April 27, 2024, 11:23 am
শ্যামনগরে ক্ষমতার দাপটে বাদঘাটা গ্রামে যাতায়াত পথের পার্শ্বে গর্ত কেটে ময়লা, আবর্জনা ও বাথরুমের মল ফেলে পরিবেশ দূষিত করায় এবং আশে পাশের পুকুরের পানি নষ্ট করায় পরিবেশ দূষণের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় স্থানীয় বসবাসকারীদের পক্ষে- মোছা. সুফিয়া খাতুন উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তা কার্যালয় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। অভিযোগে সূত্রে জানা যায় না, শ্যামনগর বাদঘাটা গ্রামের প্রায় ২০টি পরিবার দীর্ঘদিন যাবৎ যাতায়াতের পথ হিসাবে ব্যবহার করেন এলাকাবাসী। লিখিত অভিযোগ সুফিয়া খাতুন বলেন, মৃত এলাহী বক্স গাজীর ছেলে মো. আব্দুর রাজ্জাক গাজী বাড়ির সামনে দিয়ে আমাদের চলাচল করতে হয়। কিন্তু সে তার স্বার্থ হাসিল করার উদ্দেশ্যে যাতায়াত পথের সীমানার পার্শ্বে একটি গর্ত খনন করে সেখানে তার বসত বাড়ির যাবতীয় ময়লা আবর্জনা এবং বাথরুমের মল পাইপ দিয়ে ঐ গর্তে ফেলার কারনে চরম দূর্গন্ধে যাতায়াত করতে অসুবিধা সহ পরিবেশ মারাত্মক ভাবে দূষিত হচ্ছে। তাছাড়া ঐ গর্তের আশে পাশের দুইটি পুকুর আছে। ঐ পুকুরের পানি গ্রামের মানুষ গোসলের ও রান্নার কাজে ব্যবহৃত করেন। অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে গর্ত খনন করার ফলে পুকুরের পানি মারাত্মক ভাবে দূষিত হচ্ছে। আব্দুর রাজ্জাক গাজী কে ঐ গর্ত পুরন করে দেওয়ার বিষয়ে বার বার অনুরোধ করা সত্বেও কোন প্রকার গুরুত্ব দিচ্ছে না বরং বিভিন্ন ধরনের কথাবার্তা বলে বিভ্রান্তকর পরিস্থিতি সৃষ্টি করছেন বলে অভিযোগ রয়েছে।
অভিযোগের এক মাস অতিবাহিত হলেও কোনো রকম ব্যবস্থা গ্রহণ না করায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন এলাকাবাসী। এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আকতার হোসেনের সাথে কথা হলে তিনি জানান বিষয়টি আমি প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য শ্যামনগর হাসপাতালের সেনেটারি ইন্সপেক্টর বিকাশ ঘোষ কে দায়িত্ব দিয়েছি। তিনি এখনো আমাকে কোন কিছু জানাননি। শ্যামনগর হাসপাতাল সেনেটারি ইন্সপেক্টর বিকাশ ঘোষ জানান, আমি সরজমিনে গিয়েছিলাম। বিষয়টি নিয়ে আমি তাদের সাথে কথা বলেছি। তাদের ডেকে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করব। এ ব্যাপারে আব্দুর রাজ্জাক গাজী বলেন, আমি একটু ব্যাস্ত আছি। আপনার সাথে পরে কথা বলব।
Comments are closed.