April 27, 2024, 6:03 am

সাংবাদিক আবশ্যক
সাতক্ষীরা প্রবাহে সংবাদ পাঠানোর ইমেইল: arahmansat@gmail.com
শিরোনাম:
জুম্মার নামাজে মুসল্লিদের দোয়া চাইলেন মশিউর রহমান বাবু সাতক্ষীরায় অপহৃত ৮ম শ্রেণীর ছাত্রীকে উদ্ধার করলো পুলিশ সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজে পৃথক বার্ন ইউনিট না থাকায় জরুরী সেবা ঝুঁকিতে এসিড দগ্ধ ও পোড়া রুগীরা দাবদাহ উপেক্ষা করে ধান কেটে ঘরে তুলতে ব্যস্ত কৃষকরা সাতক্ষীরায় সড়ক দুর্ঘটনায় বাবা-ছেলে নিহত জনপ্রিয়তার শীর্ষে নতুন মুখ প্রভাষক সুশান্ত কুমার মন্ডল আশাশুনীতে বাপ্পী সীড হাউজ দোকান উদ্বোধন দক্ষিণ খুলনার অস্ত্র ও মাদকের গডফাদার ওজিয়ার গ্রেফতার সাতক্ষীরায় টিটিসিতে ৭৫ দিন মেয়াদী দক্ষতা উন্নয়ন বিষয়ক প্রশিক্ষণের মতবিনিময় তীব্র তাপদাহে জনজীবন বিপর্যস্ত, বিপাকে নিম্ন আয়ের মানুষ
শিশু-কিশোরীদের যৌন নিপীড়ন হ্রাসে কঠোর হতে হবে

শিশু-কিশোরীদের যৌন নিপীড়ন হ্রাসে কঠোর হতে হবে

বাবা-মা আশা করেছিলেন তাঁদের বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী মেয়েটিকে স্কুলে পাঠালে সে ভালো থাকবে, তাঁর ভবিষ্যৎ ভালো হবে। অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থী এই কিশোরীকে যৌন নির্যাতন করেন ওই স্কুলেরই পরিচালনা কমিটির সদস্য। কিশোরীর বাবা থানায় মামলা করেন। বিচারিক হাকিম আদালতে নির্যাতনের বিষয়ে জবানবন্দিও দিয়েছিল কিশোরী। শনিবার এক অভিযুক্তকে গ্রেপ্তারও করেছে পুলিশ। কিন্তু তার আগেই জীবনের হিসাব চুকিয়ে দিয়েছে কিশোরী। বেছে নিয়েছে আত্মহননের পথ। গত ৭ নভেম্বর নির্যাতনের শিকার হওয়ার পর থেকেই তার পরিবারকে হুমকি দেওয়া হচ্ছিল। প্রধান আসামি স্থানীয়ভাবে প্রভাবশালী হওয়ার কারণেই হয়তো হতাশা দেখা দিয়েছিল কিশোরীর মনে। খবরে প্রকাশ, অভিযুক্তদের গ্রেপ্তার না হওয়া এবং ক্রমাগত হুমকির কারণেই আত্মহননের পথ বেছে নেয় সে। শিশু ও কিশোরীদের যৌন নির্যাতনের শিকার হওয়ার মাত্রা চরম আকার ধারণ করেছে বাংলাদেশে। বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের এক জরিপ জানাচ্ছে, গত মে মাসে ধর্ষণের শিকার হয় ৫৫ শিশু। এর মধ্যে তিনজনকে ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়। গত আগস্টে ৫২ শিশু ধর্ষণের শিকার হয়েছে। সংঘবদ্ধ ধর্ষণ করা হয়েছে সাত শিশুকে। আর ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছে এক শিশুকে। শেরপুরের শ্রীবরদীতে ধর্ষণের শিকার হয়ে তৃতীয় শ্রেণির এক ছাত্রীর অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার অভিযোগ পাওয়া যায় গত সেপ্টেম্বরে। গত বছর ধর্ষণের শিকার হয়ে লোকলজ্জার ভয়ে আত্মহননের পথ বেছে নিয়েছিল পঞ্চগড়ের ষষ্ঠ শ্রেণির এক শিক্ষার্থী। এ ধরনের নির্যাতন ও নিপীড়নের ঘটনা বৃদ্ধির কারণ হিসেব বিশেষজ্ঞরা বলছেন, নির্যাতনের মামলাগুলোর ‘ঠিকমতো বিচার না হওয়ার’ কারণেই সহিংসতার ঘটনা বাড়ছে। কঠোর আইনও ধর্ষণ প্রতিরোধে ফলপ্রসূ না হওয়ার কারণ হলো যারা এ অপরাধ করছে, তারা ধর্ষণকে অপরাধ বলেই মনে করে না। পারিপার্শ্বিক নানা কারণে গড়ে ১০০টি ঘটনার মধ্যে ১০টির ক্ষেত্রেও ভুক্তভোগী নারী বা তার পরিবার মামলা করতে রাজি হয় না। আর যা-ও বা মামলা করা হয়, সেগুলো বছরের পর বছর ঝুলে থাকে। এর মধ্যে জামিনে বেরিয়ে এসে ভুক্তভোগীসহ তার পরিবারকে হুমকি-ধমকি দিতে থাকে আসামি। বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, নির্যাতন কমাতে হলে সত্যিকার অর্থে আইনের কঠোর প্রয়োগ হতে হবে। মামলাগুলোর দ্রুত বিচার হতে হবে। কাজেই, সরকার এ বিষয়ে কঠোর হবে এবং কার্যকরি পদক্ষেপ নেবে এটাই প্রত্যাশা।


Comments are closed.

ইমেইল: arahmansat@gmail.com
Design & Developed BY CodesHost Limited
Raytahost Facebook Sharing Powered By : Raytahost.com