April 26, 2024, 10:07 am
শ্যামনগরের কৈখালী ইউনিয়নের বৈশখালীতে মাত্র দুইটি মৎস্য ঘেরীর জন্য লোনাপানির কারনে ক্ষতিতে চাষি। গত বছর ২শ ৫০ মণ ধান পেলেও এবার আর হয়তো ধান করা হবে না। এমন অভিযোগ তুলেছেন উপজেলার কৈখালী ইউনিয়নের বৈশখালী মোহাজেরীন এলাকার কৃষকরা। উপকূল জুড়ে লোনাপানিতে চিংড়ী চাষে মানুষের আগ্রহ ছিলো অটুট। গত বছর পাঁচেক চিংড়ী চাষে লেগেছে ভাটা। তার জন্য চাষিরা মুখ ফিরিয়ে নিয়ে করছে ধান। ইউনিয়নের অর্ধেক জমিতে লোনাপানি বন্ধ করে ফলানো হয় ধান।
এতে বাম্পার ফলন হয় কৈখালী জুড়ে। এর মধ্যে দু-এক জায়গায় মৎস্যঘেরীতে লোনাপানি তোলা বন্ধ করা যায়নি। যার কারনে আমন ধানে ব্যপক ক্ষতিতে চাষিরা। বৈশখালী গ্রামের সামছুর সরদারের ছেলে সালাম, অবা খাঁর ছেলে হাসান, আজিদ খাঁর ছেলে আব্দুর রহমান, সাকাত গাইনের স্ত্রী আবিরুন মৎঘ্যঘেরী শুকিয়ে নতুন করে পানি উত্তলন করায় চাষ উপযোগ জমিগুলো লোনাপানিতে ভরে গেছে প্রায় ৫ একর জমিতে চাষাবাদে অনুপযোগী হয়ে যাচ্ছে। পানি উন্নয়ন বোর্ডের মাসুদ রানা বলেন, এখনো পর্যন্ত কোন লিখিত অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে উপজেলা ভূমি কর্মকর্তার সমন্বয়ে নির্বাহী ক্ষমতার বলে আমরা উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করবো। শ্যামনগর সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. আসাদুজ্জামান বলেন, এটা যেহেতু কৃষকের সমস্যা, সেই হিসেবে উপজেলা কৃষি অফিসারের কাছে অভিযোগ দিলে আমরা সমন্বয়ের মাধ্যমে ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।
Comments are closed.