April 27, 2024, 12:36 pm
যশোরের নরেন্দ্রপুরে স্কুলের সেফটিক ট্যাংক থেকে ইটভাটা শ্রমিক ফাহিমার অর্ধগলিত মৃতদেহ উদ্ধারের রহস্য উদঘাটন করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। ওই নারীর সাথে এক পুরুষের পরকিয়ার কারণে স্বামী জাহাঙ্গীর তাকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করে বলে আদালতে জবানবন্দী দিয়েছে। তিনি বলেছেন, প্রথমে ফাহিমার মাথায় বাঁশ দিয়ে আঘাত করে। এতে ফাহিমা জ্ঞান হারিয়ে ফেলে। এরপর শ্বাসরোধে মৃত্যু নিশ্চিত করে নরেন্দ্রপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সেপটিক ট্যাংক’র মধ্যে লাশ ফেলে দেয় জাহাঙ্গীর। লাশ উদ্ধারের ২৪ ঘন্টার মধ্যে হত্যায় জড়িত নিহত ফাহিমার স্বামীকে আটকের পর এমন তথ্য জানিয়েছেন স্বামী জাহাঙ্গীর। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পিবিআই যশোরের এসআই গোলাম আলী এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। আটক জাহাঙ্গীর হোসেন সাতক্ষীরার তালা উপজেলার সাতপাকিয়া গ্রামের দাউদ মোড়লের ছেলে।
পিবিআই শুক্রবার ভোর চারটায় নিজ এলাকা থেকে জাহাঙ্গীরকে আটক করার পর শুক্রবার বিকেলে আদালতে সোপর্দ করা হয়। পরে জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মাহাদী হাসানের আদালতে তিনি স্বীকারোক্তিমুলক জবানবন্দি দেন। পরে আদালত জবানবন্দি গ্রহন শেষে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। এরআগে নিহতের ভাই শরিফুল অজ্ঞাত আসামি করে কোতোয়ালি থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন।
Comments are closed.