অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে। পঞ্চগড়, দিনাজপুর ও নীলফামারী অঞ্চলসমূহের উপর দিয়ে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা অব্যাহত থাকতে পারে ও বিস্তার লাভ করতে পারে।তবে বৃহস্পতিবারের চেয়ে শৈত্যপ্রবাহের তীব্রতা কমেছে। এদিন ওইসব অঞ্চলের উপর দিয়ে মাঝারি ধরনের শৈত্যপ্রবাহ বয়ে গেলেও শুক্রবার তাপমাত্রা কিছুটা বেড়ে মৃদুতে ওঠে এসেছে।শুক্রবার সকাল ৬টা থেকে আগের ২৪ ঘণ্টায় দেশে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে তেঁতুলিয়ায় ৯ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আগের দিন যেটা ৫ দশমিক ৭ ডিগ্রিতে নেমে গিয়েছিল।এদিকে ঢাকায় আবারো সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন তাপমাত্রার পার্থক্য সবচেয়ে কমে এসেছে ৬ দশমিক ৬ ডিগ্রিতে। ফলে শীতও বেড়েছে। শুক্রবারও সূর্যের দেখা মিলেনি। তার ওপর বাতাস বইছে উত্তর, পশ্চিম-উত্তর দিক থেকে ঘণ্টায় ৬ থেকে ১২ কিলোমিটার বেগে।বৃহস্পতিবার থেকে শুক্রবার সকাল ৯টা পর্যন্ত দেশে সবচেয়ে বেশি বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে যশোরে, ১৪ মিলিমিটার।
Comments are closed.