April 27, 2024, 11:15 am
টিসিবি’র খোলা বাজারে বিক্রির ট্রাক একেক দিন একেক জায়গায় থাকে। কোনদিন কোন জায়গায় ট্রাক থাকবে তা জানার একটিই উপায়- টিসিবির ওয়েবসাইট। কিন্তু নিম্ন আয়ের মানুষের ক’জনইবা তা থেকে জানতে পারেন। ফলে ভোগান্তির শেষ থাকে না। এদিকে, সারা দেশে ফ্যামিলি কার্ডের মাধ্যমে নিম্নআয়ের এককোটি পরিবারকে ঈদের আগে দুইবার পণ্য দেয়ার ব্যবস্থা নিয়েছে বাংলাদেশ ট্রেডিং করপোরেশন টিসিবি।
রাজধানীর বিভিন্ন জায়গায় গেলেই চোখে পড়বে টিসিবির ট্রাকের জন্য ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষায় থাকা মানুষের অসহায় মুখ। আগেরদিন যেখানে ট্রাক বসেছিল সেই জায়গায় পরেরদিনও আসবে এই ভেবে অপেক্ষা করেন তারা। কিন্তু ৫-৬ ঘণ্টা অপেক্ষার পরও ট্রাক না আসায় ফিরতে হয় খালি হাতে।
টিসিবির ট্রাক থেকে যারা পণ্য কেনেন তাদের অনেকেই জানেন না কোনদিন কোন জায়গায় ট্রাক থাকবে। ভাগ্য ভালো থাকলে ট্রাক মিলে যায়, না হলে শুধু শুধু অপেক্ষা।
ক্রেতারা জানান, কবে কোথায় টিসিবির ট্রাক থাকবে তা তারা জানেন না। হঠাৎ হঠাৎ ট্রাকের উপস্থিতি দেখেন তারা। টিসিবি ১৫০টি ট্রাকে করে ঢাকার উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশন এলাকায় ন্যায্যমূল্য সয়াবিন তেল, পেঁয়াজ ও চিনি বিক্রি করে ডিলারদের মাধ্যমে। পরেরদিন কোন জায়গায় পণ্য বিক্রি হবে তা আগের দিন নিজেদের ওয়েবসাইটে দিয়ে দেয় টিসিবি। কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে কজনই বা সেটি জানেন কিংবা জেনে নিতে পারেন!
পণ্য নিতে আসা ক্রেতারা জানান, যদি একটি নির্দিষ্ট স্থানে টিসিবির ট্রাক রাখা হলো তাহলে তারা হয়রানি থেকে মুক্তি পেতেন। টিসিবি বলছে, ওয়েবসাইটে দেয়া ছাড়া বিকল্প কোনো উপায় নেই তাদের কাছে। তবে এখন যেহেতু স্থানীয় কাউন্সিলরদের পরামর্শে ট্রাক রাখা হয় তাই তাদের মাধ্যমেও জেনে নেয়া সম্ভব।
টিসিবির মুখপাত্র হুমায়ুন কবীর জানান, টিসিবির পণ্যের ট্রাক কোথায় থাকবে তা সেদিন সকালে টিসিবির ওয়েবসাইটে দেয়া হয়। এদিকে, সারা দেশে নিম্ন আয়ের মানুষদের ন্যায্যমূল্যে পণ্য দিতে আগামী ২০ মার্চ থেকে শুরু হচ্ছে ফ্যামিলি কার্ডের মাধ্যমে পণ্যবিক্রি। এককোটি পরিবার রোজার ঈদের আগে এই ব্যবস্থায় দুইবার পণ্য নিতে পারবে।
হুমায়ুন কবীর জানান, ফ্যামিলি কার্ডের মাধ্যমে পণ্য বিক্রির প্রক্রিয়া চূড়ান্ত পর্যায়ে। ২০শে মার্চ থেকে শুরু হবে এর কার্যক্রম। ফ্যামিলি কার্ড জেলা প্রশাসন ও স্থানীয় সরকার প্রতিনিধি ইউপি চেয়ারম্যান, মেম্বার ও ওয়ার্ড কাউন্সিলররা দিচ্ছেন।
২০ থেকে ৩০ মার্চ পর্যন্ত প্রথম ধাপে পরিবার প্রতি দেয়া হবে ২ কেজি চিনি ২ লিটার তেল এবং ২ কেজি মশুর ডাল। পুরো প্যাকেজের দাম পড়বে ৪৬০ টাকা।
২য় ধাপে ফ্যামিলি কার্ডের মাধ্যমে পণ্যবিক্রি হবে ২য় বা তৃতীয় রমজান থেকে। এই ধাপে আগের তিনটি পণ্যের সঙ্গে শুধু যুক্ত হবে ২ কেজি ছোলা।
জেলা প্রশাসনের তত্ত্বাবধানে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা ফ্যামিলি কার্ড তৈরির কাজ বাস্তবায়ন করছে সারাদেশে।
Comments are closed.