April 27, 2024, 6:00 am

সাংবাদিক আবশ্যক
সাতক্ষীরা প্রবাহে সংবাদ পাঠানোর ইমেইল: arahmansat@gmail.com
শিরোনাম:
জুম্মার নামাজে মুসল্লিদের দোয়া চাইলেন মশিউর রহমান বাবু সাতক্ষীরায় অপহৃত ৮ম শ্রেণীর ছাত্রীকে উদ্ধার করলো পুলিশ সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজে পৃথক বার্ন ইউনিট না থাকায় জরুরী সেবা ঝুঁকিতে এসিড দগ্ধ ও পোড়া রুগীরা দাবদাহ উপেক্ষা করে ধান কেটে ঘরে তুলতে ব্যস্ত কৃষকরা সাতক্ষীরায় সড়ক দুর্ঘটনায় বাবা-ছেলে নিহত জনপ্রিয়তার শীর্ষে নতুন মুখ প্রভাষক সুশান্ত কুমার মন্ডল আশাশুনীতে বাপ্পী সীড হাউজ দোকান উদ্বোধন দক্ষিণ খুলনার অস্ত্র ও মাদকের গডফাদার ওজিয়ার গ্রেফতার সাতক্ষীরায় টিটিসিতে ৭৫ দিন মেয়াদী দক্ষতা উন্নয়ন বিষয়ক প্রশিক্ষণের মতবিনিময় তীব্র তাপদাহে জনজীবন বিপর্যস্ত, বিপাকে নিম্ন আয়ের মানুষ
রাস্তায় বের হয়ে প্রশ্ন তাদের, আর কত?

রাস্তায় বের হয়ে প্রশ্ন তাদের, আর কত?

দেশজুড়ে চলমান সর্বাত্মক লকডাউনের মধ্যে একদিনে রেকর্ড ২ শতাধিক মৃত্যুর পরদিনও ঢাকায় রাস্তায় যানবাহন ও মানুষের সরব উপস্থিতি দেখা গেছে। তবে পথে যারা বের হয়েছেন তারা বলছেন, বাধ্য হয়েই বের হতে হয়েছে তাদের। আজ (বৃহস্পতিবার) লকডাউনের অষ্টম দিন সকালে রাজধানীর রামপুরা, মালিবাগ, গুলশান, বাড্ডা, কুড়িল বিশ্বরোড এলাকা ঘুরে দেখে গেছে, গণপরিবহন না চললেও আগের দিনগুলোর তুলনায় সড়কে মানুষ, রিকশা, যানবহন অনেক বেড়েছে। রাস্তায় মানুষের সংখ্যা লকডাউনের প্রথম সাতদিনের চেয়ে বেশি। মানুষের সঙ্গে ব্যক্তিগত গাড়ি, ট্রাক, কাভার্ড ভ্যান, পিকআপ চলাচলও বেড়েছে। গতকাল বিকেলে স্বাস্থ্য অধিদফতর জানায়, করোনাভাইরাসে আক্রান্ত একদিনে দেশে আরও ২০১ জনের মৃত্যু হয়েছে, যা দেশে এক দিনে সর্বোচ্চ মৃত্যুর রেকর্ড।

এদিকে লকডাউনে মানুষের চলাচল নিয়ন্ত্রণে রাস্তায় গতকাল কঠোর অবস্থানে ছিল আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে সরকারের দেওয়া কঠোর বিধিনিষেধ (লকডাউন) অমান্য করায় গতকাল এক দিনে রেকর্ড এক হাজার ১০২ জনকে গ্রেফতার করে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)। পাশাপাশি ডিএমপি পরিচালিত ভ্রাম্যমাণ আদালত ২৪৫ জনকে এক লাখ ৭১ হাজার ৯৮০ টাকা জরিমানা করে।

৮০৪টি গাড়িকে ১৮ লাখ ৬৮ হাজার ৫০০ টাকা জরিমানা করা হয়। তবুও কেন সড়কে মানুষের উপস্থিতি কমছে না? এ বিষয়ে অষ্টম দিনের লকডাউনে বাইরে বের হওয়া একাধিক সাধারণ মানুষের সঙ্গে কথা হলে তারা তাদের নিজেদের পক্ষে যুক্তি তুলে ধরেন।

রাজধানীর গুলশানের রাস্তায় কথা হয় সাজ্জাদুল ইসলাম নামে একজন বেসরকারি চাকরিজীবীর সঙ্গে। তিনি বলেন, করোনা সংক্রমণের হার, মৃত্যুর সংখ্যা প্রতিদিনই বাড়ছে। এদিকে বাইরে বের হলে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর মামলা। তবুও আমরা বাইরে বের হয়েছি। কিন্তু এই বের হওয়া তো আমরা শখ করে বের হয়নি। জীবিকার তাগিদেই আমাদের মতো সাধারণ মানুষকে বের হতে হয়েছে। লকডাউন তবুও অফিস খোলা কেন? মানুষের ঘরে ঘরে খাবার পৌঁছে যাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত না কেন? তাহলে আপনি শুধু লকডাউনের ডাক দিয়েই পালনের নির্দেশ দেবেন? আর আমরা তাহলে খাবো কী, এর দায়িত্ব কে নেবে?

প্রগতি সরণিতে কথা হয় আরেক পথচারী আকরাম হোসেনের সঙ্গে। তিনি বলেন, সামনে আমার ইলিকট্রনিক দোকান। দোকান খুললেই আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী এসে গাল মন্দ করে, দোকান বন্ধ করে দেয়। এই দোকান থেকেই তো আমার জীবিকা, তাই এসেছি, দোকানের শাটার অর্ধেক খুলে রাখবো। যদি বেচাকেনা হয়, সেটাই আমার জীবিকা। কয়দিন দোকান বন্ধ রেখে গোছানো টাকা ভেঙে খাবো? তাই বাইরে এসেছি যদি কোনোভাবে একটু দোকান খোলা যায়। করোনার ভয় তো আমাদেরও আছে, আমরাও ভয় করি, কিন্তু ভয়ে বসে থাকলে খাবো কী? যে কারণে আমাদের মতো সাধারণ কর্মজীবী, ছোট ব্যবসায়ীরা করোনার ভয় রেখেই বাধ্য হয়ে জীবিকার তাগিদে বাইরে বের হয়েছি।

রাজধানীর রামপুরা এলাকায় কথা হয় রিকশাচালক আব্দুল গফুর মিয়ার সঙ্গে। তিনি বলেন, করোনাকে তো আমরাও ভয় পাই, ভয় পেয়ে ঘরে বসে থাকলে তো আর খাবার পাবো না। তাই যার যার জীবিকার জন্য সবাই লকডাউনেও বাইরে বের হয়েছে। মানুষ আর কয়দিন ঘরে থাকবে, সবার তো জমানো টাকা নেই। কাজে বের হলেই জীবিকা, পরিবার নিয়ে খাওয়া। তাই করোনার ভয় লাগলেও বাধ্য হয়ে জীবিকার তাগিদে বের হতে হয়েছে।


Comments are closed.

ইমেইল: arahmansat@gmail.com
Design & Developed BY CodesHost Limited
Raytahost Facebook Sharing Powered By : Raytahost.com