April 27, 2024, 11:42 am

সাংবাদিক আবশ্যক
সাতক্ষীরা প্রবাহে সংবাদ পাঠানোর ইমেইল: arahmansat@gmail.com
শিরোনাম:
জুম্মার নামাজে মুসল্লিদের দোয়া চাইলেন মশিউর রহমান বাবু সাতক্ষীরায় অপহৃত ৮ম শ্রেণীর ছাত্রীকে উদ্ধার করলো পুলিশ সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজে পৃথক বার্ন ইউনিট না থাকায় জরুরী সেবা ঝুঁকিতে এসিড দগ্ধ ও পোড়া রুগীরা দাবদাহ উপেক্ষা করে ধান কেটে ঘরে তুলতে ব্যস্ত কৃষকরা সাতক্ষীরায় সড়ক দুর্ঘটনায় বাবা-ছেলে নিহত জনপ্রিয়তার শীর্ষে নতুন মুখ প্রভাষক সুশান্ত কুমার মন্ডল আশাশুনীতে বাপ্পী সীড হাউজ দোকান উদ্বোধন দক্ষিণ খুলনার অস্ত্র ও মাদকের গডফাদার ওজিয়ার গ্রেফতার সাতক্ষীরায় টিটিসিতে ৭৫ দিন মেয়াদী দক্ষতা উন্নয়ন বিষয়ক প্রশিক্ষণের মতবিনিময় তীব্র তাপদাহে জনজীবন বিপর্যস্ত, বিপাকে নিম্ন আয়ের মানুষ
রিজার্ভ-অর্থনীতি নিয়ে অপপ্রচারে কান না দেয়ার আহবান প্রধানমন্ত্রীর

রিজার্ভ-অর্থনীতি নিয়ে অপপ্রচারে কান না দেয়ার আহবান প্রধানমন্ত্রীর

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশবাসীকে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ এবং ব্যাংকে তারল্য নিয়ে কোনো অপপ্রচারে কর্ণপাত না করার আহবান জানিয়েছেন। তিনি বলেন, করোনা ও রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে অনেক উন্নত দেশ বিপদের মধ্যে থাকলেও বাংলাদেশ অর্থনৈতিকভাবে স্থিতিশীল রয়েছে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, আন্তর্জাতিকভাবে মূল্যস্ফীতি বেড়েছে। অনেক উন্নত দেশ অর্থনৈতিকভাবে বিপদে এবং সমস্যার সম্মুখীন, তাদের রিজার্ভ কমছে। সে অবস্থায় আমরা বলতে পারি যে বাংলাদেশকে স্থিতিশীল অবস্থায় রাখতে পেরেছি। গতকাল সোমবার মিরপুর সেনানিবাসের ডিফেন্স সার্ভিসেস কমান্ড এ- স্টাফ কলেজের (ডিএসসিএসসি) শেখ হাসিনা কমপ্লেক্সে ‘ন্যাশনাল ডিফেন্স কোর্স-২০২২ ও ‘আমর্ড ফোর্সেস ওয়ার কোর্স’ এর গ্রাজুয়েশন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির ভাষণে প্রধানমন্ত্রী একথা বলেন। তিনি বলেন, বাংলাদেশের দুর্ভাগ্য হচ্ছে যখনই দেশ একটা শান্তিপূর্ণ অবস্থার মধ্যে অর্থনৈতিক অগ্রগতির দিকে এগিয়ে যায় তখন সকলের কাছে (স্বার্থান্বেষী মহল) এটা পছন্দ হয়না, এটা হলো বাস্তবতা। প্রধানমন্ত্রী বলেন, জাতির পিতা একটি যুদ্ধ বিধ্বস্থ দেশ গড়ে তুলে প্রবৃদ্ধি ৯ ভাগে তুলতে সক্ষম হয়েছিলেন। আর কোভিডের আগে আওয়ামী লীগ তুলেছিল ৮ শতাংশের ওপরে। কিন্তু কোভিড-১৯ ও এর পরবর্তী রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ এবং একে কেন্দ্র করে স্যাংশনে অনেক উন্নত দেশের অর্থনৈতিক অবস্থাও বিপযস্ত হয়ে পড়েছে। বিশ^ব্যাপী মুদ্রাস্ফীতি বৃদ্ধি পেয়েছে। ধনী দেশগুলোও আজকে বিদ্যুৎ ও জ¦ালানি সাশ্রয়ের ব্যবস্থা নিচ্ছে। তাদের খাদ্যপণ্যের দাম বেড়ে যাচ্ছে, রিজার্ভ কমে যাচ্ছে। এই অবস্থায়ও বাংলাদেশকে এখনো আমরা স্থিতিশীল অবস্থায় রাখতে সক্ষম হয়েছি। এ সময় নানা কথা বলে ভয়-ভীতি ছড়ানোর অপচেষ্টায় কান না দেয়ার আহবান জানিয়ে তিনি বলেন, যুদ্ধকালীন এই সংকটে অনেক ধনী দেশ জ¦ালানি সাশ্রয়ে ব্যবস্থা নিচ্ছে। আমরাও নানা পদক্ষেপ নিই। অথচ জ¦ালানি নিয়ে নানা ভয়ভীতি দেখিয়ে মানুষকে পক্ষে টানা হচ্ছে। দেশের অতীত ও বর্তমান রিজার্ভের তুলনামুলক চিত্র তুলে দরে শেখ হাসিনা বলেন, ’৯৬ সালে একুশ বছর পর আওয়ামী লীগ সরকার গঠনের সময় রিজার্ভ পেয়েছিল মাত্র ২ দশমিক ৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। তখন তাঁর সরকার সেই রিজার্ভ বাড়ানোর উদ্যোগ নেয়। ২০০৯ সালে দ্বিতীয়বার যখন সরকার গঠন করে তখন রিজার্ভ পায় ৫ বিলিয়ন ডলার যেটাকে টানা সরকারে থাকায় তাঁরা ৪৮ বিলিয়ন ডলারে উন্নীত করতে সক্ষম হন। তিনি বলেন, করোনার সময় যাতায়াত ও আমদানি বন্ধ ছিল। এজন্য রিজার্ভ জমে যায়। পরে সব চ্যানেল খুলে গেলে আমাদের আমাদানিতে রিজার্ভ ব্যয় করতে হয়েছে। ভ্যাকসিন কেনা, টিকা গবেষণায় অর্থ দেয়াসহ করোনা চিকিৎসা সরঞ্জম ক্রয় করতে আমাদের অনেক টাকা লেগেছে। এগুলোর জন্য আমাদের ডলার খরচ হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, যখন কেবল মাত্র ভ্যাকসিন নিয়ে গবেষণা চলছে তখন তাঁর সরকার ১২শ’ কোটি টাকা খরচ করে ভ্যাকসিন আনার জন্য বুকিং দেয় এবং দেশের মানুষের জন্য ঝুঁকি নেয়। অথচ অনেক উন্নত দেশও বিনামূল্যে ভ্যাকসিন দেয়নি। সে সময় দেশের ব্যবসায়ীসহ সকল শ্রেনীকে তাঁর সরকার যে আর্থিক প্রণোদনা দেয় তাতেও অর্থ ব্যয় হয় এবং তৃনমূল পর্যায়ে অর্থসরবরাহ ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি করে।

ফলে করোনা মোকাবেলার পাশাপাশি অর্থনীতিও ধরে রাখতে সক্ষম হয়। প্রধানমন্ত্রী বলেন, যুদ্ধ এবং স্যাংশনের কারণে ইতোমধ্যে আমদানি ব্যয় বহুলাংশে বৃদ্ধি পেয়েছে। তিনি উদাহরণ দিয়ে বলেন, যে গম একসময় ২শ’ ডলারে পাওয়া যেত তা এখন ৬শ’ ডলারে কিনতে হচ্ছে। যে পরিবহন ব্যয় ৮শ’ ডলার ছিল তা ৩ হাজার ৮শ’ ডলারে গিয়ে ঠেকেছে। কিন্তু এখানে রিজার্ভ খরচ করতে হলেও তাঁর সরকার দেশের জনগণের কথা বিবেচনা করে কোন কার্পন্য করেনি। পাশাপাশি সরকারের রপ্তানী এবং বিনিয়োগ বৃদ্ধি পেয়েছে উল্লেখ করে তিনি দেশের প্রতি ইঞ্চি জমি কাজে লাগিয়ে উৎপাদন বৃদ্ধিতে তাঁর সরকারের আহবান পুণর্ব্যক্ত করেন। তিনি বলেন, জাতির পিতা কেবল মাটি ও মানুষকে পুঁজি করেই একটি যুদ্ধ বিধ্বস্থ দেশ গড়ে তুলে বাংলাদেশকে স্বল্পোন্নত দেশের পর্যায়ে রেখে যান। সেটা সকলকে মনে রাখার মাধ্যমেই এগিয়ে যাওয়ার আহবান জানান তিনি। প্রধানমন্ত্রী বিলাসিতা পরিহার করে সকলকে সাশ্রয়ী হওয়ার আহবান জানান। কারণ বিশ্ব অর্থনৈতিক মন্দার ধাক্কা বাংলাদেশেও লেগেছে। বিশ্বটা এখন গ্লোবাল ভিলেজ এবং একে অন্যের ওপর নির্ভরশীল। সেটা মাথায় রেখেই তিনি সকলকে সাশ্রয়ী হবার অনুরোধ জানান। তিনি বলেন, আমাদের দেশ ও সম্পদ আমাদেরকেই রক্ষা করতে হবে। আমরা কারো কাছে হাত পেতে চলবো না, নিজেরা ফসল উৎপাদন করবো এবং নিজেদের দেশকে গড়ে তুলবো। এই আত্মমর্যাদাবোধ নিয়ে চলতে পারলেই ইনশাল্লাহ বাংলাদেশ এগিয়ে যাবে, কেউ রুখতে পারবেনা। শেখ হাসিনা বলেন, ডিজিটাল বাংলাদেশ করতে নির্বাচনী ইশতেহারে ঘোষণা দিয়েছিলাম। তখনো অনেকে মুচকি হেসেছিল। আজকে ডিজিটাল বাংলাদেশ সারা বিশ্বের কাছে একটা দৃষ্টান্ত। গ্রামে বসে ছেলে-মেয়েরা ফ্রিল্যান্সিং এর মাধ্যমে ডলার আয় করে। এই সুযোগ আমরা করে দিয়েছি। তিনি বলেন, আমার ও আমার পরিবারের সবার বিরুদ্ধে পদ্মা সেতু নিয়ে অনেক অপবাদ দেয়ার চেষ্টা হয়েছিল। কিন্তু প্রমাণ হয়েছে, এখানে কোনো দুর্নীতি হয়নি। তখন আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম নিজের অর্থে পদ্মা সেতু করবো। তখন অনেকে বলেছে, এটা কখনো সম্ভব নয়। অনেক দেশের সরকার প্রধানের সঙ্গে যখন আলোচনা করেছি, তখন বলেছে, এটা সম্ভব নয়। প্রধানমন্ত্রী বলেন, অসম্ভবকে সম্ভব করাই বাঙালির চরিত্র। এটা আমরা করতে পারবো। এটা আমরা করেছি।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, নানা কথা বলে ভয়ভীতি দেখিয়ে মানুষকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা একটি দল করে যাচ্ছে। ২০০৯ সালে যখন সরকার গঠন করি তখন আমরা রিজার্ভ পেয়েছিলাম মাত্র পাঁচ বিলিয়ন ডলার। আমরা সেই পাঁচ বিলিয়ন ডলারকে ৪৮ বিলিয়ন ডলারে উন্নীত করতে সক্ষম হই। তিনি বলেন, ভ্যাকসিন কিনে বিনামূল্যে মানুষকে দিয়েছি। আমরা রিজার্ভের টাকা খরচ করে এই ভ্যাকসিন কিনেছি। আজ যে গম আমরা দুইশ ডলারে কিনতে পারতাম, সেই গম পাঁচশ, ছয়শ ডলারেও কিনতে হচ্ছে। যে পরিবহন খরচ আটশ ডলার ছিল, তা এখন আমাদের ৩৮শ ডলারে আনতে হচ্ছে। কোনো কার্পণ্য করিনি। আমাদের ডলার খরচ করতে হয়েছে, রিজার্ভ খরচ করতে হয়েছে, করেছি। তিনি আরও বলেন, আমাদের আমদানি-রপ্তানি বেড়েছে। বিনিয়োগ হচ্ছে, ফসল উৎপাদন হচ্ছে। সার থেকে শুরু করে সব উপকরণ আমরা কৃষকের কাছে স্বল্প মূল্যে পৌঁছে দিচ্ছি। আমার আহ্বান, যেখানে যার যতটুক জমি আছে, উৎপাদন করুন। কারণ, বিশ্বজুড়ে যে মন্দা দেখা দিয়েছে, তা যেন আমাদের না হয়। সরকার প্রধান বলেন, সবার কাছে আমার একটি অনুরোধ থাকবে আমাদের কোনো রকম বিলাসিতা চলবে না। কারণ, অর্থনৈতিক মন্দার ধাক্কাটা আমাদের দেশেও পড়বে, পড়তে যাচ্ছে, তা মাথায় রাখতে হবে। বিশ্বটা হলো এখন গ্লোবাল ভিলেজ, একে অপরের ওপর নির্ভরশীল। তা মাথায় রেখে সবাইকে সাশ্রয়ী হওয়ার জন্য আমি অনুরোধ জানাব। তিনি বলেন, আমাদের দেশ, আমাদের সম্পদ, আমাদেরই রক্ষা করে চলতে হবে। নিজে উৎপাদন করব, নিজের দেশ নিজে গড়ে তুলব- এই কথাটি যদি মাথায় রাখতে পারি, আত্মমর্যাদাবোধ নিয়ে চলতে পারি, ইনশাল্লাহ বাংলাদেশ এগিয়ে যাবে। শেখ হাসিনা বলেন, স্বাধীনতার পর বঙ্গবন্ধু শূন্য হাতে যাত্রা শুরু করেছিলেন। যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশ, একটি টাকাও রিজার্ভ ছিল না। সেই ধ্বংসস্তুপের ওপর দাঁড়িয়ে তিনি স্বাধীন বাংলাদেশকে গড়ে তুলেছিলেন। প্রতিটি বাহিনীকে তিনি গড়ে তোলেন। প্রতিরক্ষানীতি প্রণয়ন করে দিয়ে যান। তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুকে হত্যার ২১ বছর পর আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় যাওয়ার সুযোগ পায়। আমরা আধুনিক সুসজ্জিত সশন্ত্র বাহিনী গড়ে তোলার পদক্ষেপ নিই এবং আমর্ড ফোর্সেস গোল্ড ২০২০ প্রণয়ন করি। বঙ্গবন্ধু আমাদের একটি নীতিমালা দিয়ে গেছেন, সকলের সঙ্গে বন্ধুত্ব, কারো সঙ্গে বৈরিতা নয়। আমরা দাবি করতে পারি, প্রতিটি দেশের সঙ্গেই আমাদের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক আছে, আমরা ধরে রাখতে পেরেছি এবং সেভাবেই এগিয়ে যাচ্ছি। প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা চাই দেশটা আর্থ-সামাজিকভাবে এগিয়ে যাক। একটি কথা মনে রাখতে হবে, যদি অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বিতা অর্জন করতে পারি, তাহলে আমাদের স্বাধীনতার যে চেতনা, তা আমরা ধরে রাখতে পারব। আর সেই লক্ষ্য নিয়েই আমরা কাজ করে যাচ্ছি।

আজ বাংলাদেশ উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা পেয়েছে। এটি সম্ভব হয়েছে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া অব্যাহত আছে বলে। তিনি বলেন, আজ আমি জানি, কিছু কথা নানাভাবে প্রচার হচ্ছে ব্যাপকভাবে। এতে অনেকেই বিভ্রান্ত হতে পারেন। কিন্তু বিভ্রান্ত হওয়ার কিছু নেই। একটি কথা মনে রাখতে হবে যে, বাংলাদেশে দুর্ভাগ্য, যখন একটি শান্তিপূর্ণ পরিবেশে অর্থনৈতিকভাবে এগিয়ে যায়, সবার কাছে এটি পছন্দ হয় না, এটি হলো কথা। তিনি আরও বলেন, জাতির পিতা একটি যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশ গড়ে তুলে প্রবৃদ্ধি ৯ ভাগে উন্নীত করেছিলেন। এরপর কিন্তু প্রবৃদ্ধি আর এত বৃদ্ধি পায়নি। আওয়ামী লীগ পর পর তিন বার আসার পর আমরা প্রবৃদ্ধি ৮ ভাগ পর্যন্ত উন্নীত করতে সক্ষম হয়েছি। কিন্তু দুর্ভাগ্যের বিষয় হলো, কোভিড ১৯ বিশ্বে অর্থনৈতিক মন্দা সৃষ্টি করেছে। তারপর আবার মরার উপর খাড়া ঘা এসেছে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ। যুদ্ধের পর আবার স্যাংকশন ফর দ্য স্যাংকশন। এতে উন্নত দেশগুলোও হিমশিম খাচ্ছে। জিনিসপত্রের দাম বেড়েছে। তাদের রিজার্ভ কমেছে। সেই অর্থে বলতে পারি, বাংলাদেশকে এখন স্থিতিশীল অবস্থায় রাখতে আমরা সক্ষম হয়েছি। প্রধানমন্ত্রী বলেন, দেশে যেমন উন্নয়ন কাজে সশস্ত্র বাহিনী ভূমিকা রাখছে, তেমনি বিদেশেও জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা মিশনে প্রশংসা পাচ্ছে। আমাদের সশস্ত্র বাহিনীকে সব সময় এটি মনে রাখতে হবে যে, মহান মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে এই বাহিনী আমরা গড়ে তুলেছি। দেশের মান মর্যাদা সব সময় সমুন্নত রাখা এবং দেশের মানুষের পাশে থাকা, তাদের সহযোগিতা করা আমাদের সবচেয়ে বড় রক্ষ্য। উন্নয়নশীল দেশ থেকে উন্নত দেশে উঠতে হবে। আবারও আমি বলব, সাশ্রয়ী হতে হবে, নিজেদের সঞ্চয় রাখতে হবে, নিজেদের উৎপাদন নিজেদের করতে হবে।

যেকোনো দুর্যোগে আমাদের সশস্ত্র বাহিনী মানুষের পাশে দাঁড়ায় উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, তারা এজন্য দেশে যেমন মানুষের আস্থা ও বিশ্বাস অর্জন করেছে তেমনি বিদেশের শান্তি রক্ষা মিশনে অত্যন্ত দক্ষতার সঙ্গে ভূমিকা রাখছে। তিনি বলেন, এটা সবসময় মনে রাখতে হবে মহান মুক্তিযুদ্ধের মধ্যদিয়ে আমাদের সশস্ত্র বাহিনী গড়ে উঠেছে। কাজেই আমাদের দেশের মান মর্যাদা সবসময় সমুন্নত রাখা এবং তাদের পাশে থাকা ও সহযোগিতা করা সবচেয়ে বড় লক্ষ্য। শেখ হাসিনা বলেন, আমরা ২ কোটি ৫৩ লাখ শিক্ষার্থীকে বৃত্তি দিয়ে থাকি। বয়স্ক ভাতা, বিধবা ভাতা ও প্রতিবন্ধী ভাতার ব্যবস্থা করে দিয়েছি। ভূমিহীন ৩৫ লাখ মানুষকে ঘর-বাড়ি তৈরি করে দিচ্ছি। এ কাজে সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী ও বিমানবাহিনীর অবদান রয়েছে বলেও তিনি উল্লেখ করেন। গ্রাজুয়েশন অনুষ্ঠানে সনদপ্রাপ্তদের আন্তরিক অভিনন্দন জানান প্রধানমন্ত্রী। তিনি কোর্স পরিচালনাকারি সবাইকে ধন্যবাদ জানিয়ে ন্যাশনাল ডিফেন্স কলেজের সর্বাঙ্গীন সাফল্য কামনা করেন। প্রধানমন্ত্রী পরে মিরপুর সেনানিবাসের শেখ হাসিনা কমপ্লেক্স, ডিএসসিএসসিতে অনুষ্ঠিত ন্যাশনাল ডিফেন্স কলেজ (এনডিসি) এবং ডিফেন্স সার্ভিসেস কমান্ড অ্যান্ড স্টাফ কলেজের (ডিএসসিএসসি) গভর্নিং বডির ১৯তম যৌথ সভায় যোগ দেন। সভায় সভাপতিত্ব করেন এনডিসি ও ডিএসসিএসসির চেয়ারপারসন শেখ হাসিনা।


Comments are closed.

ইমেইল: arahmansat@gmail.com
Design & Developed BY CodesHost Limited
Raytahost Facebook Sharing Powered By : Raytahost.com