April 27, 2024, 10:07 am
অবৈধভাবে বসবাসকারী ও বিভিন্ন আইন লঙ্ঘনকারী বিদেশিদের গ্রেপ্তারে ধরপাকড় অব্যহত রয়েছে সৌদি আরব। গোটা দেশজুড়ে চলমান এ অভিযানে গত এক সপ্তাহে আরও ১৫ হাজারের বেশি লোককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বিভিন্ন বাহিনীর যৌথ অভিযানে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
দেশটিতে অবৈধ অবস্থান, কাজ ও সীমান্ত নিরাপত্তাবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগে তাদের গ্রেপ্তার করা হয় বলে সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে। সৌদি গেজেটের প্রক প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানা গেছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত ১৬ থেকে ২২ ডিসেম্বরে দেশব্যাপী অভিযানে মোট গ্রেপ্তার হওয়া লোকের প্রকৃত সংখ্যা ১৫ হাজার ৭৬ জন। এদের মধ্যে ৭ হাজার ৭৭৭ জন আবাসিক নিয়ম লঙ্ঘনে, ৫ হাজার ৩৭৫ জন সীমান্ত নিরাপত্তাবিধি লঙ্ঘন এবং ১ হাজার ৯২৩ জন শ্রমবিধি লঙ্ঘনের দায়ে অভিযুক্ত হয়েছেন।
এছাড়া ২০৮ জনকে সীমান্ত অতিক্রম করে সৌদিতে প্রবেশে চেষ্টার সময় গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাদের মধ্যে ৬০ ভাগ ইয়েমেনি নাগরিক তাদের ৩৪জনকে সীমান্ত অতিক্রম করার দায়ে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ৮ পার্সেন্ট সৌদি হয়ে প্রতিবেশী দেশগুলিতে পাড়ি দেওয়ার চেষ্টা করার জন্য গ্রেপ্তার করা হয়েছে ২৭ জনকে।
এছাড়া বিধি লঙ্ঘনকারীদের পরিবহন ও আশ্রয় দেয়ার জন্য গ্রেপ্তার করা হয়েছে ১৭ জনকে। এ নিয়ে মোট ৯২ হাজার সৌ ৩০৪ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাদের মধ্যে ৯ হাজার ১৭৯জন নারী অবমিষ্ট ৮৩ হাজার ১২৫জন পুরুষ। গ্রেপ্তার মধ্যে ৮১ হাজার ৬৭০জনের বিষয়ে কূটনৈকি মিশনের অবহিত করা হয়েছে। তাদেরকে জেলে পাঠানো হয়েছে।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে বলা হয়, যারা বিধি ভঙ্গকারীদের সৌদিতে প্রবেশের সুবিধা দেন, তাদের পরিবহন করেন, আশ্রয় দেন বা অন্য কোনো ধরনের সহায়তা দেন, তাদের ১৫ বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড, ২ লাখ ৬০ হাজার ডলার পর্যন্ত জরিমানা ও সম্পদ বাজেয়াপ্ত করা হবে।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সতর্ক করে দিয়েছে যে, কেউ যদি সীমান্তের নিরাপত্তা বিধি লঙ্ঘন করে সৌদিতে প্রবেশের জন্য কাউকে সহায়তা করতে গিয়ে ধরা পড়ে অথবা তাকে পরিবহন বা আশ্রয় বা যেকোন উপায়ে সহায়তা বা সেবা প্রদান করে, তাকে সর্বোচ্চ ১৫ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হবে। এছাড়া স্থানীয় গণমাধ্যমে তাদের নাম প্রচারের পাশাপাশি ১ মিলিয়ন সৌদি রিয়াল পর্যন্ত জরিমানাসহ তাকে দেশ থেকে বরখাস্ত করা হবে।
Comments are closed.