April 27, 2024, 1:01 pm
সরকারের বেঁধে দেওয়া সময় পেরোনোর একদিন পরও ১৫-২০ ভাগ কারখানার শ্রমিক বেতন-বোনাস পাননি। মঙ্গলবার (১১ মে) রাতে বাংলাদেশ শিল্পাঞ্চল পুলিশ সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। গত ২৯ এপ্রিল শ্রম মন্ত্রণালয় কারখানা মালিকদের ১০ মের মধ্যে বেতন বোনাস দেওয়ার দেওয়ার নির্দেশনা দেয়। সে অনুযায়ী সরকার নির্ধারিত সময় ছিল ১০ মে রাত পর্যন্ত।
শিল্পাঞ্চল পুলিশের তথ্য মতে, বস্ত্র, তৈরি পোশাক, চামড়াজাত পণ্য, আসবাব, সেলফোন সংযোজন, ওষুধ ও অন্যান্য খাত মিলিয়ে আশুলিয়া, গাজীপুর, নারায়ণগঞ্জ, ময়মনসিংহ এবং চট্টগ্রাম এলাকায় কারখানা রয়েছে ৭ হাজার ৯৮২টি। এর মধ্যে বিজিএমইএ ও বিকেএমইএর সদস্যভুক্ত গার্মেন্টসহ ১৫-২০ শতাংশ কারখানার বেতন ও বোনাস হয়নি।
এ বিষয়ে বাংলাদেশ শিল্পাঞ্চল পুলিশের ডিআইজি মাহাবুবর রহমান বলেন, রোববার পর্যন্ত ১৫ শতাংশের কিছু বেশি কারখানার শ্রমিকদের বেতন এখনও পরিশোধ করেননি মালিকরা। এগুলো নিয়ে দেন-দরবার চলছে। হয়তো আগামীকাল কিছু পরিশোধ করা হতে পারে।
তৈরি পোশাক মালিকদের সবচেয়ে বড় সংগঠন বিজিএমইএর সিনিয়র ভাইস-প্রেসিডেন্ট এম এ মান্নান কচি বলেন, বিজিএমইএর ৯৫ শতাংশ কারখানা শ্রমিকদের বেতন-বোনাস পরিশোধ করেছে। নতুন করে কোনো কারখানা শ্রমিকদের বেতন-বোনাস পরিশোধ করেনি বলে আমাদের কাছে অভিযোগ আসেনি। অভিযোগ এলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এদিকে বকেয়া বেতন ও বোনাসের দাবিতে মঙ্গলবারও (১১ মে) রাজধানীর কমলাপুরের রাস্তায় বিক্ষোভ করেছেন তিন্নি গার্মেন্টস নামের একটি পোশাক কারখানার শ্রমিকরা। এর আগের দিন গাজীপুরের টঙ্গীতে, রাজধানীর মিরপুরে বেতন-বোনাসের দাবি বিক্ষোভ করেছেন শ্রমিকরা।
প্রথম দফায় গত ২৯ এপ্রিল ত্রিপক্ষীয় পরামর্শ পরিষদ (টিসিসি) সভায় মালিক-শ্রমিকরা মিলে সিদ্ধান্ত নেন, ১০ মের মধ্যে সব শ্রমিকের এপ্রিল মাসের বেতন এবং ঈদের বোনাস দিতে হবে। আরও সিদ্ধান্ত হয়, সরকারি ছুটির নির্দেশনা মোতাবেক অঞ্চলভিত্তিক বাই-রোটেশন ছুটির ব্যবস্থা করবে বিজিএমইএ ও বিকেএমইএ।
এরপর গত রোববার (৯ মে) রাজধানীর শ্রম ভবনে আয়োজিত আরএমজি বিষয়ক ত্রিপক্ষীয় পরামর্শ পরিষদের (টিসিসি) সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় শ্রম প্রতিমন্ত্রী মুন্নুজান সুফিয়ান বলেন, ১০ মের মধ্যে সব গার্মেন্টস কারখানার শ্রমিকদের বেতন পরিশোধ করতে হবে। কিন্তু আজ ১১ মে। এখনও ২০ শতাংশ কারখানা শ্রমিকদের বেতন-বোনাস পরিশোধ করেনি।
Comments are closed.