April 27, 2024, 11:35 am
যশোরের বেনাপোলে পারিবারিক কলহের জেরে দেড় বছরের এক শিশুকে রাস্তায় ফেলে গেছে মা। তবে শিশুটিকে উদ্ধার করে পুলিশ বাবার কাছে হস্তান্তর করেছে। শনিবার (০৩ মার্চ) দুপুরে বেনাপোল পোর্ট থানার পুলিশ স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের উপস্থিতিতে শিশুটিকে তার বাবার হতে তুলে দেয়। এর আগে গত শুক্রবার শিশুটির মা মুন্নি বেগম তাকে বেনাপোল বাজারের একটি চায়ের দোকানে সামনে দাঁড় করিয়ে রেখে পালিয়ে যায়।
পুলিশ ও শিশুর প্রতিবেশীরা জানান, বাগেরহাটের পিন্টু শেখের মেয়ে মুন্নির সাথে বিয়ে হয় নড়াইলের কালু শেখের। তবে বর্তমানে তাদেও বসবাস বেনাপোলের সাদিপুর গ্রামে। পিন্টু শেখ পেশায় ফুটপথের শিংগাড়া বিক্রেতা। গত ৮ বছরের সংসারে জন্ম নেয় দুই ছেলে-মেয়ে। পরকিয়ার জেরে পারিবারিক দ্বন্ধে গত এক বছর ধরে স্বামীর সংসার থেকে বিচ্ছিন্ন মুন্নী। কখনও থাকেন ভারতে, কখনো বাংলাদেশে।
তারা আরও জানান, গতকাল শুক্রবার বিকালে বেনাপোল বাজারে তোফাজ্জেল হোসেন নামে এক চায়ের দোকানের সামনে মুন্নী তার দেড় বছরের শিশু আলিফ হাসানকে দাঁড় করিয়ে রেখে পালিয়ে যায়। পরে শিশুটি কান্না শুরু করলে দোকানদার তার মাকে খুঁজে না পেয়ে পুলিশকে অবহিত করে। পুলিশ শিশুটি উদ্ধার করে ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার করলে তার বাবা থানায় এসে শিশুটিকে নিয়ে যায়।
শিশুটির প্রতিবেশী রাজ মহন জানান, শিশুকে লালন-পালন করতে না পারলে পরিচিত কারোর মাধ্যমে বাবার কাছে দিয়ে দিতে পারতো। কিন্তু রাস্তায় ছেড়ে যাওয়া উচিৎ হয়নি। এতে বিপদ ঘটতে পারতো। একজন মায়ের কাছ থেকে এমন আচারণ অপ্রত্যাশিত।
শিশুর পিতা কালু মিয়া জানান, গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে তার স্ত্রী তাকে ফোন করে বলে ছেলে আলিফকে বেনাপোল বাজারে এক চায়ের দোকানের পাশে রেখে দিয়েছে। পারলে খুঁজে নিতে। কিন্তু নির্দিষ্ট জায়গা না বলায় বাজারের এসে পাননি তিনি। শেষে পরিচিত জনদের মাধ্যমে ফেসবুকে ছবির কথা শুনে পুলিশের কাছে গিয়ে ছেলেকে ফিরিয়ে আনেন তিনি।
বেনাপোল পোর্ট থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক(এসআই) মাসুম বিল্লাহ জানান, শিশুটির মা পরিকল্পিতভাবে তাকে ফেলে পালিয়ে যায়। শিশুটির বাবা থানায় এসে উপযুক্ত প্রমাণ দিয়ে নিয়ে গেছে।
Comments are closed.