April 27, 2024, 9:49 am
সাতক্ষীরা পৌরসভার বর্জ্য ব্যবস্থাপনার উদাসীনতায় চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে যশোর সড়কের যাত্রী সাধারণসহ পথচারীদের। সাতক্ষীরা শহরের অদুরে যশোর-সাতক্ষীরা সড়কের বাইপাস চৌরঙ্গী মোড়ের কাছেই পৌরসভার বর্জ্য দিয়ে গত এক যুগ ধরে নিচু জমি ভরাট করছে কতিপয় জমির মালিকরা।
প্রতিদিন সড়কটি দিয়ে যাতায়াতকারী যাত্রী সাধারণসহ আশপাশের গ্রামের অধিবাসীরা চরম দুর্ভোগে রয়েছেন। সড়কের পাশে ময়লার ভাগাড় করায় বর্জ্যক্রিয়ায় ঐ এলাকার ফলজ, ঔষধী গাছসহ কমপক্ষে ৫০টি গাছ শুকিয়ে মারা গেছে। এতে পরিবেশের ভারসাম্য বজায় রাখতে গাছের গুরুত্ব রক্ষায় কেউ প্রতিবাদ তো দুরের কথা সরকারের সকল সংশ্লিষ্ট বিভাগ যেন নির্বিকার। যে সমস্থ গাছ মারা গেছে তাঁর আনুমানিক বাজার দর কমপক্ষে ৫ লক্ষ টাকা বলে দাবী করেছেন বে-সরকারি পরিবেশকর্মী শাহ-আলম। সরেজমিনে দেখা গেছে, ভোর থেকে রাত পর্যস্ত এ সড়ক দিয়ে সাতক্ষীরা সদর উপজেলার ছয়ঘরিয়া, মাধবকাটি তুজুলপুর,চৌবাড়িয়া, হাজিপুরসহ ৩০ গ্রামের কয়েক হাজার মানুষ ছোট ছোট যানবাহনে যাতায়াত করে। এদের মধ্যে পেশাজীবী শ্রমজীবী মানুষসহ স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীরাও রয়েছে। বর্জ্যরে দুর্গন্ধে নাকে হাত দিয়ে শ্বাস বন্ধ করে ওই স্থানটি পার হয়ে যায়। অনেক সময় দুর্গন্ধের তীব্রতা এতই প্রকট হয় যে, পথচারীদের বমি করতেও দেখা গেছে। নিয়মিত বাইসাকেলে চলাচলকারী সাতক্ষীরা সরকারি কলেজের শিক্ষার্থী নাজমুল সাদাত জানিয়েছে, এ দুর্গন্ধের কারণে বেশিরভাগ সময় পেটের পীড়ায় ভুগতে হয়।
এ বিষয়ে সাতক্ষীরার কৃষক সংগঠক গাছের পাটশালার প্রতিষ্ঠাতা ইয়ারব হোসেন জানান, গত এক যুগ ধরে সাতক্ষীরা পৌরসভার বর্জ্যে ছঘরিয়া এলকায় ১০০’র বেশি গাছ হত্যা করা হয়েছে। পরিত্রাণের জন্য জেলার সকল কর্ণধর ব্যক্তিবর্গের হস্তক্ষেপ কামনা করেও কোন লাভ হয়নি। তিনি সর্বশেষ সংশ্লিষ্ট বিভাগে পৌরসভা, সড়ক ও জনপথ, পরিবেশ অধিদপ্তর, বন বিভাগের বিরুদ্ধে মামলা করবেন বলে জানিয়েছেন।
সাতক্ষীরা পৌরমেয়র তাসকিন আহম্মেদ চিশতীর সেল ফোনে যোগাযোগ করা হলেও সংযোগ পাওয়া যায়নি।
Comments are closed.