April 27, 2024, 1:05 pm

সাংবাদিক আবশ্যক
সাতক্ষীরা প্রবাহে সংবাদ পাঠানোর ইমেইল: arahmansat@gmail.com
শিরোনাম:
কলারোয়ায় মন্দিরের সম্পত্তি আত্নসাতের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন দেবহাটায় উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী আবু রাহান তিতুর জনসংযোগ ‘রাজনগর ইয়াং ষ্টার’ এর ২য় প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী ও সম্মাননা স্মারক প্রদান সাতক্ষীরা জেলা সাহিত্য পরিষদের সম্মেলন অনুষ্ঠিত কালীগঞ্জে কেমিক্যাল দিয়ে পাকানো চারশ’ কেজি আম জব্দ জুম্মার নামাজে মুসল্লিদের দোয়া চাইলেন মশিউর রহমান বাবু সাতক্ষীরায় অপহৃত ৮ম শ্রেণীর ছাত্রীকে উদ্ধার করলো পুলিশ সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজে পৃথক বার্ন ইউনিট না থাকায় জরুরী সেবা ঝুঁকিতে এসিড দগ্ধ ও পোড়া রুগীরা দাবদাহ উপেক্ষা করে ধান কেটে ঘরে তুলতে ব্যস্ত কৃষকরা সাতক্ষীরায় সড়ক দুর্ঘটনায় বাবা-ছেলে নিহত
হালের গরুর বিপরীতে ঘোড়া দিয়ে হাল চাষ

হালের গরুর বিপরীতে ঘোড়া দিয়ে হাল চাষ

হাল চাষের জন্য গরু আর মহিষই উপযোগী। ঘোড়া দিয়ে হাল চাষ এ যেন এক বিরল ঘটনা মানুষ বাহন হিসেবে ব্যবহার করে ঘোড়া। আবার ঘোড়ার দৌড় প্রতিযোগিতার জনপ্রিয়তাও অনেক। শৌখিন মানুষ ঘোড়ার গাড়িতে বসে একটু সময় কাটাতেও পছন্দ করেন। মাল টানতেও ঘোড়ার গাড়ি ব্যবহার করা হয়। কিন্তু ঘোড়া দিয়ে হাল চাষের দৃশ্য বিরল। এ যেন রূপকথা কিন্তু রূপকথা নয়, বাস্তবেই ঘোড়া দিয়ে হাল চাষ হচ্ছে সাতক্ষীরা সদর উপজেলার ব্রক্ষ্মরাজপুর ও ধুলিহর ইউনিয়নের ফসলের মাঠে ঘোড়াকেই তাদের আয়ের উৎস হিসেবে ব্যবহার করেন। ঘোড়ার মালিকরা বলেন পয়লা বৈশাখ সহ বিভিন্ন শোভাযাত্রায় আমাদের ঘোড়া ব্যবহার করা হয়। আবার ইরি-বোরো ও আমন মৌসুমে চারা রোপণের জন্য জমি সমান করতে ঘোড়া দিয়েই ক্ষেতে মই দেন। এতে তারা একরপ্রতি ৭০০-৮০০ টাকা এবং প্রতি কাঠায় ৪০-৫০ টাকা করে পান। আবার জমি চাষ দিলে প্রতি কাঠার বিঘা প্রতি ১০০০ টাকা পান তারা। এতে তাদের বাড়তি আয়ও হয়। ঘোড়া দিয়ে জমি চাষ করে জীবিকা নির্বাহকারী সাতক্ষীরা সদরের ব্রক্ষ্মরাজপুর ইউনিয়নের নুনগোলা গ্রামের রুহুল আমিন বলেন, ‘ঘোড়া আমি ৪ বছর আগে ২ টা ঘোড়া ৪১ হাজার টাহা দিয়ে একটি পুরুষ ঘোড়া একটি মেয়ে ঘোড়া কিনেছি কিছুদিন পর তাদের একটা বাচ্চা হয়।

রুলামিন বলে আমার ঘোড়া দেখে আমার আমার এলাকায় ৪-৫ জন চাষ করার জন্য ঘোড়া কিনছে। মালামাল টানার চাইতে চাষাবাদের কাজে রোজগার বেশি। ঘোড়া দিনে ২-৩ একর জমি মই দেওয়া যায়। আর আমরা প্রতি কাঠা জমি মই দিতে ৪০-৫০ টাকা নেই। একরপ্রতি ৭০০-৮০০ টাহা নেই। আর জমিতে হাল দিয়ে নিলে প্রতি কাঠা ২০০ টাকা করে। দিনে ১২০০ থেকে ১৫০০ টাহা পাই। এতে আমাদের দিনে ভালাই কামাই হই।’ ঘোড়া দিয়ে জমি হাল চাষকারী আছাদুল বলেন, ‘বর্তমান বাজারে একজোড়া হালের গরুর দাম দেড় থেকে দুই লাখ টাকা। গরুর দামের চেয়ে ঘোড়ার দাম কম তাই আমি এক জোড়া ঘোড়া ২৮ হাজার টাকা কিনছি এবং সে ঘোড়া দিয়ে হাল চাষ করি। ঘোড়ার শক্তিও মেলা। ঘোড়া দিয়া তাড়াতাড়ি ও সুন্দরভাবে হাল চাষ করা যায়। আমি নিজের জমি চাষ করার পাশাপাশি অন্যের জমিও টাকার বিনিময়ে চাষ করে দিই। এতে করে ১৫০০ থেকে ২০০০ টাকা আয় হয়। প্রতিদিন তার ঘোড়ার খাবার বাবদ ১০০ থেকে ১৫০ টাকা খরচ হয়।’ জমির মালিক মহাসিন বিশ্বাস বলেন, ‘আমাদের এলাকায় বড় কোনো গরু বা শাড় নাই। তার জন্য ঘোড়া দিয়ে আমাদের জমিগুলোতে মই দিতে হয়। ঘোড়া দিয়ে মই দিলে ঘোড়াওয়ালা প্রতি বিঘা জমি মই দিতে ২০০ টাকা কইরা নেয়, ঘোড়া দিয়ে খালি মই দেই না চাষ করে। যে সমস্ত জায়গায় কলের লাঙ্গল দিয়ে চাষ করা সম্ভব না সেখানে আমরা ঘোড়া দিয়ে চাষ করে নেয়। জমির মালিক জয়নাল বলেন, ঘোড়া দিয়ে মই দিলে জমি সুন্দর হয়। এতে ঘোড়া দিয়ে মই দিলে আমাদের যেমন সুবিধা ঘোড়া মালিকদেরও সুবিধা।’ ঘোড়া দিয়ে মই দিলে জমি সমান হয়। তাই আমারা ঘোড়া দিয়েই মই দেয়।


Comments are closed.

ইমেইল: arahmansat@gmail.com
Design & Developed BY CodesHost Limited
Raytahost Facebook Sharing Powered By : Raytahost.com