February 14, 2025, 5:05 am
পশ্চিম সুন্দরবনের সাতক্ষীরা রেঞ্জের অভয়ারণ্য এলাকা থেকে আটকৃত জেলেদের মাছ ও কাঁকড়া আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে বন বিভাগের কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে। বন বিভাগ বিশেষ অভিযান চালিয়ে নিষিদ্ধ এলাকা থেকে বিভিন্ন সময়ে নৌকাসহ জেলেদের আটক করে থাকেন। তবে জেলেদের আহরণকৃত মাছ ও কাঁকড়া সামান্য পরিমাণ জব্দ তালিকা করে বিপুল পরিমাণ অত্মসাৎ করেন বলে জানান ভুক্তভোগীরা। জানাযায়, গত শনিবার (১১ ফেব্রুয়ারি) সকাল আনুমানিক ১০টার দিকে পশ্চিম সুন্দরবনের সাতক্ষীরা রেঞ্জের সহকারী বন সংরক্ষক এম কে এম ইকবাল হোছাইন চৌধুরীর নেতৃত্বে সুন্দরবনের অভয়ারণ্যে অভিযান চালিয়ে ডিঙ্গিমারি এলাকা থেকে ৫টি নৌকা ও ১৪ জন জেলেকে আটক করেন। আটক জেলেদের থেকে ৬০ কেজি মাছ উদ্ধার মর্মে জব্দ তালিকায় দেখানো হয়েছে। এছাড়া উদ্ধারকৃত কাঁকড়া নদীতে অবমুক্ত করা হয়েছে বলে সাংবাদিকদের জানান বুড়িগোয়ালিনী স্টেশন কর্মকর্তা। তবে স্থানীয় ও আটক জেলেদের সাথে কথা বলে জানাযায়, ৩ দিনে নিষিদ্ধ এলাকা থেকে ৪০ মণ মাছ ও ১০ মণের অধিক কাঁকড়া আহরণ করে ছিলেন তারা। শনিবার সকালে ৫ টি নৌকা, ৬ কিলোমিটার লম্বা দুটি জাল, আহরণকৃত মাছ ও কাঁকড়াসহ তাদেরকে বন বিভাগের কর্মকর্তারা আটক করেন। সরেজমিনে গেলে বুড়িগোয়ালিনী ফরেস্ট অফিসের¬ সহকারী বন সংরক্ষকের কার্যালয়ের পাশে আটককৃত ৫ টি নৌকা বেঁধে রাখতে দেখা যায়। ওইখানে রাখা একটি নৌকার ভেতরে কয়েক মণ মাছ বরফ দিয়ে সংরক্ষণ করা রয়েছে ধরা পড়ে সাংবাদিকদের চোখে। তবে বুড়িগোয়ালিনী স্টেশন কর্মকর্তা নুরুল আলম মাছ, কাঁকড়া সংরক্ষণ ও আত্মসাতের বিষয়টি অস্বীকার করেন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় কয়েকজনের জানান, বন বিভাগের কিছু অসাধু কর্মকর্তা অভয়ারণ্য থেকে জেলেদের আটক করে মাছ ও কাঁকড়া আত্মসাৎ করে লক্ষ লক্ষ টাকা বিক্রি করে ভাগবাটোয়ারা করে নেন। এবিষয়ে জানতে চাইলে সাতক্ষীরা রেঞ্জের সহকারী বন সংরক্ষক এম কে এম ইকবাল হোছাইন চৌধুরী অভিযোগ অস্বীকার জানান, আটককৃত মাছ ও কাঁকড়া বনবিভাগের কর্মকর্তাদের আত্মসাত করার কোন সুযোগ নেই। তবে অনেক সময় উদ্ধারকৃত মালামাল চুরি হয়ে যেতে পারে। এছাড়া আটককৃত জেলেদের স্বীকারোক্তি মোতাবেক মাছ ও কাঁকড়ার পরিমাণ নির্ধারণ করা হয় বলে জানান তিনি।
Comments are closed.