April 27, 2024, 12:10 pm

সাংবাদিক আবশ্যক
সাতক্ষীরা প্রবাহে সংবাদ পাঠানোর ইমেইল: arahmansat@gmail.com
শিরোনাম:
জুম্মার নামাজে মুসল্লিদের দোয়া চাইলেন মশিউর রহমান বাবু সাতক্ষীরায় অপহৃত ৮ম শ্রেণীর ছাত্রীকে উদ্ধার করলো পুলিশ সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজে পৃথক বার্ন ইউনিট না থাকায় জরুরী সেবা ঝুঁকিতে এসিড দগ্ধ ও পোড়া রুগীরা দাবদাহ উপেক্ষা করে ধান কেটে ঘরে তুলতে ব্যস্ত কৃষকরা সাতক্ষীরায় সড়ক দুর্ঘটনায় বাবা-ছেলে নিহত জনপ্রিয়তার শীর্ষে নতুন মুখ প্রভাষক সুশান্ত কুমার মন্ডল আশাশুনীতে বাপ্পী সীড হাউজ দোকান উদ্বোধন দক্ষিণ খুলনার অস্ত্র ও মাদকের গডফাদার ওজিয়ার গ্রেফতার সাতক্ষীরায় টিটিসিতে ৭৫ দিন মেয়াদী দক্ষতা উন্নয়ন বিষয়ক প্রশিক্ষণের মতবিনিময় তীব্র তাপদাহে জনজীবন বিপর্যস্ত, বিপাকে নিম্ন আয়ের মানুষ
মরিচ্চাপ নদী খননে অনিয়ম পাড় উচু করে দেখানো হচ্ছে গভীরতা!

মরিচ্চাপ নদী খননে অনিয়ম পাড় উচু করে দেখানো হচ্ছে গভীরতা!

পাড় উচু করে গভীরতা দেখানোর সেই পুরানো ব্যবসা শুরু হয়েছে মরিচ্চাপ নদী খননে। এক কালের খরস্রোত এই নদী ২০১০/১১ সালে খনন করা হয়। ৩০০ থেকে ৫০০ ফুট চওড়া এই নদীর মাঝ বরাবর ৬০ ফুট চওড়া খাল কেটে সেই মাটি দিয়ে নদীর বাকী অংশ ভরাট করে সেই সময় খনন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হয়। আর এর মধ্যদিয়ে মরিচ্চাপ নদী অস্তিত্বহীন হয়ে পড়ে। সম্প্রতি এই নদী পুনরায় খনন প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। স্থানীয়রা জানান, নদী এবার চওড়া করা হচ্ছে। তবে নদীর তলদেশ থেকে কোন মাটি কাটা হচ্ছে না। তার পরিবর্তে পাড়ের মাটি কেটে ঐ মাটি দিয়ে পাড় উচু করা হচ্ছে। পাড় উচু করার কারনে দেখলে মনে হবে নদী অনেক চওড়া হয়েছে এবং গভীরতাও বেড়েছে বলে মনে হবে। খনন কাজ শেষ না করেই ঠিকাদার হিজলডাঙ্গা সংলগ্ন থেকে উত্তরগামী নদীতে পানি ছেড়ে দিয়েছে।

ফলে প্রকৃতপক্ষে কতটুকু খনন করা হয়েছে তা এখন আর চিহ্নিত করার সুযোগ নেই। আব্দুল গনি জানান, ইছামতি নদীর শাখা কুলিয়ার লাবন্যবতী ও পারুলিয়ার সাপমারা নদী মরিচ্চাপ নদী হয়ে খোলপেটুয়া নদীতে মিশে গেছে। অতীতে খোলপেটুয়া নদীতে জোয়ার হলে সেই জোয়ারের পানি মরিচ্চাপ দিয়ে সাপামারা লাবন্যবতী হয়ে ইছামতি নদীতে ভাটি হতো। ঠিক একইভাবে ইছামতিতে জোয়ার হলে সেই জোয়ারের পানি লাবণ্যবতী সাপমারা হয়ে মরিচ্চাপ দিয়ে খোলপেটয়ায় প্রবাহিত হতো। ফলে নদীতে তীব্র স্রোতের কারনে পলি পড়তো না। এমনকি নদীর স্বাভাবিক প্রবাহ থাকায় বড় ধরনের কোন ভাঙনও দেখা যেতো না। আব্দুল গনি আরো জানান, সত্তরের দশকে ইছামতির শাখা লাবন্যবতীর শাখরা পয়েন্টে একটি ১৫ ভেন্টের স্লুইস গেট এবং অপর প্রান্তে মরিচ্চাপের সংযোগ স্থলে টিকেট পয়েন্টে আরো একটি স্লুইস গেট নির্মাণ করা হয়। একইভাবে সাপমারার হাড়দ্দহা পয়েন্টে একটি ও কামালকাটি পয়েন্টে আরো একটি স্লুইস গেট নির্মাণ করা হয়। এরফলে ইছামতি ও খোলপেটয়া নদীর আন্তঃসংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেওয়ায় খোলপেটুয়ার উজানে অবস্থিত নদী খালগুলো স্রোতহীন হয়ে পলি পড়ে স্বল্প সময়ের মধ্যে ভরাট হয়ে যায়। একই কারনে খোলপেটয়ার ভরাট প্রক্রিয়া ভাটির দিকে অব্যাহত রয়েছে। তিনি আরো বলেন, নদীর আন্ত:সংযোগ নিশ্চিত না করে এভাবে হরিলুটের জন্য দায়সারা খনন করে কোন লাভ হবে না। জোয়ার এলে পলি পড়ে এগুলো আবারো পূর্বের অবস্থায় ফিরে আসবে। আব্দুল খালেক বলেন, এভাবে খননের নামে জনগনের টাকার তছরুপ না করে লাবন্যবতী ও সাপমারা নদীর দু’পাশের চারটি স্লুইস গেট তুলে দিলে ইছামতির পানির তোড়ে নদী খনন আপনা আপনি হয়ে যাবে। তখন দরকার হবে ভেড়িবাধ উচু করার। যে টাকায় মরিচ্চাপ খনন করা হচ্ছে তারচেয়ে কম টাকায় প্রবাহমান মরিচ্চাপ পাওয়া যাবে। এব্যাপারে পানি উন্নয়ন বোর্ডের স্থানীয় কর্মকর্তাদের সাথে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।


Comments are closed.

ইমেইল: arahmansat@gmail.com
Design & Developed BY CodesHost Limited
Raytahost Facebook Sharing Powered By : Raytahost.com