April 27, 2024, 8:46 am
আমার গ্রাম আমার শহর প্রকল্পের অধীনে সাতক্ষীরা মাগুরা গ্রামের নাগরিক সুবিধা বৃদ্ধিতে কতিপয় সমস্যা ও সমাধানের দাবি জানিয়ে লিখিত আবেদন জানিয়েছেন সাতক্ষীরা শহরের মুনজিতপুর এলাকার সোনালী ব্যাংকের অবসরপ্রাপ্ত ডিজিএম শেখ নাছিম হাসানের কন্যা ও কর অঞ্চল নারায়ণগঞ্জের সহকারী কর কমিশনার নুসরাত ফারজানা।তিনি বর্তমানে বাংলাদেশ লোক প্রশাসন প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের ৭০তম বুনিয়াদি কোর্সের একজন প্রশিক্ষণার্থী। প্রশিক্ষণের মাঠ পর্যায়ের সংযুক্তি আমার গ্রাম, আমার শহর এর অংশ হিসেবে সাতক্ষীরা জেলার লাবসা ইউনিয়নের মাগুরা গ্রামের (ওয়ার্ড নং-৮) এ সংযুক্ত আছেন। প্রশিক্ষণের মাঠ পর্যায়ের সংযুক্তির সময় তিনি গ্রাম ঘুরে স্থানীয় জনগণ ও জনপ্রতিনিধিদের সাথে আলোচনা করে বেশ কিছু সমস্যা উপস্থাপন করেছেন।মাগুরা গ্রামের প্রধান সমস্যা হিসেবে তিনি জলাবদ্ধতাকে দায়ি করেছেন। জলাবদ্ধতার কারণ হিসেবে তিনি উল্লেখ করেছেন, উক্ত গ্রামে পানি নিস্কাশনের ভাল কোন ব্যবস্থা নেই। পূর্বের পানি নিস্কাশনের স্বাভাবিক ব্যবস্থা হিসেবে ব্যবহৃত কালভাার্ট ও স্থানীয় নালাগুলো দীর্ঘদিন ধরে সংস্কার না করায় অকেজো হয়ে পড়েছে। গত কয়েক বছর থেকে স্থানীয় প্রভাবশালীরা পানি নিস্কাশনের স্বাভাবিক পথগুলো রুদ্ধ করে চিংড়ি ঘের করায় উক্ত গ্রামের জলাবদ্ধতাকে আরো প্রকট করে তুলেছে। এছাড়া ইট প্রস্তুত ও ভাটা স্থাপন(নিয়ন্ত্রণ) আইন ২০১৩ এর ধারা ৮ অনুযায়ী আবাসিক এলাকা বা এর ১কি.মি এর মধ্যে ইটভাটা স্থাপন করা নিষিদ্ধ হলেও আবাসিক এলাকায় একটি ইটের ভাটা দীর্ঘদিন ধরে কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। গ্রামের স্থানীয় মসজিদের পাশে খামারের পাখির বিষ্ঠার গন্ধ নিয়ন্ত্রণের আধুনিক কোন ব্যবস্থা না থাকায় খামারের চতুর্দিকে ঘনবসতিপূর্ণ পরিবারগুলো স্বাভাবিক জীবনযাপন কষ্টকর হয়ে পড়েছে। এই গ্রামের প্রায় দুই কিলোমিটার রাস্তা খোয়া ফেলে রাখা হয়েছে। পিচ ঢালাই না থাকায় স্থানীয় মানুষ যাতায়াতে সমস্যায় পড়ছেন। সেখানে যোগাযোগ ব্যবস্থার দ্রুত উন্নয়ন প্রয়োজন।তালতালা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে কম্পিউটার ল্যাব স্থাপন জরুরি। ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণে কম্পিউটার শিক্ষা সম্প্রসারণ, কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি, কর্মদক্ষতা এবং ভাষাগত দক্ষতা ত্বরান্বিত করার লক্ষ্যে কম্পিউটার ল্যাব স্থাপন করা জরুরি। কিন্তু তালতলা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে পড়ালেখা করছে সেখানে কম্পিউটার শিক্ষার ব্যবস্থা খুবই অপ্রতুল।সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনীর আওতায় বয়স্ক, প্রতিবন্ধী, বিধবা ও তালাকপ্রাপ্ত ও দুস্থ নারীসহ পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীকে ভাতা দেয়া হচ্ছে। জেলা শহরতলীতে অবস্থিত হওয়ায় মাগুরা গ্রামের শিক্ষা ও কর্মসংস্থানের হার আশানুরূপ। কিন্তু এই গ্রামে অল্প কিছু অসচ্ছল, বয়স্ক ও প্রতিবন্ধী নারীর জীবন সংগ্রাম অত্যান্ত কষ্টের। সেখানে ১৫২ জন বয়স্ক ভাতা, ৯৬ জন বিধবা ভাতা আর ২৮ জন প্রতিবন্ধী ভাতার দাবিদারও হলেও সেখানে ভাতা পান ৬ জনের মতো।অন্যদিকে মাগুরা গ্রামের ১২টি পরিবার এখনো বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন রয়েছে। যা কল্পনাতীত। বর্তমান ডিজিটাল বাংলাদেশে প্রত্যান্ত এলাকায় বিদ্যুৎ পৌছালেও শহরতলীর মাগুরা গ্রামে বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হতে পারে এটি হতে পারে না। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের দূরদর্শী পরিকল্পনা আমার গ্রাম আমার শহর বাস্তবায়নের জন্য উক্ত সমস্যাগুলো নিরসন পূর্বক কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানান।এবিষয়ে নুসরাত ফারজানা শুক্রবার লাবসা ইউনিয়নের মাগুরা গ্রামে এলাকাবাসীর সাথে অনুষ্ঠিত উঠান বৈঠকে সমস্যা সমাধানের আশ্বাস প্রদান করে জানান, দ্রুত সমস্যা সমাধানের লক্ষ্যে সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক, উপজেলা নির্বাহী অফিসারসহ উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের সুপারিশনামা প্রেরণ করা হয়েছে।
Comments are closed.