April 27, 2024, 9:15 am
মি নিয়ে বিরোধকে কেন্দ্র করে এক ব্যক্তির দু’টি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও বাড়িঘর ভেঙে গুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। এ সময় লুটপাট করা হয়েছে দেড় লাখ নগদ টাকা, তিন ভরি সোনার গহনা, কম্পিউটর ও ইলেকট্রনিকস যন্ত্রপাতিসহ ছয় লাখ টাকার মালামাল। ভাঙচুর ও তছনছ করা হয়েছে দোকান ও ঘরের সাড়ে চার লাখ টাকার জিনিসপত্র। রোববার গভীর রাতে সাতক্ষীরা সদর উপজেলার শ্রীরামপুর বাজারে এ ঘটনা ঘটে।শ্রীরামপুর বিশ্বাসপাড়ার গোলাম বারীর ছেলে রুহুল কুদ্দুস বলেন, ৩৬ শতক জমির মধ্যে ২০০৫ সালে তিনি আট শতক জমি বিক্রি করেন একই এলাকার বজলুর রহমানের কাছে। জমি রেজিষ্ট্রি করার সময় দাগ ভুল হয়ে যাওয়ায় তিনি ২০১৬ সালের ১৪ জানুয়ারি ওই জমি বজলুর রহমানের কাছ থেকে ফিরিয়ে নেন। ২০১৬ সালের ১০ নভেম্বর বজলুর কাছ থেকে চার শতক জমি কিনেছেন বলে দাবি করে একই এলাকার তোজাম্মেল মোড়লের ছেলে নেছারুল মোড়ল তার দু’টি দোকান ঘর ও বাড়িসহ দাবি করে আসছিল। বাধ্য হয়ে তিনি দেওয়ানী আদালতে নেছারুলের বিরুদ্ধে দলিল সংশোধানের মামলা করেন। জমি জবরদখলের চেষ্টা করলে তিনি অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে ১৪৫ ধারায় মামলা করেন। নেছারুলের করা নামপত্তন বাতিলের জন্য তিনি সহকারি ভূমি কমিশনারের অফিসে আবেদন করেছেন। এরপরও নেছারুল গত বুধবার তার কম্পিউটর ও ইলেক্ট্রনিকস এর দু’টি দোকানে তালা লাগিয়ে দিয়ে নিজের বলে দাবি করে। এ ঘটনায় তিনি বৃহষ্পতিবার অভিযোগ দিলে উপপরিদর্শক বুলবুল শান্তিরক্ষার্থে রোববার বিকেল চারটায় উভয়পক্ষকে কাগজপত্র নিয়ে আসার জন্য সদর থানায় আসতে বলেন। অথচ নেছারুল থানায় না এসে রোববার দিবাগত রাত একটার দিকে তার কম্পিউটর দোকান, ইলেক্ট্রনিকস দোকান, বসতবাড়ি, রান্নাঘর, গোয়ালঘর ও আসবাবপত্র ভাঙচুর করে গুড়িয়ে দেন। এ সময় লুটপাট করা হয় দোকানে থাকা কম্পিউটর, ইলেকট্রনিক্স জিনিসপত্র, বাড়িতে রাখা তিন ভরি সোনার গহনা, দেড় লাখ নগদ টাকাসহ ছয় লাখ টাকার জিনিসপত্র লুটপাট করা হয়। ভেঙে গুড়িয়ে দিয়ে ক্ষতি করা হয় বাড়ি ও দোকানের সাড়ে চার লাখ টাকার আসবাবপত্র ও নির্মাণ সামগ্রী। ভাঙচুর ও লুটপাটে অংশ নেয় নেছারুলসহ একই গ্রামের আব্দুল বিশ্বাসের ছেলে আতিয়ার বিশ্বাস, তার ছেলে স্বরুপ বিশ্বাস, জামাল বিশ্বাসসহ ৪০ থেকে ৫০ জন সন্ত্রাসী। লুটপাট ও ভাঙচুরে বাধা দেওয়ায় তাদেরকে খুন করার হুমকি দেওয়া হয়।জানতে চাইলে সোমবার দুপুরে নেছারুল ইসলাম বলেন, তিনি বজলুর রহমানের কাছ থেকে জমি কিনে নামপত্তন করে শান্তিপূর্ণ ভোগদখলে আছেন। দু’টি দোকান ভাড়া দিয়েছেন। এ নিয়ে বিরোধ থাকায় দোকানে পাল্টা পাল্টি তালা দেওয়া হয়েছে। তার বাড়ি শ্রীরামপুর বাজার থেকে আধা মাইল দূরে তাই নিজেরাই দোকন বাড়ি ভাঙচুর করে তার বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দেওয়া পরিকল্পনা করেছে কুদ্দুস। তবে দেওয়ানী আদালতে মামলা থাকায় পুলিশের কথামত রোববার বিকেলে থানায় যাননি তিনি।জানতে চাইলে সদর থানার উপপরিদর্শক বুলবুল বলেন, রোববার কুদ্দুস এলেও নেছারুল আসেনি থানায়। গভীর রাতে কুদ্দুসের দোকান ও ঘরবাড়ি ভেঙে গুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে বলে তিনি শুনছেন। নেপথ্যে কুলিয়া ইউপি’র একজন সাবেক চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগ নেতা আসাদুল হক রয়েছেন বলে তিনি শুনেছেন।সাতক্ষীরা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, এ ঘটনায় সোমবার বিকেল ৫টা পর্যন্ত তিনি কোন লিখিত অভিযোগ পাননি। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
Comments are closed.