April 27, 2024, 9:35 am
রমজান মাসকে ঘিরে সবার যেন বেশ কেনাকাটার ধুম পড়ে যায়। তবে এবার রমজানের বাজারের অতিরিক্ত দ্রব্যেমূল্যে বৃদ্ধি হওয়ার কারণে প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র ক্রয় করতে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন সর্বস্তরের সাধারণ মানুষ। যা ফেলে দিয়েছে নানান সমস্যার সৃষ্টির মাঝে। নানা সমস্যা সৃষ্টির মাঝে শুধু নিম্নবিত্তরা নয় সাথে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন মধ্যবিত্ত পরিবারের সাধারণ মানুষ। যেখানে যতটা পরিমাণ প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র লাগত। সেখানে ক্রয় করছেন তার অর্ধেক পরিমান প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র। আগের বাজারে যে দ্রব্য এক কেজি যত পরিমাণ টাকা দিয়ে ক্রয় করা যেত। সেটা এখন ঐ টাকা দিয়ে তাঁর অর্ধেক ক্রয় করা যাচ্ছে। রমজানের অতিরিক্ত দ্রব্যমূল্যের বাজারে কোনোমতে দিন পার করছেন সর্বস্তরের সাধারণ মানুষ। শুক্রবার বাজারের মূল্য গরুর মাংস ৭০০ টাকা দরে বিক্রয় করছেন বিক্রেতারা। ছাগলের মাংস বিক্রি করছেন ৯৫০ থেকে ১০০০ টাকায়। সোনালী মুরগী বিক্রি করছেন ৩০০ থেকে ৩৫০ টাকায়। বয়লার মুরগী বিক্রি করছেন ২০০ থেকে ২৫০ টাকায়। ডিম হালি প্রতি বিক্রি করছেন ৪৫ থেকে ৫০ টাকায়। কাঁচা বাজারের দিকে তাকালেই একই অবস্থা। যে মূল্যে বিক্রি করছেন তা নিম্নবিত্ত ও মধ্যবিত্ত পরিবারের পক্ষে ক্রয় করা একবারে অসম্ভব হয়ে পড়েছে। মধ্যেবিত্ত পরিবারের সাধারণ মানুষ যে টাকা অর্জন করেন। সেই পরিমান টাকা দিয়ে সংসার চালানো খুবই কষ্টকর হয়ে পড়েছে। মধ্যেবিত্ত পরিবারের সাধারণ মানুষ পারেনা বলতে কাউকে। পারেনা যেন সইতে। দ্রব্যেমূল্যর বৃদ্ধিতে রোজার মাঝে ও ছুটে চলেছেন কর্মের খোঁজে। সারাদিন রৌদ্রময় দিনে কাজ করে যে টাকা পায় সেটা দিয়ে বাজার হয় না। আর প্রতিদিন তো কোনো কাজ হয় না। তাই নিম্নবিত্ত ও মধ্যেবিত্ত পরিবারের আকুল আবেদন যে নিত্যেপণ্যের প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের মূল্যে হাতের নাগালের মধ্যে রাখার অনুরোধ।
Comments are closed.