April 27, 2024, 7:02 am
বাংলাদেশ ভূমি অফিসার্স কল্যাণ সমিতি সাতক্ষীরা জেলা শাখার পক্ষ থেকে ভূমি মন্ত্রণালয়ের সচিব ববাবর স্মারকলিপি প্রদান করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার বেলা ১১টায় সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক বরাবর অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) কাজী আরিফুর রহমানের নিকট এ স্মারকলিপি প্রদান করেন বাংলাদেশ ভূমি অফিসার্স কল্যাণ সমিতি (বাভূঅকস) এর নেতৃবৃন্দ। স্মারকলিপি প্রদান কালে উপস্থিত ছিলেন, বাংলাদেশ ভূমি অফিসার্স কল্যাণ সমিতি সাতক্ষীরা জেলা শাখার সভাপতি মো. আব্দুল বারী, সাধারণ সম্পাদক আব্দুল আমিন খান চৌধুরী, সহ সভাপতি মোস্তফা মনিরুজ্জামান, কান্তিলাল সরকার, সাংগঠনিক সম্পাদক মহসীন আলী, কোষাধ্যক্ষ বাশারত হোসেন, কেন্দ্রীয় কমিটির নির্বাহী সদস্য মো. মোখলেছ আলী, পৌর ভূমি সহকারী কর্মকর্তা মো. কামরুল ইসলাম, আকরাম হোসেন, আব্দুল হাই, এসএম ফজলুর রহমান, শহিদুল ইসলাম, রফিকুল ইসলাম, শেখ মিজানুর রহমান, শ্যামল কুমার প্রমুখ।
ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা ও ইউনিয়ন ভূমি উপ সহকারী কর্মকর্তাদের বেতন স্কেল উন্নীতকরণসহ নিয়োগ বিধি প্রশাসনিক সকল কমিটির সিদ্ধান্তের প্রেক্ষিতে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সদয় অনুমোদনক্রমে গত ৩০ মে ২০১৩ তারিখের ০৭. ০০. ০০০০. ১৬১. ৩১. ০২৮. ১২ (অংশ)-১২৪ নম্বর স্মারকে অর্থ বিভাগ অর্থ মন্ত্রণালয় হতে অফিস স্মারক জারী করা হয়। উক্ত স্মারকের আলোকে ভূমি মন্ত্রণালয় হতে গত ২২ জুলাই ২০১৩ তারিখে ৩১. ০০. ০০০০. ০৪৬. ১২. ২০৮. ১২. ৫০৭ ও ৫০৮ নম্বর স্মারকে পত্র জারী করলে, বর্ণিত স্মারকের আলোকে মাঠ পর্যায়ে বেতন নির্ধারণ ও উত্তোলনের মাধ্যমে তা বাস্তবায়ন হয়।
কিন্তু পরবর্তীতে ভূমি মন্ত্রণালয় হতে অর্থ মন্ত্রণালয়ের স্মারকসহ ভূমি মন্ত্রণালয়ের ৫০৭ ও ৫০৮ নম্বর স্মারক অনাকাঙ্খিতভাবে, ভূমি মন্ত্রণালয় হতে গত ২৫ জুলাই ২০১৩ তারিখের ৩১. ০০. ০০০০. ০৪৬. ১২. ২০৮-১২. ৫২৬ নম্বর স্মারকের মাধ্যমে স্থগিত করা হয়। ফলে ২০১৩ খ্রিষ্টাব্দ হতে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর অনুমোদিত অর্থ মন্ত্রণালয়ের স্মারকের শর্তানুযায়ী নব নিয়োগ এবং পদোন্নতি বন্ধ থাকায় ভূমি মন্ত্রণালয়ের মাঠ পর্যায়ে ব্যাপক শূণ্যতার সৃষ্টি হয়েছে।
পরবর্তীতে ২৩ এপ্রিল ২০১৮ তারিখের সচিব কমিটির ২০১৮ খ্রিষ্টাব্দের ৭ম সভায় উত্থাপিত হলে উক্ত সভার ২২ নম্বর সিদ্ধান্তের ১ নম্বর অনুচ্ছেদে সুস্পষ্টভাবে ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা এবং ইউনিয়ন ভূমি উপ-সহকারী কর্মকর্তাদের উন্নীত বেতন স্কেলের সাথে পুনঃনির্ধারিত জনবল নিয়োগ/ পদোন্নতি যোগ্যতা অনুযায়ী নতুন নিয়োগ বিধি প্রণয়ন পূর্বক পদ দুটিতে নতুন জনবল নিয়োগ/ পদোন্নতি কার্যক্রম চালু করার জন্য ভূমি মন্ত্রণালয় উদ্যোগ গ্রহণ করবে বলে সিদ্ধান্ত হলে, সর্বশেষ ১৭ আগষ্ট ২০২১ তারিখে ভূমি সহকারী কর্মকর্তা ও ভূমি উপ-সহকারী কর্মকর্তা নিয়োগ বিধিমালা, ২০২১ এর গেজেট প্রকাশিত হয়, যা ভূমি মন্ত্রণালয়ের ১৩ অক্টোবর ২০২১ তারিখের ৩১. ০০. ০০০০০. ০৪৬. ২২. ০১৩. ১৯-৩৮১ নম্বর স্মারকে কার্যকর করার জন্য বিভাগীয় কমিশনার (সকল), জেলা প্রশাসক (সকল) মহোদয়গণকে নির্দেশ দেয়া হয়।
২০১৩ খ্রিষ্টাব্দ হতে এ পর্যন্ত বারবার আমাদেরকে বেতন স্কেল এবং পদোন্নতি প্রদানের বিষয়ে আশ্বাস প্রদান করলেও কার্যত কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ না করার ফলে মাঠ পর্যায়ে একাধিক অফিসের দায়িত্বে ভূমি উপ-সহকারী কর্মকর্তাগণ রয়েছেন, যাদের দীর্ঘ ৮ বছর পর্যন্ত পদোন্নতি নেই।
অন্যদিকে মৃত্যুবরণ, অবসরজনিত কারণে লোকবল প্রায় অর্ধেকে নেমে এসেছে। এ পর্যায়ে কর্মরতদের দাপ্তরিক কাজ পরিপালন করা কষ্টসাধ্য হওয়া সত্বেও রাত-দিন পরিশ্রম করে ডিজিটাল ভূমি ব্যবস্থাপনায় ভূমি উন্নয়ন কর পাইলটিং করা, ই-নামজারী ইত্যাদি পরিবারের লোকজনদেরকে কাজে লাগিয়ে বাস্তবায়ন করছে।
বিষয়গুলো কর্তৃপক্ষ জ্ঞাত থাকা সত্তেও কোনো প্রকার ভ্রুক্ষেপ না করে, নিষ্পত্তির পদক্ষেপ গ্রহণ না করে বরং ভূমি মন্ত্রণালয় হতে ২৫ জুলাই ২০১৩ তারিখের ৩১. ০০. ০০০০. ০৪৬. ১২. ২০৮. ১২-৫২৬ নম্বর স্মারকে বেতনের স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার না করে সর্বশেষ ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২১ তারিখের ৩৮১ নম্বর স্মারকে চূড়ান্ত নিষ্পত্তিকৃত বিষয়টিকে উপেক্ষা করে পুনরায় করণীয় নির্ধারণের জন্য জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে ৩ অক্টোবর ২০২১ তারিখে ৪২৩ নম্বর স্মারক প্রদান করায় অত্র সংগঠনের সকল পর্যায়ের কর্মকর্তাদের মাঝে হতাশা ও ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।
এ পর্যায়ে কালবিলম্ব না করে অনাকাঙ্খিত পরিস্থিতি এড়ানোর জন্য বাংলাদেশ ভূমি অফিসার্স কল্যাণ সমিতির নিম্নলিখিত দাবী অনতিবিলম্বে কার্যকর করার জন্য বিশেষ ভাবে অনুরোধ করা হয়।
দাবী সমূহ: আগামী ১৫ জানুযারী ২০২২ তারিখের মধ্যে বেতন স্কেল বাস্তবায়নের জন্য ভূমি মন্ত্রণালয়ের স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার করা। আগামী ০৩ মাসের মধ্যে নব-নিয়োগ ও ভূমি উপ-সহকারী কর্মকর্তাদের পদোন্নতি প্রদান করা। ইউনিয়ন/ পৌর ভূমি অফিসে কম্পিটার সামগ্রী, ফটোকপি মেশিন, উন্নতমানের প্রিন্টার এবং কন্টেজেন্সী ভ্রমণ ভাতা বিল সরাসরি প্রদান করা। আইটি খরচের জন্য নামজারী এবং হোল্ডিং এন্ট্রির টাকা সরাসরি ইউনিয়ন/ পৌর ভূমি অফিসে প্রদান করা। তদন্ত কাজে মটর সাইকেল সরবরাহ করা। নিরাপত্তা কর্মী নিয়োগ করা।