April 27, 2024, 9:11 am

সাংবাদিক আবশ্যক
সাতক্ষীরা প্রবাহে সংবাদ পাঠানোর ইমেইল: arahmansat@gmail.com
শিরোনাম:
জুম্মার নামাজে মুসল্লিদের দোয়া চাইলেন মশিউর রহমান বাবু সাতক্ষীরায় অপহৃত ৮ম শ্রেণীর ছাত্রীকে উদ্ধার করলো পুলিশ সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজে পৃথক বার্ন ইউনিট না থাকায় জরুরী সেবা ঝুঁকিতে এসিড দগ্ধ ও পোড়া রুগীরা দাবদাহ উপেক্ষা করে ধান কেটে ঘরে তুলতে ব্যস্ত কৃষকরা সাতক্ষীরায় সড়ক দুর্ঘটনায় বাবা-ছেলে নিহত জনপ্রিয়তার শীর্ষে নতুন মুখ প্রভাষক সুশান্ত কুমার মন্ডল আশাশুনীতে বাপ্পী সীড হাউজ দোকান উদ্বোধন দক্ষিণ খুলনার অস্ত্র ও মাদকের গডফাদার ওজিয়ার গ্রেফতার সাতক্ষীরায় টিটিসিতে ৭৫ দিন মেয়াদী দক্ষতা উন্নয়ন বিষয়ক প্রশিক্ষণের মতবিনিময় তীব্র তাপদাহে জনজীবন বিপর্যস্ত, বিপাকে নিম্ন আয়ের মানুষ
ভারতের জাতীয় পতাকার ডিজাইনার ছিলেন একজন মু’সলিম নারী

ভারতের জাতীয় পতাকার ডিজাইনার ছিলেন একজন মু’সলিম নারী

২২ শে জুলাই ভারতের জাতীয় পতাকার জন্মদিন। ১৫ আগষ্ট ভারতের স্বাধীনতার জাতীয় দিবস উপলক্ষে বিশ্বের সর্ববৃহত এই গণতান্ত্রীক দেশটিকে পতাকা উত্তোলন করা হয় মহা সমারোহে। কিন্তু তেরঙ্গা এই পতাকার ডিজাইনার হিসেবে নাম রয়েছে এক মু’সলিম নারীর।ভারতের ইতিহাস বিবৃতির আশ্রয় নিয়ে সেই মুসলিম নারীর নাম গোপন করে ফেলা হয়েছে দীর্ঘ প্রচেষ্টার মাধ্যমে। “ভারতের জাতীয় পতাকার নকশা বানিয়েছিলেন একজন মুসলীম নারী, ICS বদরুদ্দীন তায়েবজী’র স্ত্রী সুরাইয়া” এমনটাই লেখা রয়েছে ইংলিশ ইতিহাসবিদ ট্রেভোর রয়েলের বইতে।

সুরাইয়ার করা নকশা পন্ডিত নেহেরুর ভালো লাগায় তিনি নিজের গাড়ীর বনেটে তা লাগিয়ে নিয়েছিলেন।পরবর্তীতে সেটাই ভারতের জাতীয় পতাকার মর্যাদা পায়। এই নারী অহিংস স্বাধীনতা আন্দোলনেও অগ্রনী ভূমিকা নিয়েছিলেন, কিন্তু হিন্দুপ্রধান ভারতে তিনি বিস্মৃতির অতলে চলে গিয়েছেন। একে নারী, তাও আবার মুসলিম- হিন্দু ভারতে এটাই তো তার ভবিতব্য ছিলো।কিন্তু ইতিহাস মুছে ফেলার চেষ্টা করা হলেও কোথাও না কোথাও ইতিহাস সংরক্ষিত থেকেই যায়। এই বিষয়ে বিস্তারিত বিবরণ রয়েছে Ferdousi Beacon এর “ভারতের ইতিহাস বিকৃতি ও সুরাইয়ার অস্বীকৃতি” নামক লেখায়।তিনি লিখেছেন, ভারতের জাতীয় পতাকার ডিজাইনার হিসেবে সর্বত্র যে নামটি পাওয়া যায় সেটি হলো পিঙ্গালি ভেঙ্কাইয়া। কিন্তু তিনি কী বাস্তবে ভারতের জাতীয় পতাকার ডিজাইনার? না! বরং অনুসন্ধানে বের হয়ে আসে এক মুসলিম নারীর নাম। যার নাম সুরাইয়া বদরুদ্দিন তায়াবজি। সুরাইয়ার স্বামী ছিলেন বদরুদ্দিন ফাইজ তায়াবজি। তিনি একজন ভারতীয় সিভিল সার্ভিস (আইসিএস) অফিসার হিসেবে ভারতের প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরে কর্মরত ছিলেন।সে সময়েই ভারতের জাতীয় পতাকার ডিজাইন করেন তার স্ত্রী। এরপর নেহরুর কাছে পতাকাটি নিয়ে গেলে তিনি তা পছন্দ করেন এবং তার গাড়িতে লাগিয়ে নেন। এরপর এ পতাকাটিই গৃহীত হয় ভারতের জাতীয় পতাকা হিসেবে।

কিন্তু ডিজাইনার হিসেবে অজ্ঞাত কারণে কখনোই সুরাইয়ার নামটি ইতিহাসে তোলা হয়নি। সুরাইয়া তায়াবজির তৈরি করা জাতীয় পতাকাটি প্রথম গৃহীত হয় ১৭ জুলাই ১৯৪৭ সালে। ভারতীয় কোনো ইতিহাসবীদের লেখায় সুরাইয়ার তৈরি করা পতাকাটির বিষয়ে তথ্য পাওয়া যায় না। তবে ইংলিশ ইতিহাসবিদ ট্রেভোর রয়েলের বইতে সুরাইয়ার নাম পাওয়া যায়। তাঁর লেখা থেকে জানা যায়, ভারতীয় জাতীয় পতাকাটির ডিজাইনার বদরুদ্দিন তায়াবজির স্ত্রী সুরাইয়া তায়াবজি।

ব্রিটিশ এ ইতিহাসবিদ লিখেছেন, “ভারতের ইতিহাসের মাঝে চলমান বিতর্কের মাঝে আরেকটি হলো জাতীয় পতাকার ডিজাইন একজন মুসলমানের করা, (সুরাইয়া) বদর-উদ-দিন তায়াবজি।

ভারতের জাতীয় পতাকার কেন্দ্রে ২৪টি দণ্ডযুক্ত নীল ‘অশোকচক্র’ সহ গেরুয়া, সাদা ও সবুজ আনুভূমিক আয়তাকার ত্রিবর্ণরঞ্জিত পতাকা। এ পতাকার কেন্দ্রে রয়েছে অশোকচক্র, যা সম্রাট অশোক নির্মিত সিংহ শীর্ষযুক্ত অশোকস্তম্ভ থেকে নেওয়া।

সম্রাট অশোক হিন্দু-মুসলিম সবার নিকটই শ্রদ্ধেয় হওয়ায় এ অশোকচক্রও গৃহীত হয় সবার নিকট। স্বাধীনতা প্রাপ্তির কয়েকদিন পূর্বে ১৯৪৭ সালের ২২ জুলাই বিশেষভাবে গঠিত গণপরিষদ এই সিদ্ধান্তে উপনীত হয় যে ভারতের জাতীয় পতাকাকে সব দল ও সম্প্রদায়ের নিকট গ্রহণযোগ্য করে হতে হবে।

বাস্তবে তিন রঙের পতাকাতে ছিল একটি চরকা, যা গান্ধী তার পার্টির চিহ্ন হিসেবে ব্যবহার করতেন। তায়াবজি মনে করেন এটি ভুল বিষয় উপস্থাপন করবে। এরপর বহু চাপের পর গান্ধী এ চাকাটি পতাকায় নিতে রাজি হন।


Comments are closed.

ইমেইল: arahmansat@gmail.com
Design & Developed BY CodesHost Limited
Raytahost Facebook Sharing Powered By : Raytahost.com