April 27, 2024, 7:16 am
শ্রাবণে সর্বোচ্চ রেকর্ডীয় তাপমাত্রা ৩২’ ডিগ্রী সেলসিয়াস, জনজীবন অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে, নাজেহাল অবস্থা প্রাণীকুলের। শনিবার (৩০ জুলাই) সকালে ২৯’ ডিগ্রী সেলসিয়াস তাপমাত্রা থেকে শুরু করে দুপুর ২টা পর্যন্ত তাপমাত্র ছিলো ৩২ ডিগ্রী সেলসিয়াস। সাতক্ষীরা আবহাওয়া অধিদপ্তর ও আবহাওয়া তাপমাত্রার রেকর্ড অনুযায়ী দিনের পরবর্তী সময়ে তাপমাত্রা অপরিবর্তিত থাকবে এবং আগামী কয়েক দিন এমনি থাকার সম্ভাবনা রয়েছে বলে আবহাওয়া অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে। বাস্তবতার আলোকে বাংলাদেশ ছয় ঋতুর দেশ যাহা এক সময় ক্রমাগতভাবে ঋতুর বাস্তবতা থাকলেও এখন শুধু ইতিহাস ও ঐতিহ্য শুধুমাত্র খাতা কলমে পাঠ্য পুস্তকের পাওয়া যায়। বর্তমানে বাস্তবতার সাথে ঋতুর কোন মিল নেই, তাই তো বর্ষার মৌসুমে শ্রাবণের সর্বোচ্চ তাপমাত্রার রেকর্ড। দেশে এক দিকে সিলেটবাসী বন্যার পানিতে ডুবে অসহায় হয়ে পড়েছে, অপর দিকে সাতক্ষীরা জেলায় পানি না থাকায় খাদ্য শস্যের উৎপাদন ব্যাহত হচ্ছে। দেশে বিদ্যুৎ ঘাটতি থাকায় সরকারী নীতিমালা অনুযায়ী অঞ্চল ভিত্তিক লোডশেডিংয়ের আওতায় আনা হয়েছে। প্রাপ্ত বয়স্করা কোন রকম কষ্ট করে দিন পার করলেও কোমলমতি শিশুদের অবস্থা গা শিউরে ওঠার মতো। শিক্ষার্থীদের পড়াশোনার যথেষ্ঠ প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হচ্ছে, কারণ বাচ্চারা তো বিদ্যুৎ পাখা/ এসির উপর অভ্যস্ত হয়ে গেছে। সাধারণত বছরের এই সময়ে শ্রাবণে বৃষ্টির পানিতে খাল-বিল, নদ-নদী, নালা, পুকুর-হাওড় তলিয়ে থাকে। কিন্তু এবছর এক দম তার ব্যতিক্রম। নেই বৃষ্টি, মাস আবার শ্রাবণ মাসের সাথে ঋতুর কোন মিল নেই। বৃষ্টি না হওয়ায় কৃষকরা পাট পচন দিতে পারছে না।
তাতে আউশ ধান রোপনের কোন উপায় খুঁজে পাচ্ছে না কৃষকরা। এবার ধানের চারা বা বীজ তলা দিতে পারেনি এখনো কৃষকরা। তাতেই খাদ্য শস্যে উৎপাদন ব্যাহত হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। অপর দিকে পাট এখনো জমিতে আছে পচনের জন্য প্রস্তুত করতে পারছেন না কৃষকরা তার মূল কারণ হিসাবে দেখা গেছে পাট এখন পানির অভাবে পচন দিতে পারছে না। জমি থেকে পাট কাটার পর অতিরিক্ত তাপদাহে শুকিয়ে যায় পচন দিতে না পারলে কি হবে আগামী পাট শিল্পের। পাট শুকিয়ে যাওয়ার পর সেই পাট পচন দিলে পাটের গুনাগুণ মান ভালো হবে না তাতে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হবে কৃষকরা, সেখানেই কাংখিত উৎপাদন নি¤œগামী হবে। অতিরিক্ত তাপদাহে পুড়ছে মানুষ খাবার পানির অভাব দেখা দিয়েছে। পুকুর, খাল, বিল শুকনো পাট জমি থেকে কাটতে দেরি হলে আউশ রোপনের উপায় কি? বিলম্বিত হচ্ছে আউশ রোপণ ও ধানের চারার বীজ তলা তৈরি। এদিকে অতিরিক্ত তাপদাহে ছোট ছোট বাচ্চাদের অসুস্থতার খবর পাওয়া যাচ্ছে। কৃষক বারিক হাওলাদার জানান, এবছর সব শেষ। এখনো জমিতে পাট, পানির অভাবে ধানের চারা, বীজ তলা দিতে পারেনি। কি তাপ গা জ্বলে যাচ্ছে। এইরকম তাপমাত্রা থাকলে আউশ রোপনে বাধাগ্রস্ত হবে বলে জানান তিনি।
Comments are closed.