May 1, 2024, 9:56 pm
পাটকেলঘাটা শাঁকদহ বিল দীর্ঘদিন পানিতে জলাবদ্ধ থাকায় ২০ গ্রামের হাজার হাজার ঘর বাড়ি পানিতে ডুবে থাকত। এতে করে আমন ফসল কৃষকের ঘরে উঠত না। পত্র পত্রিকায় খবর প্রকাশিত হলে পানি উন্নয়ন বোর্ড ৮ বছর পূর্বে ২০১৫ সালের দিকে সরুলিয়া সুইচ গেট থেকে যুগীপুকুরিয়া হয়ে দক্ষিণ সালিখা খাল পর্যন্ত দীর্ঘ ৮ কি: মি: পানি উন্নয়ন বোর্ড স্কেভেটর মেশিন দ্বারা খাল খনন করে দুই পাশে ওয়াপদা করে দেয়। উক্ত ওয়াপদা এলাকার প্রভাবশালী ভূমিদস্যূরা যার যতটুকু প্রয়োজন ততটুকু গায়ের জোরে দখল করে বিভিন্ন ধরনের ফসলাদি চাষাবাদ করে আসছে। এছাড়া উক্ত ওয়াপদায় পাকা ঘর নির্মান করে ঘরের এরিয়ায় বাসের চটার বেড়া দিয়ে জনগনের চলাচলের পথ বন্ধ করে দেয়। সরেজমিনে তদন্তে দেখা গেছে উক্ত ওয়াপদা যাতে উন্মুক্ত হয় তার জন্য ২০ গ্রামের হাজার হাজার মানুষ পানি উন্নয়ন বোর্ডের দিকে তাকিয়ে রয়েছে। এছাড়া বর্ষা মৌসুমে যখন মাছের চাষ অপরদিকে ডিসেম্বর ও জানুয়ারীর দিকে ঐ জমিতে ইরী বোরোর চাষ হয়ে থাকে তখন এলাকায় গো খাদ্যের অভাব দেখা দেয়। সেই সাথে বিচলি, কুড়ো ও ভুষির দাম বেশী হওয়ায় গরু ছাগল গুলি ওয়াপদায় খাওয়ানোর জন্য রাখালিরা নিয়ে যায়। ঐ সময় ওয়াপদা দখলকারী ভূমীদস্যুরা যেতে দেয়না। তাছাড়া ওয়াপদার ঘাসগুলি বিষ স্প্রে করে মেরে ফেলে। এদিকে ওয়াপদা দিয়ে দক্ষিণ অঞ্চল বড় গাছা, হরিনখোলা, গোয়ালপোতা, গাছা, দলুয়া, তেঁতুলডাঙ্গা, সুপারিঘাটা হয়ে ধুলিহরে হাজার হাজার বাইসাইকেল আরোহী পথচারীদের চলার পথ বন্ধ করে দিয়েছে এই ভূমীদস্যুরা। অধিকাংশ দখলদাররা প্রভাবশালী হওয়ায় এদের বিরুদ্ধে কেও কথা বলার সাহস পায় না। কেও কিছু বললে তাদেরকে বিভিন্ন মামলার ভয় দেখানো হয়। অপরদিকে ঘের মালিকরা প্রায় স্থানে ওয়াপদা গায়ে জোরে কেটে লোনা পানি ঢোকাচ্ছে। যার ফলে ইরী বোরো ধানের ক্ষতি হচ্ছে। অনেক স্থানে ওয়াপদার কোন চিহ্নও নেই। এ বিষয়ে সাতক্ষীরা পানি উন্নয়ন বোর্ড কর্মকর্তা মোঃ শাহনেওয়াজ তালুকদারের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন পানি উন্নয়ন বোর্ডের সম্পত্তি যে বা যারা দখল করে রেখেছে ক্রমান্নয়ে অভিযান পরিচালনা করে তাদেরকে উচ্ছেদের ব্যবস্থা করা হবে।
Comments are closed.