April 27, 2024, 11:33 am
কুড়িগ্রামে সাংবাদিক নির্যাতনের ঘটনাকে কেন্দ্র করে আলোচনায় আসা প্রশাসনের সিনিয়র সহকারী সচিব (কুড়িগ্রামের সাবেক আরডিসি) নাজিম উদ্দিনের বিরুদ্ধে আবারও অভিযোগ তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। তিনি বর্তমানে সাতক্ষীরা পৌরসভার প্রধান নির্বাহী (সিইও) হিসেবে কর্মরত রয়েছেন। সাতক্ষীরা পৌরসভায় ঘুষ বাণিজ্য, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বিরুদ্ধে অশালীন আচরণ ও হুমকি, সরকারি গাড়ী ব্যবহার করে মাদক সেবন এবং মাদক বহন, মেয়রের অপসারণ করার চক্রান্ত, নিয়মবহির্ভূতভাবে ছুটি নেওয়া, নিয়মবহির্ভূতভাবে পৌরসভার কর্মকর্তা-কর্মচারীদের শোকজ এবং চাকরি থেকে অব্যাহতি প্রদানের অভিযোগে তার বিরুদ্ধে তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সাতক্ষীরা পৌরসভার মেয়র তাজকিন আহমেদ চিশতি বলেন, পৌরসভায় কাজী বিরাজ হোসেন নামের অস্থায়ী এক কর্মচারীর চাকরি স্থায়ীকরণের জন্য ৩ লাখ ৪ হাজার টাকা ঘুষ নেন নাজিমউদ্দীন। কিন্তু তাদের চাকরি স্থায়ীকরণ হয়নি। এছাড়া কমচারীদের অহেতুক হয়রানির অভিযোগও রয়েছে তার বিরুদ্ধে। সম্প্রতি সাতক্ষীরা পৌরসভার ২৭ জন কর্মচারীর লিখিত অভিযোগের প্রেক্ষিতে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের সচিব বরাবর অভিযোগ পাঠানো হয়েছে। পাশাপাশি অভিযোগের অনুলিপি জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। ভূক্তভোগী সাতক্ষীরা চতুর্থ শ্রেণি কর্মচারী এ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক আরিফুর রহমান খাঁন বাপী বলেন, বিনা নোটিশে আমিসহ ৭ জন কর্মচারির চাকরি থেকে অপসারণ করেছেন প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা। শুধু তাই নয়, তিনি আমাদেরকে পৌরসভা চত্বরে দেখলে গুলি করে মারার হুমকিও দিয়েছেন। খুলনা বিভাগীয় কমিশনার মো. ইসমাইল হোসেন এনডিসি বলেন, ‘সাতক্ষীরা পৌরসভার প্রধান নির্বাহী (সিইও) নাজিম উদ্দিনের বিষয়টি তদন্তের বিষয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে চিঠি পেয়েছি। অচিরেই তদন্ত কমিটি গঠন করা হবে।’
উল্লেখ্য, ২০২০ সালের ২০ মার্চ কুড়িগ্রামের সাংবাদিক আরিফুল ইসলামকে মধ্যরাতে বাড়ি থেকে তুলে এনে ভ্রাম্যমান আদালত বসিয়ে সাঁজা দেন তৎকালিন আরডিসি নাজিম উদ্দীন। পরবর্তীতে বিভাগীয় শাস্তিস্বরুপ তার বেতনক্রম ৬ষ্ঠ থেকে সপ্তমে নামিয়ে আনা হয়।
Comments are closed.