April 27, 2024, 9:23 am

সাংবাদিক আবশ্যক
সাতক্ষীরা প্রবাহে সংবাদ পাঠানোর ইমেইল: arahmansat@gmail.com
শিরোনাম:
জুম্মার নামাজে মুসল্লিদের দোয়া চাইলেন মশিউর রহমান বাবু সাতক্ষীরায় অপহৃত ৮ম শ্রেণীর ছাত্রীকে উদ্ধার করলো পুলিশ সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজে পৃথক বার্ন ইউনিট না থাকায় জরুরী সেবা ঝুঁকিতে এসিড দগ্ধ ও পোড়া রুগীরা দাবদাহ উপেক্ষা করে ধান কেটে ঘরে তুলতে ব্যস্ত কৃষকরা সাতক্ষীরায় সড়ক দুর্ঘটনায় বাবা-ছেলে নিহত জনপ্রিয়তার শীর্ষে নতুন মুখ প্রভাষক সুশান্ত কুমার মন্ডল আশাশুনীতে বাপ্পী সীড হাউজ দোকান উদ্বোধন দক্ষিণ খুলনার অস্ত্র ও মাদকের গডফাদার ওজিয়ার গ্রেফতার সাতক্ষীরায় টিটিসিতে ৭৫ দিন মেয়াদী দক্ষতা উন্নয়ন বিষয়ক প্রশিক্ষণের মতবিনিময় তীব্র তাপদাহে জনজীবন বিপর্যস্ত, বিপাকে নিম্ন আয়ের মানুষ
সাতক্ষীরা মেডিকেলের প্যাথলজিস্ট  সুব্রত দুর্নীতি শীর্ষ 

সাতক্ষীরা মেডিকেলের প্যাথলজিস্ট  সুব্রত দুর্নীতি শীর্ষ 

সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্যাথলিস্ট ইনচার্জ সুব্রত ঘোষ  দীর্ঘ সময় ধরে  সাতক্ষীরা মেডিকেল প্যাথলজি বিভাগের দায়িত্বে থেকে দুর্নীতিতে চ্যাম্পিয়ন হয়েছেেন। তিনি ধরা কে সরাগাণ মনে করে একের পর এক দুর্নীতি করে চলেছেন। তিনি বেশি সময় অফিসে থাকেনা বেশি ভাগ সময় বাইরে থাকেন। তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন দুর্নীতি অনিয়র অভিযোগে থাকা অভিযোগ থাকা সত্ত্বেও  তার বদলি কিংবা তার বরখাস্ত করা হয় না। কোন অদৃশ্য শক্তির  বলে বহুল তবিয়াতে  বহাল আছেন। সম্প্রতি তার তার বিরুদ্ধে দুর্নীতির সংবাদ প্রকাশ হওয়ায় জেরে স্থান পরিবর্তন করছে সুব্রত।  নিজস্ব ক্যাশ কাউন্টার। ক্লিনিক্যাল  প্যাথলজী ৩১৪ নাম্বার রুমের সামনে চেয়ার টেবিল বসিয়ে সুব্রতর নিজস্ব ক্যাশ কাউন্টার ছিলো। সেখানে তাদের নিজস্ব প্যাড তৈরি করে রশিদ দিচ্ছিলো আর টাকা নিচ্ছিলো। সংবাদ প্রকাশ হওয়ার পর ৩১৫ নাম্বার রুমে গোপনীয় ভাবে ক্যাশ কাউন্টার খুলে বসেছেন প্যাথলজি বিভাগের সুব্রত। প্যাথলজী বিভাগের ইনর্চাজ সুব্রতর নির্দেশে প্রকাশ্যে এই অনিয়ম করা হচ্ছে। রশিদ ছাড়া প্যাথলজী বিভাগের পরীক্ষার টাকা রাজস্ব খাতে জমা হচ্ছে না। আত্মসাৎ করা টাকা পৌঁছে যাচ্ছে প্যাথলজী বিভাগের ইনর্চাজ সুব্রতর পকেটে। তবে বন্ধ হচ্ছে না সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্যাথলজী বিভাগের ইনর্চাজ সুব্রতর নিজস্ব ক্যাশ কাউন্টার। গভীর অনুসন্ধানে বেরিয়ে আসে সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্যাথলজী বিভাগের ইনর্চাজ সুব্রত দীর্ঘদিন চাকুরী করছে কিছু কর্মকর্তা কে ম্যানেজ করে এই কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। সূত্র জানায় প্যাথলজী বিভাগের ইনর্চাজ সুব্রত মাদকাসক্ত। সুব্রত মাদক সেবন করে রুগী ও রুগীর আতœীয় স্বজনদের সাথে খারাপ আচারণ করেন এমন একাধিক অভিযোগ আছে প্যাথলজী বিভাগের ইনর্চাজ সুব্রতর বিরুদ্ধে। একজন মাদকাসক্ত ব্যক্তি কিভাবে মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মতো জায়গায় প্যাথলজী বিভাগে ইনর্চাজ হিসাবে  দায়িত্ব পালন করে আসছে জানতে চাই সচেতন মহল।
পত্রিকার হকার আজানুর এই প্রতিবেদক কে জানান, আমি প্রতিদিন সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পত্রিকা দিতে যায় হঠাৎ একদিন প্যাথলজি বিভাগের ইনর্চাজ সুব্রতর সাথে দেখা হয় মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে সে আমাকে বলে নিউজ করে আমাকে কিছু করতে পেরেছে আমার উপর লেবেলে টাকা দিয়ে ম্যনেজ করা নিউজ করে আমাকে কিছুই করতে পারবে না।
হাসপাতালের কয়েকজন কর্মচারী নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক জানান, প্যাথলজী বিভাগের আর্থিক দুর্নীতি বন্ধ করতে হলে ক্যাশ কাউন্টারের রশিদ ছাড়া কোন পরীক্ষা নিরীক্ষা নয়, অথচ সেটা এখানে চলছে। ক্যাশ কাউন্টারের রশিদের অর্থ ছাড়া আর কোন টাকা রাজস্ব খাতে জমা করা হয় না। প্যাথলজি বিভাগে সুব্রতর নিজস্ব ক্যাশ কাউন্টার তৈরি করে  টাকা নিজের পকেটে রাখছে। এতে করে সরকার রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। আরো জানান, সুব্রত ঠিকমতো ডিউটি করেন না বেশির ভাগ সময় তিনি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বাইরে থাকে। সুব্রতর বিরুদ্ধে কিছু বলতে সাহস পাইনা কিছু বলে মারধর খেতে হবে তা না হলে চাকরি হারাতে হবে। সুব্রতর অনুপস্থিতে তার এই অপকর্ম দুর্নীতি দেখভাল করেন সুব্রতর ভাইপো অনিমেষ। এই অনিমেষ মেডিকেলে কর্মচারীদের সাথে খারাপ আচারণ করে এবং দাপট দেখায় বলে কোন কিছু বললে চাকরী খেয়ে দেব। এছাড়া প্যাথলজী সুব্রতর বিরুদ্ধে বিগতদিনে চাকুরী দেওয়ার নামে নিরীহ মানুষের কাছ থেকে টাকা নিয়ে চাকুরী দিতে না পারায় থানা পুলিশ পর্যন্ত হয়েছে।৩১৪ নাম্বার রুমের সামনে থেকে ক্যাশ কাউন্টার জায়গা পরিবর্তন করে আবারও ৩১৫ নাম্বার রুমে গোপনীয় ভাবে ক্যাশ কাউন্টার  খুলে টাকা নিচ্ছেন অনিমেষের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ৩১৫ নাম্বার রুমে কোন ক্যাশ কাউন্টার নাই আগে ছিলো টাকা আমরা নিচ্ছিলাম এখন আর নিচ্ছিনা। এই বিষয়ে প্যাথলজী বিভাগের ইনর্চাজ সুব্রত কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আগে নিজস্ব ক্যাশ কাউন্টার ছিলো এখন আর সেটা নাই এখন একটাই ক্যাশ কাউন্টার রয়েছে সেখানেই সব কিছু লেনদেন হয়। ৩১৪ নাম্বার রুমের সামনে থেকে ক্যাশ কাউন্টার সরিয়ে আবার ও ৩১৫ নাম্বার রুমে গোপনীয়ভাবে ক্যাশ কাউন্টার  খুলে টাকা নিচ্ছেন এমন প্রশ্ন করলে তিনি বলেন আমি আগে টাকা নিচ্ছিলাম এখন বন্ধ আছে যারা নিচ্ছে তাদের ধরেন। সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ডঃ শীতল চৌধুরী কাছে এই বিষয়ে মুঠফোনে  কয়েক বার ফোন দিলে তিনি ফোন টি রিসিভ করেনি।


Comments are closed.

ইমেইল: arahmansat@gmail.com
Design & Developed BY CodesHost Limited
Raytahost Facebook Sharing Powered By : Raytahost.com