April 27, 2024, 7:04 am
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভাস্কর্য, প্রতিকৃতি ও মুর্যালকে বাংলাদেশের স্বাধীনতা, ইতিহাস, ঐতিহ্য ও গৌরবের প্রতীক এবং এর সঙ্গে এর সঙ্গে ধর্মের কোনো বিরোধ নেই বলে জানিয়েছে হাইকোর্ট। জনগণের মধ্যে এ বিষয়ে সচেতনতা বাড়াতে বাংলাদেশ ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মহাপরিচালক ও বায়তুল মোকাররম মসজিদের খতিবকে গণমাধ্যম ও অন্যান্য উপায়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশনা দিয়েছেন আদালত। এছাড়া বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য ভাঙচুরে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। পাশাপাশি, বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য ভাঙচুরে জড়িতদের রাষ্ট্রদ্রোহ ও সংবিধান লঙ্ঘনের মামলায় কেন বিচারের নির্দেশ দেওয়া হবে না, সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে চার সপ্তাহের মধ্যে এর ব্যাখ্যা চেয়ে একটি রুল জারি করেছেন আদালত।
সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী উত্তম কুমার লাহিড়ীর একটি রিট আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে মঙ্গলবার বিচারপতি জে বি এম হাসান ও বিচারপতি মো. খায়রুল আলমের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ সব আদেশ ও রুল জারি করেন। নাহিদ সুলতানা, শাহ মনজুরুল হক ও আরও কয়েকজন আইনজীবী আবেদনকারীর পক্ষে আদালতে উপস্থিত ছিলেন এবং অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন রাষ্ট্রপক্ষের প্রতিনিধিত্ব করেন।
কুষ্টিয়ায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভাস্কর্য ভাঙচুরের ঘটনায়, উত্তম কুমার লাহিড়ী গত ৬ ডিসেম্বর হাইকোর্টে একটি রিট আবেদন করেন। আবেদনে দেশব্যাপী জাতির জনকের সব ভাস্কর্য রক্ষা ও সংরক্ষণের জন্য সরকারকে নির্দেশনা দিয়ে আদালতের রায় চাওয়া হয়।
জনস্বার্থে করা এই পিটিশনে তিনি বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্বাধীনতার নিদর্শন এবং তার ভাস্কর্য স্বাধীনতার প্রতীক। তাই তার ভাস্কর্য অবশ্যই সুরক্ষিত ও সংরক্ষণ করতে হবে। তিনি আরও বলেন, সংবিধানের ২৪ অনুচ্ছেদের অধীনে সব স্মৃতিসৌধের নিরাপত্তা দেওয়া সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কর্তব্য। স্বরাষ্ট্র, মুক্তিযুদ্ধ ও ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব, পুলিশ মহাপরিদর্শক, বাংলাদেশ ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মহাপরিচালক ও বায়তুল মোকাররমের খতিবকে এসব আদেশ ও রুলের জবাব চেয়েছেন আদালত।
Comments are closed.