April 27, 2024, 12:35 pm

সাংবাদিক আবশ্যক
সাতক্ষীরা প্রবাহে সংবাদ পাঠানোর ইমেইল: arahmansat@gmail.com
শিরোনাম:
‘রাজনগর ইয়াং ষ্টার’ এর ২য় প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী ও সম্মাননা স্মারক প্রদান সাতক্ষীরা জেলা সাহিত্য পরিষদের সম্মেলন অনুষ্ঠিত কালীগঞ্জে কেমিক্যাল দিয়ে পাকানো চারশ’ কেজি আম জব্দ জুম্মার নামাজে মুসল্লিদের দোয়া চাইলেন মশিউর রহমান বাবু সাতক্ষীরায় অপহৃত ৮ম শ্রেণীর ছাত্রীকে উদ্ধার করলো পুলিশ সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজে পৃথক বার্ন ইউনিট না থাকায় জরুরী সেবা ঝুঁকিতে এসিড দগ্ধ ও পোড়া রুগীরা দাবদাহ উপেক্ষা করে ধান কেটে ঘরে তুলতে ব্যস্ত কৃষকরা সাতক্ষীরায় সড়ক দুর্ঘটনায় বাবা-ছেলে নিহত জনপ্রিয়তার শীর্ষে নতুন মুখ প্রভাষক সুশান্ত কুমার মন্ডল আশাশুনীতে বাপ্পী সীড হাউজ দোকান উদ্বোধন
শিক্ষার্থীর ঝরে পড়া ঠেকাতে আজ আসছে বঙ্গবন্ধু শিক্ষা বীমা

শিক্ষার্থীর ঝরে পড়া ঠেকাতে আজ আসছে বঙ্গবন্ধু শিক্ষা বীমা

বাবা-মা কিংবা অভিভাবক মারা গেলে অথবা কর্মক্ষমতা হারিয়ে ফেললে অর্থের অভাবে যাতে শিশুর পড়ালেখা বন্ধ না হয়, সে লক্ষ্য সামনে রেখে চালু হচ্ছে বঙ্গবন্ধু শিক্ষা বীমা। প্রাথমিকভাবে বিনামূল্যে ৫০ হাজার শিক্ষার্থীকে এই বীমার আওতায় আনবে বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ (আইডিআরএ)। বঙ্গবন্ধু শিক্ষা বীমা পলিসি গ্রহণের পর অভিভাবক মারা গেলে বা কর্মক্ষমতা হারিয়ে ফেললে ওই শিশু ১৮ বছর পর্যন্ত মাসিক ৫০০ টাকা করে পাবে। আজ জাতীয় বীমা দিবসে এই বীমার উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আইডিআরএ সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

এ বিষয়ে আইডিআরএ-এর চেয়ারম্যান ড. এম মোশাররফ হোসেন বলেন, বঙ্গবন্ধু চেয়েছিলেন সুখি সমৃদ্ধ ও নিরক্ষর মুক্ত সোনার বাংলা। কোনো শিশু যেন পড়ালেখা থেকে ঝরে না পড়ে সেই লক্ষ্যে এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। আমরা বিনামূল্যে দেশের ৬৪টি জেলার একটি করে প্রাথমিক বিদ্যালয়, উচ্চমাধ্যমিক বিদ্যালয়, দাখিল মাদরাসা এবং একটি কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সকল শিক্ষার্থীকে বীমার আওতায় আনবো।

তত্ত্বাবধায়ক সরকারে সাবেক উপদেষ্টা রাশেদা কে চৌধুরী এ বীমার বিষয়ে বলেন, পিতা-মাতা অথবা আইনগত অভিভাবকের মৃত্যু কিংবা দুর্ঘটনার কারণে শিক্ষার্থীরা যাতে ঝরে না পড়ে, তার জন্য এই উদ্যোগ খুবই যুগান্তকারী। আরও আগে এই উদ্যোগ নেওয়া প্রয়োজন ছিল।

আইডিআরএ জানায়, বাংলাদেশে প্রতি বছর হাজার হাজার শিক্ষার্থী প্রাথমিক স্তরেই পড়ালেখা ছেড়ে দিচ্ছে অথবা পড়ালেখায় অনিশ্চয়তা ও বাধার সৃষ্টি হচ্ছে। তার মূল কারণ হলো- শিক্ষার্থীর বাবা-মা অথবা আইনগত অভিভাবকের অকাল মৃত্যু বা অনাকাঙ্ক্ষিত দুর্ঘটনায় পঙ্গুত্ববরণ। এখন যে শিক্ষার্থীদের বঙ্গবন্ধু বীমার আওতায় আনা যাবে তাদের অভিভাবকের মৃত্যু বা দুর্ঘটনাজনতি কারণে কর্মক্ষমতা হারালে ওই শিশুর শিক্ষাজীবন যাতে থেমে না যায় সে জন্য ১৮ বছর বয়স পর্যন্ত প্রতিমাসে ওই শিক্ষার্থী ৫০০ টাকা করে পাবে। এক্ষেত্রে দুর্ঘটনাজনিত কারণে অভিবাবক সম্পূর্ণ এবং স্থায়ী অক্ষম হলে অথবা পঙ্গু হলে জীবন বীমা করপোরেশনের অনুমোদিত চিকিৎসকের সনদ লাগবে।

এ বীমার আওতায় আসার জন্য শিক্ষার্থীর ন্যূনতম বয়স নির্ধারণ করা হয়েছে ৩ বছর এবং সর্বোচ্চ ১৭ বছর। এর বেশি কিংবা কম বয়সী শিশুদের বীমার আওতায় আনা হবে না। প্রত্যেক শিশুর জন্য আইডিআরএ বার্ষিক প্রিমিয়াম দেবে ৮৫ টাকা।

বীমার মেয়াদ: শিশুর ১৮তম জন্মদিনে পলিসির মেয়াদ শেষ হবে। সুতরাং শিশুর বয়স ৩ বছর হলে বীমার সর্বোচ্চ মেয়াদ হবে ১৮-৩=১৫ বছর এবং শিশুর বয়স ১৭ বছর হলে বীমার সর্বনিম্ন মেয়াদ হবে ১৮-১৭=১ বছর। এই সময়ে প্রতিটি শিশুকে মাসে ৫০০ টাকা করে বৃত্তি দেবে আইডিআরএ।
অভিভাবকের যোগ্যতা: পিতা-মাতা এবং আইনগত অভিভাবকের ক্ষেত্রে ন্যূনতম বয়স ২৫ বছর এবং সর্বোচ্চ ৬৪ বছর। নিকটতম জন্মদিন অনুযায়ী বয়স নির্ধারিত হবে।


Comments are closed.

ইমেইল: arahmansat@gmail.com
Design & Developed BY CodesHost Limited
Raytahost Facebook Sharing Powered By : Raytahost.com